রক্তাক্ত অক্ষর গুলো আমার। অনেকটা পথ হেটে এসে বৃদ্ধ হয়েছে সেগুলোও আমার। এ ভাষার প্রতিটি বর্ণে লেগে আছে সুখ-অসুখ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, রক্তক্ষয়ী আন্দোলন- সেগুলো আমার গর্ব। কারণ- আমি একজন জাত বাঙ্গালী। ভাইয়ের রক্ত-স্রোতে অর্জিত বর্ণ আমার- একেকজন রাজা, উজির, সেনাপতি! আমি বাংলায় কথা বলে পৃথিবীর মহা-সাগর সাঁতরাতে চাই- হিম্মৎ দেখাই! এসব স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ সাথে করে যেতে চাই- পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমের অলিগলির শেষ মাথা পর্যন্ত, পূতে দিতে চাই- বাংলাভাষার লাল সবুজের বীজ লকলকে বাংলা কবিতার। আমি পৃথিবীর মুখে বাংলাভাষার বোল ফোটাতে চাই! কারণ- আমি একজন জাত বাঙ্গালী। আমার ধূসর দৃষ্টি, শ্রবণ শক্তি, বাক্য-ধ্বনি পায়ের তলা থেকে চুলের ডগা অব্দি এরা সবাই বাঙ্গালী।
আমার ধুলোমাখা বাংলার সবুজ দেশ, রক্তাক্ত লাল বুক! এরা আমার অস্তিত্বের পরিপূরক। আমি সবুজে হারিয়ে যাই, মুখ লুকাই, অভিমানে ফেটে পড়ি, কখনো দুর্বার, কখনো সাহসী সৈনিকের সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ি শত্রুর বুকের উপর। কারণ- এ বাংলাদেশ আমার, এ বাংলাভাষা আমার, এসব রক্তাক্ত অক্ষর গুলো আমার। অনেকটা পথ হেটে এসে বৃদ্ধ হয়েছে সেগুলোও আমার। আমার বাংলাদেশ আমার বাংলাভাষা, তুমি লক্ষ বছর বেঁচে থাকো- শিরদাঁড়া সোজা করে মস্তক উঁচিয়ে করে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তাপসকিরণ রায়
বাঃ,খুব,খুব ভালো লিখেছেন কবিতাটি।ভাষার প্রতি নিবেদিত একটি কবিতা -- উচ্চ মানের কবিতা পেলাম,ভাই!ভাব ভাষা শব্দ সংযোজন টানটান ধারাবাহী লেখাটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল,ভাই !
ওসমান সজীব
আমি বাংলায় কথা বলে
পৃথিবীর মহা-সাগর সাঁতরাতে চাই- হিম্মৎ দেখাই!
এসব স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ সাথে করে
যেতে চাই-
পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমের অলিগলির শেষ মাথা পর্যন্ত, অনবদ্য কবিতা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।