যেদিন বেদনার সুনামিতে আমার পাঁজরের হাড়গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে
শান্ত নদীর কূলে কত যে দগ্ধ পাখিদের আনাগোনা
ওপারে আছড়ে পড়েছিল আঘাতে আঘাতে,
এ যে সত্য ঘৃণার আঘাত নয়- সত্য ভালবাসারই আঘাত !
সেদিনও দেখেছি গোলাপের কাঁটাগুলো কী যতেœই না আমাকে
শুয়ে দিয়েছিল মরু-বিছানায়
সমস্ত চেনা পৃথিবীর সেদিন উদাসীনতা আমাকে ক্রমশই নিয়ে চলেছে
অন্ধকারের অলি-গলি পেরিয়ে অচিন মহারাণীর লোভে?
তুমিছায়া ছাড়া যে আমার বিন্দুমাত্র মুগ্ধতা নেই, আরাধনা নেই, সাধ নেইÑ
দুচোখে ভেসে উঠে আবার কোন গোলাপের চোখ ও শরীর, ঠোঁটের তিলের অট্টহাসির মিথ্যা মায়ায় ।

দুজনের জন্মের আগের পরিচয়েই আমরা পরিচিত হতে চাইবো চিরদিন,
আজ থেকে একটি বিশ্বাসের জন্ম হতে দেবো না, হোক হট্টগোল
ধিক্কার দিক অসুস্থ সমাজ,চুলকানি রোগে আক্রান্ত সমাজ ?
এই কলঙ্কের ভার আমাকেই দিও, তোমার পূণ্যময়ী হাত ছাড়িয়ে নিতে পারো নিমিষেই;
তোমাকে ভালবাসি তো! আজ এই তোমার আমার মাঝে প্রাচীরের সমস্ত হুংকার
নিভিয়ে দেবো যে কোনো মূল্যে
তুমি মুক্ত হে মহারাণী, তোমার মন-মহাজনের পৃথিবী সাজাও
তোমার গোলাপী শরীরের ভাঁজে ভাঁজে এবং রক্তাভ ঠোটের তিলের স্পর্শে- স্পর্শে শত জনমে।

একদিন সেই গোলাপের শরীরের ঘ্রাণে ঘ্রাণে পার হয়ে যেতো কতো কতো রাত আহারে!