অন্ধকার তুমি কার?
যার ঘরে এখনো ইলেকট্রিসিটি পৌঁছায়নি, তুমি কি তার?

অন্ধকার তুমি কার?
ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়েছে যে প্রেমী যুগল, তুমি হয়তো তার!

হাটতে হাটতে ক্লান্ত, এক প্রান্তে,
এসে দাড়ালাম।
ভাবনায় ব্যস্ত, মনের উপর ন্যস্ত,
চোখ বুঝে কল্পনায় হারালাম।

সারাদিন ঘরের কাজ করে। পরিবারের সবার সেবা যত্ন শেষ করে। রাতে যখন মিথিলা পরী আর নুরীকে ঘুম পড়াতে যায়? মেয়ে দুটো মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে আবদার করে বলে " মা একটা গল্প বল না প্লিজ" মিথিলা'র একেবারে গল্প বলতে ইচ্ছে হয় না। রাজ্যের ক্লান্তি এসে শরীরে ভর করে।

সারাদিন পরিশ্রমের পরে,
চলে আসে রাতে,
রাত যে হলো ঘুমানোর সময়,
কিছুক্ষনের জন্য।

মধ্যবয়স্ক লোকটির জ্ঞান ফিরলো প্রচণ্ড পানির পিপাসা নিয়ে, জ্ঞান ফিরে সে দেখে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সে একটা খটখটে চৌকিতে শুয়ে আছে,

আজ ঘুমের ঘোরে পাশ ফিরতে গিয়ে দেখি,
আমার অজান্তে তুমি
ঠোটজোড়া স্পর্শ করে আছ!
তাই মস্তিষ্ক অবশ আজ ;

দুর্গম পথে
আলোর দুর্ভিক্ষ
নিশাচরের রাজত্ব
আঁধারে যন্তণায় চাইছে বিচার
ধিক্কার মানবতারে

মানবতা আজ ডুকরে ডুকরে কাঁদছে আধারে,
পরবাসী জনতা অন্ন পানিহারা,
ঘন মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন
কাদামাটি একাকার, খিধের জ্বালায় হাহাকার।

শীবু:- এটা কিন্তু ঠিক না?
রুমা ম্যাডাম :- কেনো কি হয়েছে!
শীবু:- ম্যাডাম, আপনি বার বার কেনো, ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখাচ্ছিলেন?
রুমা ম্যাডাম :- তোমার কাজ তুমি করো!!

ও পদ্মা, তুমি ওই কাদায় এত সৌন্দর্য কোথায় পেলে?
তোমাকে ছোঁয়ার আশায় আমার রাতের ঘুম হারাম হয়েছে।
ঘুটঘুটে আঁধারের মাঝে রূপালী আভায়-তোমায় ঐশ্বর্যসমূহ রত্ন হয়ে ঝরে পড়ে।

গভীর আধার রাত
করিতে ধ্বংস, আজ
উদ্যত কিছু কালো হাত ।

চারিদিকে শুধু ভয়াবহ অন্ধকার,
আর এই অন্ধকারে হলো আমার জীবন ছারখার ।
আলোতে আমি ছিলাম অনেক সুখে,
ভয়াবহ এই আধার নেমে এলো আমারই বুকে ।

বিচ্ছিন্ন ছন্দে ছড়ানো রাস্তা-খুপরি-অফিস
মাথায় যেন শুধু পায়ের যোগাযোগ, আসলে
পাতার তলদেশে সরু সরু শিরা--শরীর
থেকে রক্ত শুষে নেয় শুঁয়োপোকা রোগ।

আলোর মাঝে হাসি আমি
আঁধারেতে লুকাই,
জোঁকার মনের মানুষ আমি
অনাহারে শুকাই।

কোনো এক সন্ধ্যাবেলায়,
আকুন্ঠতায়,
দুলছিলো মন;