আমি জানি তোমার আর আমার মাঝে বিস্তর তফাৎ;
তাইতো তোমার চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের মূলে আঘাত
হানতে চাইনি কখনও।

স্বরণে আছে আজো, প্রেমে ডুবে আমি কিছু করিয়াছিলাম অর্জন;
মূহুর্তেই সব জলাঞ্জলি দিয়ে করিয়াছি বিসর্জন।
মনে পরে আজো এই চৈত্রের প্রহরে, সেদিনও ছিল চৈত্র মাস;
আজি আমি করিতাছি এহন' আমার স্বপ্ন ধরণীতে বাস।

নিজোক ভুলি জাতিক টানেক
নিজের কবিতাত,
জাতির -দুঃখ -ভরেয়া দে তুই
শব্দ প্রতিটাত।

কাগজ কলম নিয়ে
বসে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা ।
কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও লিখতে পারিনা
দু’লাইন কবিতা ।

একুশ কি তবে সন্তানহারা
প্রলাপ বকা মায়ের কাঁদন
নাকি বৃদ্ধার ষোড়শীকালের বাল্যপ্রেমের
নষ্টালজিক বিরহ বাঁধন?

তোমায় প্রিয় ভালোবেসে নাই পেলাম প্রতিদান
যত পার দাওগো ব্যথা, প্রেম করোনা অপমান।
এ প্রেম শুদ্ধ-শুচি,নিখাদ-গভীর, খাঁটি দুগ্ধ মত,
তুচ্ছ আমি, তুচ্ছই ভাবো-তবে প্রেম সম্মুখে থেক নত।

আমার অনেক আদরের বোন তনু
লাশ হয়ে পড়ে আছে কুমিল্লা সেনানিবাসে।
আমি ওর কাপুরুষ ভাই, কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি।

শৈশব পেরিয়ে যাওয়া রাস্তা পূর্ণ যুবক হয়েছে
বুড়ো বটের সবকটা পাতা ঝরে গেছে।
তবুও জননী দাড়িয়ে ঠিক সেখানটায়
যেখানে অপেক্ষা কালের কষ্ট নিহিত।

তোমাকে ভালোবেসে এ হৃদয়টাকে
দিয়েছি প্রতিমা বিসর্জন।
কপাট খোলা জানালায় আসে যায়
অহরহ নিঃশব্দে কত প্রজাপতি;

রাতে লম্ফতে সলতে চোখে
অধমরা প্রানে সপ্তমী একেঁছিলে।
তুমি অভয়া,

ইচ্ছে করে কোথাও গিয়ে
তোমায় নিয়ে আড়াল হবো,
আমি তোমার স্বভাব হয়ে
চিলের ডানায় উড়াল হবো,

তুমি যতো দূরেই যাও, থাক আমার অন্তর জুড়ে
না দেখলে এক পলক তোমায়, মন আগুনে পুড়ে
দহন নিয়ে আর কতো কাল, আস না সখি ফিরে
তুমি হীনে শূন্য বুকে, অপেক্ষায় ছোট্র নীড়ে।

তোমার মনের অসত্যকে ধনবান বলে ঘোষণা করছে
সম্পদতো তোমার নয়, কথার দ্বারা শুধু শুধু পাপ ও সীমালংঘন করছো?
তুমি কি জানো সম্রাট আকবরের বর্তমান কয় বিঘা জমি আছে ?
সম্রাট অশোকের কয় কাঠা জমি আছে ?

তুলে ধরি যাপন । অন্য কোন পরিত্রান নেই ।
সাম্যতা কি কোনদিন হয় । হয়েছিল । দাঁতে দাঁতে চেপে

কলমেরা মুছে দিয়েছে সভ্যতার মূর্খতা,
কলমেরা লিখেছিল প্রেমিকের শঙ্কতা।
কলমেরাই পাঠিয়ে ছিল আদিমতম চিঠি,