জানো,
আকাশটাও খুব করে কাঁদে,
একবার শরতের নীল মেঘকে সে ভালোবেসেছিল-
কিন্তু সাদা মেঘের সাথে সে (নীল মেঘ) উড়ে যায়!
মেঘ দেখলেই তাই সে কাঁদে,

সুখাধার গোলাপী হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে
বন্দি হয়ে পরেছিলাম আবেগের এক ইন্দ্রজালে
মায়ার গারদ থেকে মুক্ত বিহঙ্গের দলে আসতে আসতে
টের পেয়েছিলাম তার উপস্থিতি হৃদপিন্ডের অন্তরালে।

নিষ্ঠুর নিরবিনি সহিবে না প্রাণ,
তবু নীরবে করিতে হবে যেন সব দান I
সহিবেনা ব্যাথা কোন কারণে,
ভাবিয়া পেলাম কি তবু জীবনে I

মনে আছে আলো
কত আলোকবর্ষ দূরে ছিলে তুমি
কতটা অতল আর ছায়ার মত গভীর
মনে আছে আলো

পৃথিবীটা হইতো যদি এমনতর
রইতো সিমানা কারো মালিকানা অধিকার
বিধাতার জমিনে সবে মোরা ভাগিদার
নহে কেউ পর অধীন

আমরা গরিব দল; আমাদের নেইকো কোন বল;
সবাই দেয় গালি মোদের না থাকলেও ছল।
আমাদের কিছু করার নেই শুধুই চোখের জল,
দুঃখ কষ্টে জীবন যাপন এটাই মদের ফল

হয়তো কোন এক শতাব্দীতে এই পৃথিবী কিংবা
ভিন্ন মানচিত্রে আমার মতো অবিকল একজন আসবে
তোমার মতো দেখতে "তুমি"র যোগ্য প্রেমিক হয়ে।

হঠাৎ মনে হয় এলেন বুঝি তিনি
ঘড়ির কাঁটায় ভর করে, উড়ে উড়ে
দাগকাটা তালিকা একহাতে, অন্যহাতে পরোয়ানা –

হয়ত নেই তার কূল,
তবুও জলের গায়ে
সময়ের দাঁড় টেনে
চলেছি, তুমি আর আমি ।

এতটা নির্লিপ্ত না হলেও পারতে তুমি,
এতটা অসহায় না করলেও পারতে এই আকাশকে।

পরাজিত স্বপ্নের কাছে এতবার কেন ডাকছো আকাশ?
গোধূলির ঐ নেশা ধরানো রঙ
মুছে যাবে একদিন।

জ্বলন্ত মোমশিখা,

আপনারে রেখে অন্ধকারে,

বিলিয়ে দেয় আলোকধারা।

পুর্ণ জীবন নি:শেষ করে,

মেরুদন্ড যখন যায় ভেংগে,

যখন আর দাড়াতে পারে না।

আপন বক্ষে নিরঞ্জন-এ' ভালবাসা
রেখেছি ধরে, শত ভিক্ষে চেয়েছি
তুলে ধরেছি তার সামনে
অকাতরে প্রাণ ভরে।

ছোট বেলায় হারিয়ে বাবা মা
আজ পথে পথে ঘুরি।
খিদের জাতনায় কখনো
কেঁদে কেঁদে মরি।

পৃথিবীতে বড্ড অল্প সময়
কি হবে এত কষ্ট নিয়ে,
সবাই আসুন পৃথিবী সাজাই
মনের সব ভালবাসা দিয়ে।

ঋতুবতী ইলিশের মত আবেগী হওয়া ভালো না
কি দরকার স্বাদু জল?
ফুলদ বৃক্ষের মত রমণীয় কামনাগুলো ঠিক না
মিথ্যে কোরক ও ফুল......