দুনিয়াটা বধির এখন স্বামীহারা বিগত যৌবনার অসহায় ক্রন্দন কিংবা পিতৃহারা-রা যতই আহাজারীতে তোলপাড় করুক এ লোকালয়টা মানবতার ভাগাড় যেন। ফেরাউনের রক্ত চোখের সামনেও ফুটেছে অনেক ফুল,
অস্ত গেছে অনেক সুর্য্ পূবদিক থেকে অস্তাচলে্ এসে, তবুও দাবি করা ‘এ সভ্য জামানায় কেন জানি সেই প্রেতাত্মারা হানা দেয় বর্ণজানা বুদ্ধিবৃত্তির এই সুসভ্য চরাচরে...।
চোখ মেললেই দেখতে পাই সবকিছুই আলোয় আলোয় ভরা অথচ অন্তরের ব্যাপন প্রক্রিয়ায় হৃদ কোঠরে শোষিত হয় এ কোন আঁধার? বাক যন্ত্রে মড়ক লাগা বিবেক শুধু আঁতকে উঠে বর্ষনহীন আচম্বিতে গর্জে উঠা দেয়ার ঝলকানিতে …?
সবগুলো আর্তচিৎকার নির্যাতিতের কোথায় যেন হারিয়ে যায় ইহধাম ত্যাগ করে চলে যায় অনেকেই, যারা না যেতে পেরে কেরোসিনের কুপি হাতে অন্ধগলিতে খোড়াতে খোড়াতে ভাবে- সব ডুবোচর একদিন জেগে উঠবে সাজিয়ে দিতে ফুলেল বাগান, তার সবই যেন অলিক, আকাশ-কুসুম। তবুও উপায় খুজে খোড়াতে থাকা সম্মুখপানে, যদিবা উঁকি দেয় একবিন্দু আলো গুহাটার উল্টোদিখের মুখে…।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সৈয়দ আহমেদ হাবিব
সময় বা যুগটা আধুনিক তবে আধুনিক বলতে যা বুঝায় তার এক বিপরীতে বিশ্বে আমাদের বসবাস যেখানে পরতে পররে খাপটি মেরে থাকে স্বার্থ, লোভ, হিংস্রতা, আগ্রাসন এর মতো বিষয়গুলো। দুইটা পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়, এক পক্ষ্য শোষণ করে অন্য পক্ষ অসহায়, নাই আচার নাই বিচার, আছে কেবল হাহাকার। কবিও সেই দলের একজন।
খুব সুন্দর।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পৃথিবীর দেশে দেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতিত মানুষের আহাজারীতে সাধারণ মানুষ যারা, তাদের মনটা কেঁদে উঠলেও তাদের সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কোন উপায় নাই অথবা তারা তাদের সৃষ্টিকর্তা/আল্লাহ’র কাছে এই দশা থেকে মুক্তি চেয়ে ফরিয়াদ জানাতে পারে শুধু। কিন্তু যাদের সামর্থ আছে বা যারা পদক্ষেপ নিলে সমস্যার সমাধান হতে পারে তারা যেন কেউ শুনতে পায়না এই আহাজারী অথবা তারাও কোন না কোন স্বার্থচিন্তায় শোষকের সাথেই সখ্যতা করে এই আহাজারী’র মাত্রা আরো বাড়িয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে তাই সাধারন মানুষের পরিত্রান পাওয়ার ভাবনাটা যেন অলিক আকাশ কুসুম ভাবনা....আর আমিও যেন সেই সাধারনেরই একজন।
২৪ আগষ্ট - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
৪৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।