নীল নয়না আছমাকে
সেই যে হাফ প্যান্ট পরা থেকে
মনে রেখেছি;
অর্ধ শতক পেরিয়ে আজ
কেউ যখন বলে মধ্য গগনে সুর্য
অথবা কারো কারো মতে
আমার দুই পা ঢুকেছে কব্বরে;

খোলা আকাশ।আকাশ সব সময় কিন্তু খোলা থাকে না।আকাশ মাঝে-মাঝে ঢাকা থাকে।মেঘে ঢাকা থাকে।যখন আকাশ কাল মেঘে ঢেকে থাকে আর সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে তখন আকাশের মন খারাপ থাকে।এ জন্যই হয়তো কোন গায়ক গেয়ে উঠেছেন-আকাশের মন ভাল নেই আমাদের মন ভার নেই।সত্যি আকাশের মন খারাপ থাকলে মনটা কেমন খারাপ-খারাপ লাগে।আকাশ মুখ গুমড়া করে থাকলে মনে হয় আজ দিনটাই খারাপ যাবে।

ফাল্গুনের কোন এক পড়ন্ত বিকেলে,
হাটছিলাম সিটি মহাসড়কের ধারে,
চোখ যাচ্ছিল সরে সরে,
সেই অপ্সরীটির দিকে বারে বারে,

‘দেখেছো ফাল্গুন মাসেই আমাদের বিয়ে হল, তোমাকে আমি আগেই বলছিলাম মনে আছে’? ভিজিটিং কার্ডের এক টুকরা বাকা করে কিছুটা ঝালমুরি গালে দিতে দিতে রাহাতের দিকে তাকিয়ে বলল সুমি। মাত্র গতকালই বিয়ে হয়েছে ওদের।

মেয়েটির নাম পূজা মন্ডল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। এই ক্লাসে সাধারণত আমার যাওয়া হয় না। কোনও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তখন হয়তো যেতে হয়,প্রধান অধ্যাপক/অধ্যাপিকার নির্দেশে। এই ক্লাসের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ভীষন দুষ্ট প্রকৃতির।

অপর্ণা কল ধরছেনা।বার বার
কেটে দিচ্ছে।
অস্থির
সূত্রানুযায়ী নিশ্চয়ই অপর্ণার
বাবা বাসায় আছে।
অগত্য মেসেজ
পাঠানো ছাড়া উপায় নেই
আমার।
"সমস্যা কি?"

মাথার কাছে জানালা টা খুলে দিতেই এক পশলা ফাল্গুনী হাওয়া ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো।সে বাতাসে শীতের আমেজ।আমার পরনে তখন প্রিয়ন্তির দেওয়া হলদে রঙা পাঞ্জাবী।

প্রেম আলো আমার জীবনে
সেই আলো নিয়ে তুমি এলে
অন্ধকার করে গেলে ভুলক্ষণে
প্রেম গেলো, তাই জীবন জলে ।

এক ঝড়ের রাতে এই খানে আমি চিৎকার করছিলাম। পাশের বস্তি থেকে একজন রিক্সা চালক আমাকে তুলে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছিল। তার কিছু দিন পর এক দূর্ঘটনার সেই রিক্সা চালক, মানে আমার পালিত পিতা মারা যায়।

সিফাতের মোবাইল চার্জের অভাবে রীতিমতো কান্নাকাটি করছে।
সারাদিনের ব্যস্ততায় মোবাইলে চার্জ দেয়া হয়নি। ঠিক এই মুহূর্তে যখন মোবাইলের খুব প্রয়োজন, তখনই মোবাইলটা চার্জের অভাবে টি টি করে আর্তনাদ করছে। টিএসসির প্রচন্ড ভিড় আর কোলাহলের মধ্যেও সিফাত সেই টি টি কান্না শুনতে পাচ্ছে।

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।যদিও এটা একটি বিদেশীয়ান সংস্কৃতি; তবে আমাদের দেশেও অধিগাংশ জীবনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হেলেনা ও আজকের দিনটি বিশেষ দিন মনে করলো।

কয়েক দিন যাবৎ জাহান সাহেব অদ্ভুত ভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। চারপাশের চেনা-জানা সব কিছুই যেন তাঁর কাছে অচেনা মনে হয়। অথচ এ-রকমটা হওয়ার কথা নয়। তিনি খুবই সচেতন একজন মানুষ। সর্বোপরি তিনি একজন লেখক।

১৩ই ফেব্রুয়ারী,
পহেলা ফাল্গুন,
আজ সানজির জন্মদিন,
সকালে বসন্ত বরণের আমেজ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যাবে জন্মদিনের উৎসব । তার মা সাথী সানজিকে কিনে দিয়েছেন ফাগুণের বাসন্তী রঙা নতুন শাড়ী, বাবার আইনুদ্দিনের হাত দিয়ে আসবে জন্মদিনের প্রথম উপহার, প্রতিবছরই এমনই হয়, হয়ে আসছে । এই উপহার দুটোতে বাবা মা দুজনের ভালোবাসাই মিলেমিশে একাকার থাকে বলে এগুলো অন্যসব উপহারের থেকে আলাদা হয়ে বিশেষ হয়ে যায় ।

মরা ক্ষেতের কাছে আলের বুকে পা রেখে মনটা কেমন মুষড়ে যায় জয়নাল মন্ডলের। নিজের চোখকে শত্র“ মনে হয় এখন। বিরান জমিন খাঁ-খাঁ করছে, কাঠফাঁটা গরমে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়, জয়নাল মন্ডলের বুক হাপড়ের মতো উঠানামা করে। আগুন ঝরা রোদে পুড়ে-পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে জগতের মাটি, বাতাসে বইছে যেন আগুনের ফুলকি।

বৃদ্ধ ঈমান আলী নদী ভাঙ্গা মানুষ। ঢাকা শহরে এসে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। সংসার বলতে তার ছোট্ট একটি নাতি আর তিনি। আর কেউ বেঁচে নেই তার। নদী তার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে।