বধূ সাজতে কি লাগে?হাতে রেশমী চুড়ি নাকে নোলক মাথায় টিকলি,কানে সোনার দুল,গলায় পদ্ম হার আরো কত কি? ঝুমুর ভাবে এবার বুঝি বধূ সাজবে, হাতে লাল রঙের মেহেদী লালবেনারসী শাড়ী, শাড়ীর আঁচল জুড়ে সোনালী কারুকাজ সেই সাথে লাজুকতায় ভরা মুখ। নাগরিক জীবনের রাতের নিয়ন আলোতে সে স্বপ্ন প্রতিদিন ধূলিসাৎ হয় । সে প্রতিদিন বধূ সাজে ফুলশয্যা হয় বিনা বাসরে, সেখানে গোলাপের পাপড়ি থাকেনা থাকে শুধু কিছু পথভোলা পুরুষের শরীরের উদ্যাম খেলা।রাতের পর রাত বধূর সাজ মোচড়ানো বিছানায় ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের মত কুঁকড়ে যায় প্রতিদিন।
এই শহর যেমন ছিল একটু ও বদলায়নি,গত দশ বছরে একটি লাল শাড়ী আজো হয়নি কেনা।প্যারালাইজড বাবার ঔষুধ কেনার সাধ্য হয়না এই শরীর বেচে।এই শহর দিতে পারেনি তথাকথিত সভ্যসমাজে বেঁচে থাকার নুন্যতম অধিকার।রাতের আঁধারে যারা ঝুমুরকে নিয়ে পুজোয় মত্ত থাকে তারাই ঘৃণা নিয়ে তাকায় দিবালোকে।তবু ঝুমুর বেঁচে আছে। রেললাইনের পাশে বস্তিঘরে দিনের আলোতে আঁধার খেলা করে। এখানে নিদ্রায় মগ্ন কিছু মাধুরী স্বপ্ন দেখে কেউ একদিন আসবে , বুকের মাঝে পাহাড় সমান জমানো দুঃখ ঘুচিয়ে দিবে ভালোবেসে হাত ধরে বলবে চল পালাই তথাকথিত সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বলবে তুমি এই লাল বেনারসি শাড়ীটি ধর, সাজো বধূর সাজে মুখে লাজুকতা নিয়ে।সন্ধ্যার আযান ঝুমুরের ঘুম ভাঙ্গে।দ্রুত প্রস্তুতি নেয় রাতের অভিসারের আলনা থেকে তুলে নেয় এক বাবুর দেয়া লাল বেনারসি , গলির পথে তখন নিয়ন লাইট গুলো জ্বলতে শুরু করেছে মিটমিট করে, পেটের ক্ষুধা ও তখন জ্বলতে থাকে বেনারসী শাড়ীর আড়ালে থাকা ঝুমুরের মাঝে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
এই কবিতা (সম্ভবত গদ্য কবিতা লেখার প্রয়াস) পড়ে আগের কবিকে পেলাম না । লেখাটায় আরো একটু সময় ও যত্নের প্রয়োজন ছিল বলে মনে হল । তবে কবিতার থিম খুবই বাস্তব - শুভকামনা কবি
আহমেদ সাবের
গল্প আর কবিতার সীমারেখা আমার কাছেও তেমন স্পষ্ট নয়। আমার মনে হল, প্রথম প্যারাতেই কবিতাটার সমাপ্তি হতে পারতো। দ্বিতীয় প্যারাটা লেখাটাকে অনেকটা গল্পের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।