আলোর মাঝে হাসি আমি
আঁধারেতে লুকাই,
জোঁকার মনের মানুষ আমি
অনাহারে শুকাই।

এই যে শুনছিস,
আচ্ছা সে কি এখনো আমার কথা মনে করে?
সে কি এখনো আমায় নিয়ে কেঁদে মরে?
তার তো আমাকে নিয়ে বাঁচার কথা ছিল,

অনেক পাথর ঘষে ঘষে রাত্রি এসেছিল।
রাত্রি ছিল অনেক স্থির, আধার,নিকষ কালো;
অনেক বরফ চাই ভেঙ্গে সে শীতল হয়েছিল।
মিটি মিটি তারা, অথবা সোনালী আলো-

দু'হাতে মুখ ঢেকে বসে থাকি আজকাল।
তাকিয়ে দেখার চাইতে সেই ভাল
দু'চোখে বুজে আঁধারে ডুব মারা।
আঁধার সোহাগ করলে নিশাচরের মতো জেগে ওঠে বোধ;

আজো আমি রাত্রিকে ভালোবাসি:
পেঁচার নরম ডাক ফিরে ফিরে আসি
নিয়ে যায় বেদনার নীল সংগীতে,
মনে হয় —ব্যথাতুর ধমনীতে
বহিয়াছো তুমি, বহিয়াছো প্রাণের ’পর,

দিন সে তো যায়, যাবে চলে হায়!
কে-বা শুনি আটকাতে তারে পারে
ঋতু যায় ঋতু আসে - বদলায়
বয়স সহসা চড়ে বসে ঘাড়ে!
দিন যায়-মন আঁধারেতে ছায়।।

আলোর মাঝে বেঁচে থাকা, আঁধারকে করি ভয়,
তবু আলো ভালো বাসেনা আমায়,
মন আঁধারেই রয়।

কোথায় আমি? কেমন করে?
যখন খুঁজবে তার উত্তর
হঠাৎ তুমি দেখবে ধরায়
তোমার নেইকো যে আর ঘর

এই বিশ্ব এই পৃথিবী আজ আঁধারে ভরা,
চারিদিকে শুধু কালো ছায়া।
এই আধাঁরে সঠিক পথ খুজে পাওয়া দায়,
যেন কোন এক দানবের মায়া।

আশার প্রদীপ যত নিভে গেলো সব,
থেমে গেলো জীবনের শত কলরব।
যে দিকে তাকাই শুধু ধুঁধু বালুচর,
জীবন মানেই আজি আঁধারের ঘর।

তোমাদের প্রভু গৌতম বুদ্ধ যদি বলে থাকে
মানুষ ও জীব হত্যা মহাপাপ তবে কি তোমরাই তোমাদের
প্রভুর বাণী ও শান্তির বিরোধীতা করছো না ?

প্রতিহিংসায় ক্ষুন্ন করে, ধর্মীয় মুল্যবোধ
শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ড ক্ষমা, নয় প্রতিশোধ
প্রেমের মশাল জ্বেলে বাড়িয়ে দাও হাত
জয় হোক মানবতার, বন্ধ হোক সংঘাত।

আমি যখন তোমাকে দেখলাম তখন গোধুলি সন্ধ্যা
চতুর্দিকে দৃষ্টি ফেলতেই দেখি কোথাও কেউ নেই
নিশ্চুপ অন্ধকার আর ঝিঝিপোকারা শুধু ডাকছে।

"প্রবেশ নিষেধ" লেখা দেখেও
ভয় না পেয়ে
এক অচেনা গুপ্তচর
প্রবেশ করে অস্তিত্ত্বের অন্ধকার মহলে।
তোমার হৃদয় নদীতে

এখানে আলো ছিল
ঝলমলে মুক্তোর মতো আলো
যে আলোয় ভর করে খেলা করতো সুন্দর।
এখানে আলো ছিল
শিশুর হাসির মতো শুভ্র আলো।