'মা'শব্দটি অতি ক্ষুদ্র অতি মধুর এ কথাটি জেনে রেখ ভাই মায়ের মত আপন ত্রিভূবনে আর কেহ নাই। যেতাই যাই সেতাই দেখি মায়ের মতন অতি ছোট একটি বাক্যে এত মধুর সুধা আর নাই। মায়ের মতন এত স্নেহ মমতা আর কোথায় পাবে ভাই? মা নাই গৃহে যার অর্থহীন জীবন তাঁর। একবার দেখিলে মায়ের মুখ দূর হয়ে যায় সহস্র দুখ, মা হীন এলোমেলো হৃদয়ে আর কোন ঠিকানা আছে কি এই সংসারে? কতই না শীতল কোলেতে সকল যাতনা ভোলে কতই না মমতার পরশে ভাসান বুক। কতই না উৎপাত, কতই না আবদার দিন-রাত,জীবনের সব সমাধান ওরে সে যে মমতামুখী মা! মায়েরি কোলেতে মাথা রেখে শুলে শান্তি আসে মনে জুড়িয়ে যায় প্রাণ। সুখের দিন গুলিতে আমরা জনম দুঃখি মাকে আমরা ভুলি,স্বরণ করি দুখে। বড়ই দূর্বিষহ জীবনে কেহ না আসে পাশে এমন সময়ে মা তখন মমতার আঁচল দিয়ে জড়িয়ে নেন কাছে। মায়েরি মমতা মাখা মুখ দেখে পৃথিবীর সহস্র দুঃখ ভুলি। মায়েরি আঁচলে আমরা জীবন বুঝি। যতই দূরে যাই জননীর আড়ালে থাকি। হৃদয়ের সমস্ত যাতনা ভুলে গিয়ে ব্যাকুল প্রাণে মাকে ডাকি। চোখ মেলে নীরবে মাকে খুঁজি। মায়েরি পায়ের নিচে আছে স্বর্গ, তাই খুঁজি না স্বর্গ অন্যখানে। মায়েরি গর্ভ হতে পৃথিবীর আলো বাতাস জলবায়ু দেখেছি। মায়েরি মমতার আদরে আমরা বেড়ে ওঠি, অতঃপর বাঁচতে শিখি। জানে ঈশ্বর, জানে পৃথিবী, জানে অন্তজামি। যেদিন প্রথম মায়েরি গর্ভ হতে পৃথিবীতে আসি- কতই না অসহায় ছিলাম সেদিন? তখন কাঁদা কি জানিতাম আমি? ওঠা বসার নাহি ছিল শক্তি নাহি ছিল মুখে বাক। নিজে না খেয়ে আমাদের মুখে তুলে দেন আহার। যখনি আমরা অবুঝ শিশুটি কেঁদে ওঠি মা-ই তখনি নিশিদিন,আরামবিহীন দোলা দিয়ে বলে ওঠেন 'কি হলো বাঁচা ধন?' কতই না শিয়রে জ্বালায়ে বাতিল একটু অসুস্থ হলেই অস্থির হয়ে ওঠেন মাতা। সব যাতনা ভুলে কেবল আমাদের নিয়েই শত আকুলতা। শিশুকাল নিশিদিন নিদ্রা যদি না আসে চোখে মা তখন পাশে বসে কোমল হাতে কপালে হাত রেখে সুধায় ঘুমপাড়ানির গান। এ যে সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসার টান! বড় হয়ে মায়েরি শিক্ষা আদর্শে আমরা ছুটে চলি পৃথিবীর পাঠশালায়। এসো বন্ধু শপথ করি- মায়ের মত আপন ত্রিভূবনে আর কেহ নাই। মুখে মুখে বলি শুধু-'মা আমার মমতাময়ী মা।'
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহা রুবন
আমি পেশাগত জীবনে সংকটে পড়লে, মার সঙ্গে বেশি বেশি ফোনে কথা বলি। এমন নয় যে মার কাছে সমস্যাটা প্রকাশ করি, কিন্তু তবু অনেক সাহস পাই। অসহায় মূহুর্তে মা আমার শক্তির উৎস। মাকে নিয়ে কবিতা ভাল লাগল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।