রাজধানীর আকাশে চাঁদ

রাত (মে ২০১৪)

এনামুল হক টগর
  • ১৪
  • ১৩
এখন ভাদ্র মাস
ঢাকা নগরের অশান্ত আকাশে
নতুন চাঁদ উঠেছে।
জহুরা বিভা তুমি কি জেগে আছো ?
আমাদের বিরহের স্মৃতিগুলো বুকে নিয়ে
যার উত্তাপের ভেতর পরস্পর
নিবিড় এক বিচিত্র প্রেম খেলা করে
বিস্ময় মৃদু জ্যোৎস্নার গভীরে!
তোমার বিশ্বাসের নিগূঢ় ভালোবাসা আমাকে ডাকে
আমি বুড়িগঙ্গা নদীর বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকি
আবার কখনো হেঁটে যাই
গুলশান, বনানী, উত্তরা, আশুলিয়ার পথ ধরে
পরম প্রিয় বিরহের দুটি হিয়া সাথে নিয়ে।
বিমর্ষ প্রকৃতির এই বিচিত্র ঋতু
আমাকে আর তোমাকে নতুন করে ডাকে
এক আপোষহীন প্রেমের করুণ ব্যথায়।
চারিদিকে ধূঁ ধূঁ মরীচিকা শূন্য ফণা
এক বিবেকহীন নৈরাজ্যের গভীরে
কে যেন বিশ্বাসের বাঁশি বাজায়
তরুণ বাউলের মতো একতারা হাতে
কোন ব্যর্থ প্রেম অতীত যন্ত্রণার সুরে।
নগরের পথ দিয়ে নীলস্মৃতিরা হেঁটে যায়
আগামী দিনের নতুন স্বপ্ন আর সোনালি দিনের আশায়
তোমার গহন শরীরের ভাস্কর্য ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সহিষ্ণু জীবনের গভীরে প্রস্তর কারুকার্য
অন্তর্গত এক বিস্ময় ভালোবাসা নির্মাণ করে!
যা পুড়ে পুড়ে অগ্নি হৃদয়ের মতো লাল হয়
তার দহনে আলো ছড়ায় অন্তঃকরণ অদৃশ্য প্রিয়া
তারপর সভ্য কিশোরীর মতো তুমি নতুন রূপ ধারণ করো
এক সময় আড়ষ্ট যৌবনপ্রাপ্ত গতিময় হেঁটে যাও_
নীল পাখির মতো স্বপ্নের ডানা মেলে।


ছায়াময় বৃক্ষের শরীরে সবুজ সোনালি ফল দোলে
প্রস্ফুটিত শিল্পের মতো স্নিগ্ধ মাটির শরীর থেকে
জীবনের শূন্যতা ছুঁয়ে পিপাসার দুটি হাত বাড়ায়
পৃথিবীর মতো সবুজ নীল বিবর্ণ রঙে।
নি®প্রদীপ জীবন তোমাকে ডাকে
জহুরা বিভা জহুরা বিভা তুমি জেগে ওঠো
তোমার ভালোবাসার ব্যথিত শরীরে
পূর্ণ জ্যোৎস্নার আলো তাপ দেয়—
তারপর ধীরে ধীরে শেষ হতে থাকে আঁধার রজনী।
কোমল চাঁদ মিশে যায় পৃথিবীর ছায়া পথে
তখন ক্ষুধার্ত জীবনের করুণ সুর ভেসে আসে
আশ্বিনের শিশির ঝরা গানে—
যেন বেদনার দীর্ঘশ্বাস জুড়ে তোমার প্রেম
উদাস বাতাসে কাঁদে রৌদ্রময় দিন
তারপর আবার রাত আসে
অসংখ্য জীবন হেঁটে যায়।
আকাশে চাঁদ ওঠে জ্যোৎস্না ছড়ায় রাজধানীর বুকে
আমি আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকি
আর তোমাকে খুঁজতে থাকি, তোমাকে খুঁজতে থাকি
প্রেস ক্লাব, মতিঝিল, মিরপুর, সংসদভবন
কখনো সদরঘাট লালবাগের কেল্লায়,
হাঁটতে হাঁটতে এক সময় চাঁদ ডুবে যায়
জ্যোৎস্নার আলো শেষ হয়
কিন্তু তখনও তুমি ফিরে আসোনা
তাই আমি আবার নতুন করে
আঁধারের বুকে গিয়ে দাঁড়াই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম নার্গিসের মামা নজরুলকে ঘর জামাই থাকবার প্রস্তাব দিলে রাগে অপমানে বাসর রাতেই তাকে ছেড়ে ঝড়ের রাতে বেরিয়ে যান । তারপরে কোলকাতায় ফিরে গিয়ে "বিদ্রোহী" নামক দীর্ঘ্য কবিতা লেখেন , যা দুনিয়ার কবিতার ইতিহাসে সাড়া জাগায় । আপনার দীর্ঘ্য কবিতায় বিরহ বিদ্রোহের ছোয়া (ছোয়াতে চন্দ্র বিন্দুটি দেয়া যাচ্ছে না বলে দু:খিত) পেলাম ।
কাকাতুয়া সুন্দর কবিতা . ভালো লেগেছে
আখতারুজ্জামান সোহাগ শব্দচয়ন ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল কবির জন্য।
মোজাম্মেল কবির অসাধারণ... শুভ কামনা রইলো।
ওসমান সজীব কবিতা পড়তে পড়তে কোথায় যেন ডুবে গেলাম খুব সুন্দর কবিতা
তাওহিদুল ইসলাম নোমান অসাধারণ। আমন্ত্রণ রইলো আমার কবিতায়।
Gazi Nishad অসাধারণ। ( ৫ ) আমন্ত্রণ রইলো আমার কবিতায়।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভালো লাগা রেখে গেলাম। শ্রদ্ধা জানবেন।
আপেল মাহমুদ অনেক ভালো লাগল। শুভেচ্ছা জানবেন।
ক্যায়স হাঁটতে হাঁটতে এক সময় চাঁদ ডুবে যায় জ্যোৎস্নার আলো শেষ হয় কিন্তু তখনও তুমি ফিরে আসোনা তাই আমি আবার নতুন করে আঁধারের বুকে গিয়ে দাঁড়াই। অসাধারণ কবি.. শুভেচ্ছা জানবেন..

২১ অক্টোবর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৯৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪