বিষণ্ণ একঘেয়ে রাত্রি দিন,
মাঝেমাঝে গিলতে হয় অ্যাসপিরিন,
আজবাজে স্বপ্নের পায়তারায়,

তার সবুজ শাড়ির আঁচলের নকশীকাথায়
উড়ছিল ছোট ছোট ভালোলাগার লাল নীল প্রজাপতি,
যেন বসন্তের সমস্ত নিংড়ানো রং এঁকে দিয়েছে
তার কপালে এক বিন্দু লাল জলের টিপ,

সবুজ শ্যামল বাংলায় আজএকি অস্থিরতা
নৈতিকতার অবক্ষয়ে জীবন স্থবিরতা।
হানাহানি অবিশ্বাসের অস্থিরে আছে দেশ
সুস্থ ধারার রাজনীতি তাই এখন প্রায় শেষ।

জীবন তরীতে অনন্তকাল ভেসে বেরিয়েছি আমি
কখনো দুর্বার, কখনো মন্থর গতিতে।
গন্তব্যের অপেক্ষায় থেকেছি - কবে আসবে সেই দিন?

অস্তির আমি সেই তোর প্রেমে
বুঝিনি আমার জীবন যাবে থেমে
তুই কি শান্তিতে তাকিয়ে থাকিস
তোর চোখে ই আমায় মারিস ।

আদিম বন এর মাঝে জ্বালানো অগ্নিশিখায় ভরা
চোখের তারা।

অব্যক্ত এর ভাষা ধ্বনিত মুখে , আদিমতার
স্বরে কথা বলা ।
জলের দর্পণে দেখা নিজ ছবি ,
পদ্মপাতায় মোড়া ।

দিনরাত হরদম অস্থিরতা পিছু ধায়
সবখানে সবজনে অস্থিরতার ছোঁয়া পায়।

অস্থির পথঘাট যানজটে  হাসফাস
জীবনটা থেমে রয় সময়টা হয় ত্রাস।

কি হচ্ছে এই বাংলাদেশে মাঝরাতে যানজট
যানজটে ক্ষমতার সন্তান গাড়ীর জানালা খুলে
পিস্তলের গুলিতে অবলীলায় খুন করে নিরীহ জনতা?

এখনো হাতে আমার উটেনি, উটেনি ক বাঁশি,
রাশ রাশ ভারায়, রসেরি ধারায় দেইনি ক ফাঁসি, আমি প্রস্তুত, সদা প্রস্তুত শুধুই তোমার বলার অপেক্ষায়।

চারদিকি কোলাহল,ব্যস্ত শহর
হরকে স্বপ্নে কাটে প্রতিটি প্রহর,
জ্বলে জ্বলতে দাও সমস্ত বাতি
রঙীন হয়ে উঠুক সব রাতি।

শ্মশানের কয়লাই তার একমাত্র সাক্ষী
এক পৃথিবীর কাছে ঘৃণিত আবর্জনা
আর এই পৃথিবীর চির অবসানের অবশেষ...

সুখ পাখি
আকাশ পাণে,
দুঃখ সেতো
সঙ্গী বর্তমানে।

শঙ্খ শুভ্রের মত দেহ তার,হরিণীর মত চোখ,
হাসিতে যেন হাসছেএ ধরণী।
চোখের পাতায় স্বপ্ন ভাসে তার
মনোমুগ্ধকর সেই রমণী।

ঐ আকাশটা নীল চেয়ে দেখো,
ঐ সাগরের সাথে আছে কতো মিল।
কেনো জানো?
ভালোবাসার জন্য।
চেয়ে দেখো,
ফুটেছে কত রং বেরংয়ের পুষ্প
ঐ পুষ্প কাননে,

প্রথম দেখা মেয়ে
মনের আকাশে একবার দেখা দিয়ে
হ্যালির ধূমকেতুর মতো কোথায় গেলে হারিয়ে,