অফিস থেকে দু’ দিনের ছুটি নিয়েছি। জ্বরটা কেন যেন বার বার আসছে! ডাক্তার দেখানো দরকার। সরকারী হাসপাতালে দশ টাকায় টিকিট কিনে লাইনে দাঁড়িয়েছি ঘণ্টা খানেক হবে। এতক্ষণে হয়তো আমার সিরিয়াল আসতো, যদি সিরিয়াল বহির্ভূত রুগীদের না দেখানো হতো। কেউ ঢুকছে ডাক্তারের আত্মীয় পরিচয়ে। আবার কেউ পিওনকে পটিয়ে আত্মীয় হয়ে যাচ্ছে। হায় বাংলাদেশ! নাগরিক অধিকার দিয়েছ, রক্ষা করোনা।
আরও চলিশ মিনিট পর অবশেষে আমার সিরিয়াল এলো। চেম্বারে ঢুকতেই ডাক্তার সাহেব মুচকি হেসে বসতে বললেন। ডাক্তারকে আমার খুব একটা পছন্দ হলো না। যারা মুচকি হাসে তাদের মনে নাকি শয়তানী চিন্তা বেশী থাকে! লম্বা গোছের, চিকন লিকলিকে দেখতে। কোঁকড়ানে চুল। বয়স অল্প। খুব সম্ভব জুনিয়র ডাক্তার হবেন। নিশ্চয় একগাদা পরীক্ষার লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলবেন- ‘অমুক ডায়াগনস্টিক থেকে করিয়ে আনুন।’ আমিও সহজে পাত্তা দিচ্ছি না! মুখের উপর বলে দেব- ‘কাছে টাকা নেই। সরকারী হাসপাতালে যেগুলো পরীক্ষা হয়, সেগুলো দিন।’
আব্বার নাম শুনে ডাক্তার সাহেব মনে হলো আকাশ থেকে পড়লেন! মানি ব্যাগ থেকে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে বললেন- “বিকেলে আমার চেম্বারে আসবেন।”
কয়েক দিনের জ্বরে মেজাজটা আগে থেকেই খিটমিটে ছিলো। তার উপর ডাক্তার সাহেবের এমন ব্যবসায়ী আচরণ আমাকে যারপর নাই ক্ষেপীয়ে তুললো। তবু দাঁতের উপর দাঁত চেপে সয়ে নিলাম। বিনয়ী ভাব দেখিয়ে বললাম- “পকেটের অবস্থা ভালো নয় স্যার। চেম্বারে দেখাতে পারবো না। দয়া করে এখানেই চিকিৎসা দিন।”
ডাক্তার সাহেব একগাল হেসে বললেন- “আপনার এতো কিছু ভাবতে হবে না। সব ডাক্তার একরকম নন। আপনি শুধু চেম্বারে আসবেন। ওখানে সব কথা হবে।”
ডাক্তার সাহেব চেম্বারে পরের রুগী ডাকলেন। আমি অগত্য কার্ড হাতে নিয়ে বেড়িয়ে এলাম।
বাইরে প্রচণ্ড রোদ। রিক্সায় উঠে হুট উঠিয়ে দিলাম। সব কিছু কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে। আব্বার নাম শুনে চেম্বারে ডাকতে হবে কেনো? আমার সাথে তার কি কথা থাকতে পারে?
লিকলিকে ডাক্তারের রহস্যময়ী হাসি মনে হচ্ছে আমায় তাড়া করে ফিরছে! ডাক্তারের নাম মফিজুল ইসলাম। সংক্ষেপে মফিজ হবে হয়তো। এই মফিজ নামের লোকদের আমি একদম সহ্য করতে পারি না। আমাদের গ্রামের এক পুলিশের নাম মফিজ। ব্যাপক কিপটে লোক। একবার তার বাগান থেকে দুটো আম পেড়েছিলাম বলে আব্বার নাছে নালিশ করেছিলেন। বাবার হাতের চড় খেয়ে সেবার আমার জ্বর এসে গিয়েছিল। আমি ক্ষেপে গিয়ে মফিজ পুলিশকে ‘কিপটে মফিজ’ নামে গ্রাম সুদ্ধ রাষ্ট্র করে দিয়েছিলাম।
রিক্সা ভাড়া চুকিয়ে বাসার দরজায় নক করলাম। আলো এসে দরজা খুলে দিলো। আলো আমার স্ত্রীর নাম। খুব ভালোবাসে আমায়। বেচারি আমার জন্য অনেক কিছু ছেড়েছে। অবশ্য আমিও কম ছাড়িনি।
জামা-কাপর ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে নিলাম। বিছানায় শুয়ে আভা মনিকে কোলে নিলাম। কলিজার টুকরো আভামনি। আমার একমাত্র মেয়ে। একদম শান্তশিষ্ট। ওর দিকে তাকালে রিপা আপার কথা মনে পড়ে খুব। খুব অন্যায় করেছি আপার সাথে আমি।
বিকেলের মৃদু হাওয়া বেশ আরামদায়ক মনে হলো। ডাক্তার সাহেব লিকলিকে হলেও তার চেম্বার বেশ তরতাজা। বেশ কিছু রুগী বসে আছেন। আমিও তাদের সারিতে যোগ দিলাম।
একে একে সমস্ত রোগী দেখা শেষে ডাক্তার সাহেব আমাকে ডাকলেন। সালাম দিয়ে চেম্বারে ঢুকে বসলাম। পিওন এসে কফি দিয়ে গেলেন। বিব্রত বোধ হচ্ছিলো আমার। ডাক্তার সাহেব আবারও সেই অসহ্য মুচকি হাসি দিয়ে কফি নিতে বললেন। কেনো যেনো এই ডাক্তারকে সুবিধার মনে হচ্ছে না আমার!
কফি খেয়ে মাথা ব্যথা খানিকটা কমলেও লিকলিকে ডাক্তারের রহস্যের ব্যাপারটি মাথার মধ্যে কিলবিল করছে।
- “আপনারা কয় ভাই-বোন?”- ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন। - “জ্বী? দুই ভাই-বোন?” - “আপনি বড়?” - “না। আপা বড়।” - “আপা কি করেন?” - “কিছু না।”- আমার বেশ রাগ হচ্ছিলো। কি অদ্ভুত মানুষ! ডেকে নিয়ে এসে আজে-বাজে প্রশ্ন করছেন। - “বাবা কি করেন?”
এবার আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো! কোনো ভাবেই রাগটাকে সামলাতে পারলাম না। চেঁচিয়ে উঠে বললাম - “আমি এসেছি চিকিৎসা নিতে, ভাইভা দিতে নয়। চিকিৎসা দিতে না পারলে বলুন, চলে যাই এখুনি।”
আমার উত্তপ্ত বাক্যেও ডাক্তারের মুখাবয়বের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম না। এজন্য আমার রাগটা আরও বেড়ে গেলো। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। ডাক্তারের মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না, পাছে রাগ আরও বেড়ে যায়- এই ভয়ে। কি ভয়ঙ্কর লোকটা! আমাকে রাগিয়ে নিজে দিব্যি ঠাণ্ডা আছেন এখনো!
আমাকে আবারও বসতে অনুরোধ করলেন অসহ্য ডাক্তারটি। আমি চুপচাপ বসে রইলাম। খানিক পর ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন- “আপনার রিপা আপার খবর জানেন?” প্রশ্নটা শুনে আমি যার পর নাই চমকে গেলাম। নিশ্চয় ডাক্তার সাহেব আপাকে চেনেন।
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ডাক্তারের দিকে। মুহূর্তেই আমার সমস্ত রাগ হিম হয়ে গেলো। ডাক্তার সাহেব আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন- “কি হয়েছিল আমাকে খুলে বলুন।” আমি বির বির করে বললাম- “ আপনি রিপা আপাকে চেনেন কিভাবে?” - “সে কথা পড়ে বলছি। আগে আপনাদের ব্যাপারটা বলুন।” - “আসলে আমি আপার সাথে খুব অন্যায় করেছি। তখন অনার্স ফার্স্ট ইয়ার আমার। আর আপা ফাইনাল ইয়ারে। আব্বা-আম্মা আপার বিয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিলো না। আপা থ্যালাসেমিয়ার র“গী ছিলো। এক-দেড় মাস পর পর রক্ত দিতে হতো। সে জন্য আমাদের সংসারে অভাব লেগেই থাকতো। আপুর বয়সের সাথে যেনো পেটটাও বাড়ছিলো! দেখতে খুব বিচ্ছিরি লাগছিলো। ডাক্তার বলেছিলেন- আপার স্প্লিন (প্লীহা নামক একটি অঙ্গ) বড় হয়ে গেছে। এটাকে মেডিকেলের ভাষায় ‘স্প্লীনোমেগালী’ বলে। এজন্য পেট উঁচু হয়ে যাচ্ছে। অপারেশন করে স্প্লিন কেটে বাদ দিতে হবে। তাতে এতো ঘন ঘন রক্তের ঘাটতিও পড়বে না। আবার পেটটাও কমবে। পাড়ার লোকজন খুব বাজে কথা বলতো। রাস্তায় চলতে-ফিরতে আপার বয়সী বখাটে ছেলেরা চেঁচিয়ে বলতো- ‘কিরে অপু! তোর আপা দেখি বিয়ের আগেই পেট বাধিয়ে ফেলেছে!’ খুব কষ্টের মধ্যে দিন গুলো কাটছিলো। অবশেষে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হলো। অপারেশনে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা লাগবে। মা তার গহনগুলো বিক্রি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।
৪ঠা অক্টোবর ২০১০ ইং। সারা রাত আলোর সাথে কথা বলেছি। খুব কান্নাকাটি করছিলো ও। আমরা দু’জন এক সাথে পড়তাম। পরস্পরকে খুব ভালবাসতাম। আলোর বাবা ওকে বিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। সেজন্য আলো আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। আমাদের পরিবারের যে অবস্থা, তাতে বিয়ের কথা ভাবা যায় না কিছুতেই। তাছাড়া আলোর বাবাও আমার সাথে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। বড় আপুর বিয়ে হচ্ছে না! অপারেশন করাও জরুরী। হঠাৎ-ই আমি যেনো মাথার উপর আকাশ সমান চাপ অনুভব করলাম।
৫ই অক্টোবর ২০১০ ইং। সকাল ১১টা বেজে ২০ মিনিট। মা তার গহনা গুলো বিক্রি করার জন্য দিলেন। আমি শহরে যাচ্ছিলাম। রাস্তার মধ্যে আলোর ফোন। রিসিভ করতেই সে প্রায় এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললো- ‘আমি কলেজে আছি। ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে এসো। পালিয়ে বিয়ে করবো। তুমি না আসলে সত্যি বলছি সুইসাইড করবো।’ আমার কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নানান ভাবনা অস্থির করে তুললো। নিজের প্রতি কর্তৃত্ব যেনো ক্রমেই লোপ পাচ্ছিলো! অজানা টানে কলেজের দিকে ছুটলাম। কি বুঝে কি করতে গিয়ে বন্ধুদের কথায় অবশেষে গহনগুলো বিক্রি করে আমার পরিবার আর আপার জীবন অন্ধকারে ডুবিয়ে আলোকে নিয়ে পালিয়ে গেলাম আলোর সন্ধানে। এরপর আমাদের ফোন বন্ধ রেখেছিলাম। বাড়িতে খবরটা যাওয়ার পর কি হয়েছিলো জানি না। আলোর বাবাও হয়তো চক্ষু লজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে আর এগোননি।
এরপর থেকে প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমি ছটফট করি। পরিবারের জন্য কিছু তো করতে পারিইনি বরং অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেছি। আমার নিষ্পাপ আপার সাথে বেঈমানি করেছি। শুনেছি পাড়ায় সবাই ছি! ছি! করেছে খুব। লজ্জা-ঘৃণায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি আমার।”
ডাক্তার সাহেব খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন। এতদিন পরে হঠাৎ এই লোকটা কেনো আমায় সব মনে করিয়ে দিলেন? কি চান তিনি? কিভাবে চেনেন আমাকে-আপাকে? বাবার নাম শুনে কেনো অবাক হয়েছিলেন? মাথাটা ভারী হয়ে এলো। খুব ইচ্ছে করছে জিজ্ঞেস করতে- “কে আপনি?” পারছি না কেনো যেনো! মনে হচ্ছে গলায় কিছু লেগে আছে। লেগে আছে কি? নাকি আবেগ? হয়তোবা।
খানিক পরে ডাক্তার তার টেবিলের ড্রয়ার থেকে নীল রঙের পুরনো একটি নোট বুক বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন- “এটা দেখুন। আপনার আপার নোট বুক।” আমি কাঁপা হাতে নোট বুকটি নিলাম। কিছুতেই যেনো বিশ্বাস হচ্ছিলো না!
পুরো নোট বুক জুড়ে মাত্র দুটিই লেখা। একটি আবার আমাকে সম্বোধন করে।
লেখাঃ১ “অপু! কেনো এমন করলি? বাবা-মা একদম ভেঙ্গে পড়েছেন। খুব কষ্ট পেয়েছেন তাঁরা। পাড়ার লোকজন যাচ্ছেতাই বলছে! বাবা তো লজ্জায় এক ঘরে হয়ে গেছেন প্রায়। মাঝে মাঝে সুইসাইড করতে ইচ্ছে করে! কিন্তু তোকে যে বড্ড ভালোবাসি রে। পাছে তুই ভাববি- তোর উপর রাগ করে এমন করেছি। খুব মিস করছি তোকে। যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস।”
লেখাঃ২ “পৃথিবীতে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছেন, যাঁরা নিজের আলোয় অন্যের ঘোর অন্ধকারও দূর করে দেন। অপু চলে যাবার পর কখনোই ভাবিনি আমার অপারেশন হবে। আবার নতুন জীবন পাবো। বরাবরই ডাক্তারদের ঘৃণার চোখে দেখে এসেছি। যখন তারা আমার অপারেশনের টাকা কিছুতেই কম নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন, তখন থেকে আরও বেশী। অথচ এই তরুন ডাক্তারটি আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমার জীবনটাই বদলে দিলেন! শুধু কি তাই? নিজের জীবনের সাথেও যে জড়িয়ে নিলেন!”
আমি অবাক হয়ে সেই লিকলিকে ডাক্তারের দিকে তাকালাম, আর অস্ফুট কণ্ঠে বললাম- - “তার মানে আপনিই--------?” - “হ্যাঁ, আমিই সেই লোক। তোমার অপছন্দের নামধারী মানুষ। দুঃখিত তোমাকে আর আপনি বলতে পারলাম না।” - “আপনার নাম অপছন্দ করি জানলেন কিভাবে?” - “তোমার আপাই বলেছে। তবে তোমার কাছে যা কিছু জানলাম, এতো দিন তা রহস্যই ছিলো।” - “আপা কোথায়?” - “বাসায় আছে। চলো। তোমার আপাকে এখনো কিছু বলিনি। গিয়ে একটা সারপ্রাইজ দেবো।”
আমি আর দুলাভাই রিক্সায় চেপে বসলাম। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে। ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলোয় নিজের গায়ের রং বদলে গেলো। সাথে জীবনটাও বুঝি! কেমন যেনো অচেনা লাগছে নিজেকে আজ! যতোটা হালকা মনে হচ্ছিলো, সেটিও আবার ভারী হয়ে এলো। যে দায়িত্বটা আমার ছিলো, তা এই ডাক্তার পালন করেছেন! এ ব্যক্তির সান্নিধ্যে যতক্ষণ থেকেছি, ততোক্ষণই যেনো বিরক্তি বোধ করেছি! অথচ সেই ব্যক্তিকেই এখন পুঁজো করতে ইচ্ছে করছে!
একটা গলির মাথায় রিক্সা এসে দাঁড়ালো। খানিক হেটে বামে মোড় নিতেই একটা চারতলা বাড়ি। দো-তলায় উঠে কলিং বেল চাপলেন দুলাভাই। কয়েক মিনিট কেটে গেলো। ওপাড় থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে দুলাভাই আবারও কলিং বেল চাপলেন। ভিতর থেকে আওয়াজ এলো- “আসছি-ই-ই---”।
আমার বুকের ভিতরটা ধ্বক্ করে উঠলো! কতো দিন পর রিপা আপার কণ্ঠ শুনলাম! হৃদপিণ্ডটা অতি মাত্রায় ঢিপ ঢিপ করছে। দরজা খুলে দিলো আপা। দুলাভাই এর পিছন পিছন ঘরে ঢুকলাম। এতো বছর পর আমাকে দেখে আপা হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠলো। বুকে জড়িয়ে ধরে বহুক্ষন কাঁদলও। আমি কতোক্ষন কেঁদেছিলাম জানি না। আপার কান্নার মাঝেও সেদিন এতো আনন্দ, ভালো লাগা আর উচ্ছ্বাস ছিলো, এর আগে কখনোই দেখিনি। আমি দু’চোখ ভরে দেখলাম আপার প্রতিমার মতো সুন্দর মুখখানি। হৃদয়টা জুড়িয়ে গেলো, মনটা শীতল হলো। আপার জীবনের আঁধার অধ্যায় কেটে গিয়ে যেনো অবশেষে প্রভাত হলো।
এশার নামাজের আযান পড়লো। দুলাভাই নামাজে গেলেন। বহুদিন পর আজ সীমাহীন শান্তি অনুভব করলাম। অনেক দিন নামাজ পড়া হয়নি। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমিও সালাত আদায় করে নিলাম।
মনের মধ্যে একটা কথা বহুক্ষণ ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আপার পেটের দিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটি করেই বসলাম - “আপা! তোর নাকি অপারেশন হয়েছে?” - “হুঁ হয়েছে। তো?” - “তবে পেটটা যে কমেনি!” আপা এক গাল হেসে বললো- “এবার যে সত্যি সত্যি -----।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।