১ শুক্কুরবার ভোর রাইতে মা আমারে ফালায়া আব্বাসের লগে ভাইগ্যা যায়। মায়ের শইল্যের তাপ না পাইলে আমার ঘুম হইতো না। শীতের রাইতে ঠাণ্ডায় ঘুম ভাঙ্গে আমার। অন্ধকারে ডাইনে বায়ে বিছনায় হাত দিয়া মারে খুঁজি। না, মা নাই। দেশে তহন খুব অভাব। ইজ্জতের দাম বেশী নাকি এক বেলা ভরপেট ভাতের দাম বেশী অভাবী সংসারে তা খুব সহজ হিসাব।
অমার বয়স তহন মাত্র চাইর বছর। বুকের দুধের নেশা তহনও কাটে নাই। বছর তিনেক মায়ের বুক টাইন্যা দুই চাইর ফোটা দুধ পাইতাম। এর পরে টানলেও আর দুধ পাইনা। পেটে ভাত না থাকলে বুকে দুধ হইবো ক্যামনে। তাতে কি মায়ের স্তনের বোটায় যেনো মধু। মা আমারে চর থাপ্পড় মাইরা বারে বারে খেদায়া দিছে। স্তনের বোটায় তিতা মাইখ্যা রাখছে। তিতা স্তন কিছুক্ষন টানার পরে খুব স্বাদ পাইতাম। কিছুতেই কিছু করতে না পাইরা মা আমারে কাচা বাঁশের কইঞ্চা দিয়া পিটাইতো। আমি নাকি মায়ের জীবন শেষ কইরা দিছি। বাপ আমার ভাদাইম্যা আছিলো। কাম কাজ কিছু করতো না। ভাদাইম্যা গাঞ্জাখোড় বেডার সুন্দরী বউরে কেডা এক বেলার চাইল ডাইল দিয়া রাইত কাডায়া গেলো সেই দিকে খেয়াল নাই। মাঝে মাঝে আববাস আমারে কাঠি লজেন্স কিইন্যা দিতো। মুড়ির মুয়া কিইন্যা দিতো। লোকটা আমার মায়ের বিছানায় আইসা বসতো। কাঠি লজেন্স হাতে দিয়া আমারে ঘর থেইক্যা বাইর কইরা দিতো। তার পরে মায়রে জড়ায়া ধইরা বিছনার মধ্যে গড়াগড়ি করতো। দেশ তহন স্বাধীন হইছে মাত্র। আব্বাস আগে রেজাকার আছিলো পরে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়া মুক্তিযোদ্ধা হইছে। তার কোন অভাব ছিলোনা। অনেক টেকা পইসা আছিলো। আমার বাপেরে নেশার টেকা নাকি সেই দিতো। আর মায়ের হাতে চাইল ডাইল তুইল্যা দিতো। অভাবে ইজ্জতের চাইতে ক্ষিধা বড়। সন্তানের চাইতেও। আমার বাবাও জানতো তার বউ এর লগে আব্বাস রাইত কাডায়। তার কোন ক্ষমতা আছিলো না। যার বউরে এক বেলা ভাত দেয়ার মুরাদ নাই তার আবার অধিকার কি? ইজ্জত কি? এই ভাবে আর কয় দিন চলে। এক শুক্কুরবার ভোর রাইতে মা আমার আব্বাসের লগে ভাইগ্যা যায়। ভাইগ্যা গিয়া পালায়া থাহে নাই। সোজা আব্বাসের ঘরে উঠে। আব্বাসের ঘর আর আমাদের বাড়ি মাঝখানে ছয় সাত ঘর। সোজা পূর্বে। সাত ঘর উত্তরে আমার নানীর বাড়ি। সেদিন সইন্ধ্যা বেলা আমি কই যামু কোন কিছু বুঝতে না পাইরা আব্বাসের বাড়ী মায়ের কাছে যাই। সেদিন আর বুকের দুধ চাইতে সাহস হইলো না। আমার মায়েরে পর মানুষ মনে হইলো। গায়ে একটা নতুন শাড়ী। ঠোটের মধ্যে লাল রঙ কুপ্পীর বাতিকে চিকচিক করতাছিলো। মা আমারে কয়েক বার কইছে তুই তর দাদীর কাছে যাগা। আমি জীবনে মারে ছাড়া ঘুমাই নাই। আইজ ক্যামনে যাই। আমার কান্দন দেইখ্যা মা কইলো ঠিক আছে আইজ রাইতটা থাক কাইল সকালে যাইসগা। রাইতে আব্বাস আইসা আমারে দেইখ্যা ধমকাইতে থাকলো। যেই আব্বাস আগে আমারে চকলেট দিতো বিস্কুট দিতো আইজ আমারে ঘারে ধইরা বাইর কইরা দিতে চাইলো। মায় কইলো ঘরের এক কোনায় পইরা থাকবো। সেই রাইতেই আমার মউত অইতে পারতো। আমি মরি নাই। মরলে বাচতাম। নতুন জায়গায় আমার ঘুম আসতাছিলো না। ঘরের মধ্যে আমি ছাড়াও দুই দুইটা জ্যান্ত মানুষ তবুও আমার ভয়ে ঘুম আইতাছিলো না। একবার ঘুম আসে চোক্ষে তো আবার আজব শব্দে ঘুম ভাইঙ্গা যায়। আমি ভুইল্যা যাই আমি কই আছি। মাঝ রাইতে একটা দৃশ্য দেইখ্যা আমি চিক্কাইর দিয়া উঠি। কুপ্পীর আগুনে স্পষ্ট দেখতে পাই একটা লোমশ জন্তু বার বার আমার মায়ের উলঙ্গ শরিরে ঝাপাইয়া পড়তাছে। আমার চিক্কাইর শুইন্যা একটা হাত আমার গলা টিপ দিয়া ধরলো। মা আইসা আমার মুখ চাপ দিয়া ধইরা ঘর থেইক্যা বাইর কইরা দিলো। কইলো তুই তর নানীর বাড়ি চইল্যা যা। শীতের রাইতে আমি রেল লাইন দিয়া হাইট্টা নানীর বাড়ী চইল্যা যাই। সেই রাইতে নানীর বাড়ির ঘরের বারিন্দায় রাইত কাটাই। দাদির বাড়িতে গেলে না খায়া থাকতে অইবো। সেই জন্যই নানীর বাড়ি। মামারা ইট ভাটায় কামকাজ করে। নানীরে এক দুই বেলা খাওন দেয়। নানীর পাতের দুই মুঠ ভাতে আমার পেট ভালাই চলতাছিলো। পেট তো আর আজীবন ছোট থাকেনা। দিন দিন পেট আমার বড় হইতাছিলো আর মামীর ভাতের চাইলের হিসাবে গড়মিল ঠেকতাছিলো। মাঝে মাঝে নানীর খাওন বন্ধ কইরা দিতো। পোটের জ্বালায় মাঝে মাঝে দিনের বেলা মায়ের কাছেও গেছি। কতো বার মায়ের লাত্থি খাইছি, তাও গেছি। এমনে কইরা তিন বছর চইল্যা গেলো।
এর মধ্যে বাপে আরেকটা বিয়া করে। সেই বাড়িতেও আমার জায়গা নাই। ততদিনে আমি কিছুটা বুঝতে শিখলাম আমি সবার ঝামেলা। মায়ের ঝামেলা, বাপের ঝামেলা, নানী দাদীর ঝামেলা। শম্ভুগঞ্জ রেল ইষ্টিশন দেখা যাইতো নানীর বাড়ি থেইক্যা। কতো ট্রেইন আয়ে আর যায়। কই যায় জানিনা। কিন্তু কোন না কোন এক জায়গায় যায়। যেইখানে ভাত কাপড়ের অভাব নাই। যেইখানে কেউ কারো ঝামেলা না। ট্রেন থামে কমলাপুর রেল ইষ্টিশনে। পুলিশের লাঠির গুতায় ঘুম ভাঙ্গে। প্রথমে টোকাই, কিছু দিন পিকেটিং করছি। এই কাম ভালা লাগে নাই। তারপর চায়ের দোকানে। শেষে বারো বছর বয়সে বাংলাবাজারে এই ছাপাখানায়। অনেক লাত্থি গুতা খাইছি জীবনে। কতো ঈদ গেছে উৎসব গেছে হয় ফুটপাতে না হয় চায়ের দোকানের টেবিলে ঘুমাইছি। আমার বয়স তখন বারো বছর। আমার মুসলমানি করার চিন্তা আইলো মাথায়। কেডা করায় আমার মুসলমানি? আমি নিজেই গেলাম হাসপাতালে। ডাক্তার সাবরে কইলাম আমি মুসলমানি করতে চাই। পঞ্চাশ বছর বয়স হইছে বিয়া শাদীর কথা মনে হইলেই ভয় জাগে মনে। আমার বউ যদি দুধের শিশু ফালায়া পালায়া যায়! বশির তার মা বাপের দেয়া নামটাকেও ঘৃণা করে। তাই সেই নাম সে ভুলে গেছে। ভুলে গেছে তার মায়ের মুখ। মা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও সে জানতে চায় না। সে ছাপাখানার অক্ষর নিয়ে খেলা করে বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে চায়। (মিথ্যে গল্প লিখে লিখে আমার মনে এক ধরণের অস্থিরতা কাজ করে। এই বশিরের খোঁজ না পেলে এই সত্যি গল্পটা জানা হতো না।) ২ চলমান এক গল্পের নাম জীবন। মানুষ মরে যায় গল্প থামে না। বাবার দায় সন্তান শোধায়। মর্জিনা জানে তার কাধে কিসের দায়। কোন ঋণ তাকে শোধ না করে মরার উপায় নেই। এই জন্যই কষ্টকর জীবন বয়ে বেড়াতে তেমন ক্লান্তি নেই। আজ তিন তারিখ। সন্ধ্যার পর মর্জিনাকে নতুন বাজার যেতে হবে। প্রতি মাসের তিন তারিখ ডাক্তার শাকিল এই বুড়ির জন্য নতুন বাজার নুরুর মুদী দোকানে পাচশ টাকা পাঠিয়ে দেয়। মর্জিনার ঘরের পুরোনো জং ধরা টিনের চালে অনেক গুলো ফুটা। বর্ষায় বিছানায় পানি পরে। এখন বৃষ্টি বাদল চলে গেলেও বেড়া আর চালের ফাঁক দিয়ে রাতে কুয়াশা ঢুকে। এই টাকাটা পেলে পলিথিন কিনে আনবে। চার পাশ পলিথিনে ঢেকে দিলে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ডাক্তার সাহেব টাকা ঠিক তিন তারিখেই পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এই টাকার জন্য চার পাচ দিন ঘুরতে হয় এই বুড়িকে। আজ না কাল। সকাল না বিকাল করে কাল ক্ষেপন করে নুরু। টাকাটা হাতে আসার পর নুরু দোকানের মাল কিনে ফেলে। টাকাটা কয়েক বার ব্যবসার কাজে খাটিয়ে তার পর দেয়। মেরে খায় না, টাকাটা যে দেয় এই জন্যই বুড়ির কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।
রেলওয়ের জমি ঘেঁষে পৌরসভার খালের পাশে হরিজনদের বাস। এক সময় রেলওয়ের পুরো জমিটাই ফাঁকা ছিলো। হরিজনদের সংসার বড় হতে হতে প্রায় রেল লাইন ঘেষে ঘর উঠে গেছে। এদের সাথে দু চার ঘর মুসলিম পরিবার মিলে মিশে থাকছে। ঘর বেচাকেনা হয়। স্থানীয় নেতার চেলা চামচাদের নিয়ন্ত্রণে এই সব ঘর। হরিজনদের জন্য বরাদ্দ ঘর বেচাকেনা হয় না। রেলওয়ের জমিতে ঘর তুলে বিক্রি করে। কেউ কেউ মাসিক ভাড়ায় দেয়। এমন একটা চালা ঘরে মর্জিনা থাকে। পরের সাহায্যে দিন চলে তো চলে না। ভাড়া দিবে কোত্থেকে।
৩ বউ আমার কেনাকাটয় এক টাকা ঠকতে রাজী না। বয়লার মুরগীর দাম নাকি কমেছে। একশ টাকা কেজি। সন্ধ্যার পর ব্রহ্মপুত্রের তীরে কফিশপে বসে কফি খাচ্ছি। বউ ফোন করে। -হ্যালো। -কোথায় তুমি? বউ বলে। -কফিশপে। -ফিরবা কখন? -ঘন্টা খানেক লাগবে। -আসার সময় মুরগী নিয়া আসবা। -ঠিক আছে। আর কিছু? -না আর কিছু আপাতত লাগবে না। আর শোন, বয়লার মুরগী কিন্তু একশ টাকা কেজি। দশ টাকা বেশী চাইতে পারে দাম করে কিনবা। দোকানে গেলে তোমার তো আবার দামাদামি করতে শরম করে। -দাম এতো কমে গেছে! কি কও? -আসমান থেকে পরলা মনে হয়? দাম কমলে তোমার সমস্যা কি? -আমার সমস্যা কি? আমিতো কম দামে পাইলে বরং খুশি। কিন্তু আমার দেশের খামারী একশ বিশ পচিশ টাকা কেজিতে মুরগী উৎপাদন কইরা নব্বই টাকা কেজিতে পাইকারী বিক্রি করে, বিষয়টা আমার কাছে লজ্জার! -এতো জটিল হিসাব আমারে শুনায়া লাভ নাই। রাখি। -আচ্ছা রাখো। রিক্সায় উঠে নতুন বাজার যাচ্ছি মুরগী কিনতে। রিক্সায় উঠে আবার ফোন লাগাই বউকে। -হ্যালো। আবার কি হইলো? বউ ফোন ধরে বলে। -আচ্ছা মুরগী কি আস্তা আনবো নাকি জবাই কইরা। -কি যন্ত্রনায় পরলাম মুরগী কিনতে দিয়া! জবাই কইরা চামড়া ছুলায়া নিয়া আসবা! -ঠিক আছে। নতুন বাজারে মুরগীর দোকানে দাম জিজ্ঞাসা করি। দোকানদার বলে একশ দশ টাকা কেজি। আমার আর ইচ্ছে হলো না দাম একশ টাকা বলি। স্বপ্না দাম জানতে চাইলে না হয় একশ টাকাই বলবো। দোকানদার খাঁচার ভিতর থেকে ভাবলেশহীন, অর্ধেক শরিরে লোমহীন শীতল শান্ত দেড় দুই কেজি ওজনের মুরগী খামচা দিয়ে ধরে ওজন করে জবাই করছে। ছোট কালে মা বাড়িতে মুরগী পালতো। এর মধ্যে এক দুইটা মুরগীর ঘারে লোম থাকতো না। আমরা বলতাম ঘার ছিলা মুরগী। এই ঘার ছিলা মুরগী কোন এক দিন জবাই হতো। সেদিন মাংস খেতে আমার কেমন যেনো গা ঘিনঘিন করতো। কাউকে কিছু বলতাম না। এখন লোমহীন এই বয়লার মুরগী খেতে গা ঘিনঘিন করে না। খেতে খারাপ লাগেনা। দোকানদার মুরগীর চামড়া ছোলাচ্ছে। এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন কিছু একটা বলতে চাইছে। আমি পিছনে ফিরে তাকাই। সত্তুর বয়সী এক বৃদ্ধা। হাতে এক টুকরো কাগজ। তাতে একটা মোবাইল ফোন নাম্বার লেখা। আমাকে বলছে -বাজান এই লম্বরে একটা ফোন কইরা দিবাইন? -এই নাম্বারটা কার গো চাচী? উল্টো দিকের মুদি দোকানটা দেখিয়ে বলে -এই দোকানদার নুরু মিয়ার। আমি দোকানের কর্মচারীর দিকে তাকাতে সেও সম্মতিসূচক ইঙ্গিত দেয়। -কি জন্য দরকার তাকে? -এক ডাক্তার সাব আমার লেইগ্যা পত্যেক মাসে পাশশ টেহা দিয়া যায়। জিগাইতাম টেহাডা দিছে কি না। আমি নাম্বারটাতে পর পর বেশ কয়েকবার কল দেই। নুরু মিয়া আমার ফোন ধরে না। হয়তো অপরিচিত নাম্বার বলে। হয়তো সে জেনে বুঝেই রিসিভ করছে না। আমি বুঝিয়ে বললাম - চাচী, ফোন তো ধরছে না। বৃদ্ধা বললো -আইচ্ছা তাইলে আইজকা জাইগা। বাজান মুরগীর চামড়াডা আমারে দিবাইন? আমি দোকানদারকে বললাম মুরগীর চামড়াটা দিয়ে দিতে। বৃদ্ধা মুরগীর চামড়া হাতে নিয়ে কুজো হয়ে হেটে হেটে ফিরে গেলো। সে হতাশ হয়নি। সে কাল আবার আসবে। এক দিন সত্যি সত্যি নুরু তাকে টাকাটা দিয়ে দিবে। প্রতি মাসেই দেয়। মেরে খায় না। নুরু মিয়া মানুষটা খারাপ না। যেদিন টাকাটা পাবে সেদিন সে তার ঘরের জন্য ঘন কুয়াশা ফিরাতে পলিথিন কিনে নিবে।
৪ ঘরে ফিরে মর্জিনার একটা চিন্তার অবসান হলো। তার আর পলিথিন কিনার দরকার নেই। তার ঘরটা অন্য একজনের কাছে ভাড়া হয়ে গেছে। নগদ দুই মাসের ভাড়া অগ্রিম দুই হাজার টাকা দিয়ে এক রিক্সা চালক তার তিন বাচ্চা আর বউ নিয়ে ঘরে উঠেছে। ঘরের দুয়ারে মর্জিনার কাথা বালিশ আর গোটা কয়েক হাড়ি পাতিল একটা ব্যাগে ফেলে রাখা। নিজের সহায় সম্বল দুই হাতে বগলবন্দি করে রেললাইন ধরে হাটতে থাকে ষ্টেশনের দিকে। খানিকটা দূরেই ময়মনসিংহ জংশন। সেখানে শেডের নীচে নিরাপদে ঘুমানোর অনেক জায়গা আছে। তার মতো শত শত মানুষের ঠাই হয় সেখানে। ভাড়া দিতে হয়না। রেল লাইনের সিমেন্টের স্লিপার গুলোতে হাটতে হাটুতে বেশ শক্তি দরকার। তার সেই শক্তি নেই। রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছে মর্জিনা। যেতে যেতে মর্জিনার মনে পরছে চার বছর বয়সী ছেলেটার কথা। এমন এক শীতের রাতে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলো সে। মাঝ রাতে মনু কাঁদতে কাঁদতে রেল লাইন ধরে হেটে যাচ্ছিলো। আজকের মতোই ঘন কুয়াশা ছিলো সেদিন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
চলমান এক গল্পের নাম জীবন। মানুষ মরে যায় গল্প থামে না। বাবার দায় সন্তান শোধায়। মর্জিনা জানে তার কাধে কিসের দায়। কোন ঋণ তাকে শোধ না করে মরার উপায় নেই। এই জন্যই কষ্টকর জীবন বয়ে বেড়াতে তেমন ক্লান্তি নেই। ........// অসাধারণ!!!!!!!!!!!!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।