এই সত্ত্বা এখন স্বাধীন
এই দেহ নয় পরাধীন
এই মনন মেলেছে ডানা
উড়ছে পত পত আওয়াজে আকাশে
উড়ছে পতাকা আমাদের ছাদে
ডিসেম্বরের উত্তুরে হাওয়ায় ।

হানাদারের দল খেয়ে যায় কদু,
লাথি মেরে মেরে ধরে নেয় বধূঁ, জ্বালায় ঘর-বাড়ি।
জাগে জনগণ হাতে নেয় গান,
বাদ যায় না নাবালক- প্রাণ !

রাজ বসন্তের এই ঋতু, ফাল্গুনে!
রজনীগন্ধার শুভাস মাখা দিনে।
পারবো কি আমি,
পারবো কি ফুঠাতে সেই ফুল।
যার গন্ধে ভীম-ভৌমরা মৌমাছিও
হবে ব্যকুল।

সুখের আকাশে তিলে তিলে জমে গেছে
দুঃখ নামক বিলাসিতার ঘন মেঘ।
সেই সাথে উষ্ণ শিশির বিন্দুগুলো একজোটে
কপালে দেয় প্রবাহিত স্বেদ-তিলক!

এইতো আমার স্বাধীনতা ।
বাংলাদেশীর বীরত্বের গাঁথা
এইতো আমার স্বাধীনতা । ।

এখানে আমার বাবার কবর
এখানে আমার কাকা রুদ্র সেন
এখানে অনেকের ঘনিষ্ঠজন অনেক
এটা সমস্ত বাঙালির শোকের তীর্থ

আমার শারিরীক অক্ষমতার পাশে
কীর্তন খোলা নদীতে সাঁতারের দাগ ক্ষয়ে যায় ।
ক্রমশ অস্পষ্ট হতে হতে
ডায়েরির পাতায় ঘুমন্ত ছায়া এসে ঢেকে দেয় ।

ভালবাসার যে নিজস্ব সত্তা আছে-
তা শুধু উপভোগ নয়, উপলব্ধিরও বিষয় ।

ভালবাসা কারোর অনু-কম্পা চায় না ।

অযাচিত বর্বরচিত অধ্যায়
সেই পঁচিশ মার্চ!
পাক শকুন আর যত হায়েনা
খাঁমচে ধরেছিলো দেশের বুক!
রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত করেছিল যত সুখ!
ওরা কেড়ে নিল মায়ের হাসি,
শত বোনের সম্ভ্রম!

আমি হিমালয় দেখেনি , দেখেছি ‘বঙ্গবন্ধু’কে
আমি স্বাধীনতা দেখেনি , দেখেছি তাকে’ই ।
আমি সাগর দেখেনি , দেখেছি ‘সুলক্ষী’কে
আমি ভালোবাসা দেখেনি , দেখেছি তাকে’ই ।

আজকাল তুমি বড় বেশী রাত জাগো !

---কেমন করে বুঝলে?

অনুভব করি যে,
আমি এত দূর থেকেও ঠিক দেখতে পাই
তোমার না ঘুমানো লাল ফুলে উঠা দুচোখ ।।

রক্তের লীলাখেলা কি দেখেছিলে তুমি?
কিভাবে হয়েছিল স্বাধীন এই বাংলার ভূমি,
লাখো লাখো মানুষের রক্তে ভেজা নরম মাটি
ছিল তখন সোনার চেয়েও অনেক খাটি।

এখন বেশ আছি আঁতুড় ঘর, ক্ষুধা আর শীত
শূন্য হাত সকরুণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
বাজখাই গলা বেসুরো হাঁকে
এ জীবনের নিবেদন; এখন মানুষগুলো
যেনো কেমন কেমন, কেউ তাকিয়েও দেখে না!

ছোট ছোট শিশু আর ছোট ছোট ফুল,
ছোটরাও বড়োদের, হয় সমতুল।
ছোট ছোট কচিপাতা, নব কিশলয়,
ক্রমে ক্রমে পর্ণ রূপে পরিণত হয়।

ছেলে গুলো মারা গেল খাকি পাকি গুলিতে।
কেই বলে লেগেছে তা হাঁটুতে বা খুলিতে।
কেউ বলে লেগেছে তা একেবারে বক্ষে।
কেউ বলে লেগেছে তা সরাসরি চক্ষে।