টিংটিঙ্গা শরীর, চোক্কা নাকের যাদুকর
শ’খানেক লোকের ভিড়ে একলা নায়ক
রাস্তার নুড়ি তুলে হাতে, অবাক তাকিয়ে
দাড়িআলা, ছেলে-বুড়ো, নির্বাক যাদুকর বলয়ে।
নুড়িটুকু তাদের মুখে পুড়ে দেয় যাদুকর, তারপর
বুজুর্গান চিবুতে থাকেন, মুখে নূরানি আভা
আহা- যেই সেই নয়, “এক্কেবারে আরবের খাজুর”...
তৃপ্ত যাদুকর, অত:পর বড়দের জয়তুন খাওয়ালেন।
ঝোলা থেকে তুলে আনা তাবিজ- কবচ
একে একে তুলে দিলেন সবার হাতে
শাহজালাল, শাহপরাণের মাজারের পবিত্র মাটি...
পীরের কসম, হাতের মুঠোয় রেখে- বৃদ্ধাঙ্গুলির
নখে তাকান, গভীর করে দেখেন, উহু... চোখের আরো কাছে।
কি! যার মা “সতী” দেখা যায় কি নখের ভিতর?
দাড়িআলা, আলুথালু জোব্বাধারী বুড়ো, জোয়ান
সবাই দেখে, শুধু অবুঝ বালক এক দাড়িয়ে নিথর
তার আঙ্গুলের ঘোলাটে নখে শুধু মন্দ আলোর প্রতিধ্বনি।
তারপর দুই যুগ পেরিয়ে মধ্য বয়সে সেই বালক
আরেকবার চাঁদের দিকে তাকিয়ে, গভীর করে তাকিয়ে...
কিছু একটা খোঁজে, খোঁজে ইমানের জোর
পূর্ণিমার আলো চোখ ধাধিয়ে দেয়, জ্যোৎস্নার আলো
সেখানে নেই কোন অবয়ব, ঈমানই নিশান।
কতদিন? আর কতদিন...
এভাবেই নিরন্তর মানসিক দহন, মিথ্যের বেসাতি?
এমন দিন জন্মাবে যেখানে কোন দোহাই থাকবে না
মনস্তাত্ত্বিক চাপ, মুঠোয় তাবিজ ধরিয়ে সতীত্বের
চাঁদে তাকিয়ে ইমান যাচাইয়ের ছোবল থেকে বেরিয়ে
একটা নতুন ভোর, নতুন দিন, সভ্যতার, মনুষ্যত্বের।
২৬ আগষ্ট - ২০১২
গল্প/কবিতা:
১০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪