এখানে আলো ছিল
ঝলমলে মুক্তোর মতো আলো
যে আলোয় ভর করে খেলা করতো সুন্দর।
এখানে আলো ছিল
শিশুর হাসির মতো শুভ্র আলো।

আজ ঘুমের ঘোরে পাশ ফিরতে গিয়ে দেখি,
আমার অজান্তে তুমি
ঠোটজোড়া স্পর্শ করে আছ!
তাই মস্তিষ্ক অবশ আজ ;

হাটতে হাটতে ক্লান্ত, এক প্রান্তে,
এসে দাড়ালাম।
ভাবনায় ব্যস্ত, মনের উপর ন্যস্ত,
চোখ বুঝে কল্পনায় হারালাম।

প্রতিহিংসায় ক্ষুন্ন করে, ধর্মীয় মুল্যবোধ
শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড ক্ষমা, নয় প্রতিশোধ
প্রেমের মশাল জ্বেলে বাড়িয়ে দাও হাত
জয় হোক মানবতার, বন্ধ হোক সংঘাত।

প্রতিটা ভোর মানুষের
জন্মতিথির মতো নিষ্পাপ
আর রাত্রিগুলো!
আঁধার কালো,

যে আঁধারে খুন খারাবি গুম হয় সোনার দেশটাতে ,
দুর করতে কি পারি না তা সমবেত চেষ্ঠাতে।
চার বছরের অবুঝ শিশু হয় যে শিকার ধর্ষণে,
যাচ্ছে ডুবে দেশটা তবে কোন আঁধারের বর্ষণে।

আজকে তোকে ফোন দিলাম,
রিসিফ করার আগেই কেটে দিলাম,
ভয় হয়েছিলো যদি তুমি বুঝে যাও আমি,
তাহলে ভাব্বে এখনো আমি তোমার প্রতি দুর্বল।

বিচ্ছিন্ন ছন্দে ছড়ানো রাস্তা-খুপরি-অফিস
মাথায় যেন শুধু পায়ের যোগাযোগ, আসলে
পাতার তলদেশে সরু সরু শিরা--শরীর
থেকে রক্ত শুষে নেয় শুঁয়োপোকা রোগ।

হয়তো হলুদ খামটা খোলা হয়নি,
রয়ে গেছে ড্রয়ারের খোপে বন্দী ।,
হয়তো খামের বোকা বাক্সে থাকা
বোকা বোকা শব্দগুলো হতে
পারেনি আজও কোন বাক্য ।

আষাঢ় যে চলে গেছে কাল
চেনা পথে এসেছে শ্রাবণ;
প্রকৃতিতে ধরণি উত্তাল
সবেতেই বিরহিনী মন।

দু'হাতে মুখ ঢেকে বসে থাকি আজকাল।
তাকিয়ে দেখার চাইতে সেই ভাল
দু'চোখে বুজে আঁধারে ডুব মারা।
আঁধার সোহাগ করলে নিশাচরের মতো জেগে ওঠে বোধ;

দিনের আলোয় ভালোমানুষ , আঁধারেতে ভয়ংকর ,
আঁধার নামলে " এসব মানুষ " হিংস্র পশুতে রূপান্তর ।
দিনের আলোয় সাধন-ভজন , আহারের আগে দেবতার নাম ,
আঁধার নামলে " ব্লো-হট " গান , আর সঙ্গে চাই নারীর ঘ্রাণ ।

বাইকের গতির কাঁটা যখন শত ছুঁয়ে যায়..
রোদ চশমায় প্রতিফলিত হয় কিছু স্বপ্ন...
চৈত্রের উত্তাপে গলে যায় রাজপথ...

তবে কি ওরা ভিনগ্রহ থেকে খড়খুটোর মতো পৃথিবীতে
ভেসে এসেছে?
তবে কি আমরা যাদের এলিয়েন বলি ওরাই তারা?

হে বিধাতা!
আমি জানতে চাই এ ধরা কী সুখ শুন্য?
নইলে আমার জীবন কেন সৃষ্টি করা হয়েছে কষ্টের জন্য?
কষ্টের সাথে পাঞ্জা করে লড়ে যাচ্ছি দিন রাত্রি
লড়ে যাচ্ছি, লড়ে যাবো কারণ আমি কষ্টেরই-যে যাত্রি।