বাচিঁবনা মনে হয় আর বেশিদিন
দেখিবনা আর প্রভাতের দিবাকর
ফুটিবেনা শোভাকর শিউলি টগর

একটা শুক্রবার গাল,মুখ,চোখ ফুলিয়ে থমকে বসে থাকার,
দরকারি কাজগুলো হাতে না ওঠার,
ফোন রিসিভ না করার,বন্ধুদের আব্দার ফিরিয়ে দেবার,

আর যদি না ফেরে আলোক
অন্ধকার আগুনে যদি তলিয়ে যায় ভ্যুলোক, দ্যুলোক
তবুও আমি আর কাঁদবো না!

মা,
আমি শুনতে পাই তোমার
পাঁজর চিরে আসা আর্তনাদ,
জানি তোমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ
বাড়তে থাকে রাত জাগা আশংকায়।

তুমি বৃষ্টি চেয়েছিলে ঝুম বৃষ্টি,
আষাঢ় ধারা শ্রাবণের মতো সৃষ্টি।
যদিও আমি চেয়েছিলাম অনাধারুন দৃষ্টি,
পারলামনা, তবু তোমার চাওয়াটা পূর্ণ করে দিতে!
মাঠঘাট, পথ, নদী-নালা ভরে দিতে স্রোতস্বিনী হয়ে।

শূণ্যে বেঁধেছি আপনা ঘর
স্বপ্নেরা অগোচর,
জীবন ডিঙি যায় ভেষে যায়
গহীন সমুদ্দুর।

আমার আশার কলিরা হতেছে নষ্ট
মনের কোনায় দহন করে সে কষ্ট
এখন ও কথা বলছে চাই যে স্পষ্ট
তুমিই কেবল নেভানোর জল তার।

‌বেদনা‌তে বল কতখা‌নি পো‌ড়ে
হৃদয় না‌মের ঘর
‌কি‌সের দাহন বু‌কে মান‌বের
আপন কেন পর?

প্রিয়তম সকালগুলি বিষাদের কুয়াশায় ঘেরা
শিশির ফোঁটা যেন জমাট বাঁধা রক্ত,
হতাশা আর গ্লানিতে স্বপ্নগুলি পরিত্যাক্ত।

এ আগুন পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে সব,
দগ্ধ হিয়ার আর্তনাদ কিন্তু বোবাকান্না হয়েই রবে,
সকলে দেখবে ঝলসে যাওয়া মাংস পিন্ড,
কিন্তু দগ্ধ মানুষটিই কেবল সম্ভবত কোনো উচ্চবাচ্য করবে না,

রক্তাক্ত দেহটা যেদিন ভেসেছিল চোখে,
লাল কষ্টটা খুব জোরে হেসেছিল,
দেখ্, আমি কেড়ে নিয়েছি
তোর বেঁচে থাকার খড়কুটোকে।

আমা‌কে তু‌মি পরা‌জিত ই ব‌লো
ঐ দেখ কি সুন্দর বিহঙ্গ উ‌ড়ে যায়
ঐ বিহঙ্গ হ‌তে চে‌য়ে‌ছিলাম আমি
‌কিন্তু অবরুদ্ধ মোর ডানা।

হৃদয়ে আমার চাপা বেদনা বিঁন্দু বিঁন্দু করে
শুভ্র অনলে জ্বালিয়ে মনন বিষাদ সিঁন্ধু গড়ে
মনন পীড়ন হৃদয় জ্বলন কি-যে যন্ত্রনা!
অতিত স্মৃতি হাসে মিটি হয়ে কল্পনা।

কষ্ট দেখেছ কী কখনো?
আমিতো দেখেনি!
আমিতো দেখেছি মন্ত্রীর মুখে বিশ্বনবীর কুৎসা!
আমিতো দেখেছি কতশত মানুষের চরম অবহেলা।
আমি দেখেছি এক অসহায় নারীর চিৎকার!

বিবিধ আদরগুলো রেখেছিলাম; অতি গোপন প্রকোষ্ঠে
একাকী গভীর রাতে, অতি সঙ্গোপনে সে সব ছুঁয়ে দেখেছি বহুবার।
ভেবেছিলাম কানামাছি খেলার ছলে-