শুভ জন্মদিন আব্বু। রাত ১২টা ১ মিনিট বাজতেই লেখক কন্যা তামিমা সুলতানা তিন্নি মোবাইলে এসএমএস করলো লেখক সালেহ আহমেদকে। তার পর পরই ম্যাসেজ দিয়ে জানালো লেখকপুত্র তামিম আহমেদ লিংকন শুভ জন্মদিন বাবা। ছয় বছরের ত্রিশ পারা কুরআনের হাফেজ ছেলেটা আব্বু বলতে চায় না। বাবা ডাকটি ওর ভীষণ পছন্দ। দুইটা 'বা'শব্দ মিলে বাবা শব্দটি অভিন্ন একটা প্রিয় মধুর শব্দ। আভিজাত্য সংস্কৃতিপনা বাবাকে আব্বু,ডেডি, পাপ্পা শব্দগুলো তাঁর কাছে গা জ্বালার মত অসহ্যকর মনে হয়। পৃথিবীতে যেসব শব্দ অতি নান্দনিক,মাধুর্যপূর্ণ,মায়া-মমতা,স্নেহ-আদর অর্থবোধক নিহিত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বাবা একটি। প্রচুর ভালবাসা,অকল্পনীয় স্নেহ,সৌহার্দ্য এই বাবা ডাকটির মাঝে অনুভব করা যায়। মিসেস তামান্না রহমান লিপি রাতের বিছানায় শুয়েই মোবাইলে প্রথম আলো ব্লগের লেখক সাহেবের লেখা পড়তে ছিলেন। লেখক সাহেব পাশ ফিরে আধা ভাঙা ঘুমে আচ্ছন্নবস্থায় দু'একটি মশা মেরে চলেছেন। মাথার উপরে বৈদ্যুতিক পাখাটা যেভাবে ঘুরছে সেখানে মশা থাকার কথা না, কিন্তু আজকে এতো পরিমাণ মশা ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে,তা কল্পনাতীত। কানের কাছে পুনঃপুন ঠিক যেন পপ গানের এক ঝাঁক শিল্পীর সুরেলা টানের মনমাতানো গানের সূর। শুনতে খারাপ লাগছে না,তবে কামড়টাও সহ্য হচ্ছে না। মশারা আজ এভাবে দল বেধে আসার কারণটি কি? ও মনে পড়েছে। প্রতি বছরেই এই দিনে মশারা ঝাঁক বেধে আপ্যায়িত অতিথির শরীরের বাসায়া হৃষ্টপুষ্ট হতে আসে। তবে বাসা থেকে খেয়ে আসে,এমনটি নিশ্চিত হওয়া যায় না। নইলে এসেই কুট্টুস করে কামড় বসিয়ে দিত না। কয়েক ফোঁটা রক্তই ওদের প্রিয় খাবার। খেতে থাক,ফ্যানের বাতাসে যতৰণ টিকে থাকতে পারে।
শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক সাহেব। ভালবাসার লাল গোলাপের ভিতর আমার ভালবাসার সুগন্ধ ফুলের শুভেচ্ছা নাও। এরপর বিছানা থেকে উঠে আলমারির দিকে পা বাড়ান মিসেস লিপি। গতকাল তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজার থেকে একটা পছন্দের গিফট কিনে এনে আলমারিতেই ভালবাসা হস্তাক্ষরে লেখা হয়েছে প্যাকেটটির উপরের পিঠে। সেই পছন্দের উপহারটা বের করে এনে লেখক সাহেবের হাতের মুঠোতে দিতেই মুচকি হাসি টেনে বলল-শুভ জন্মদিন। লেখক সাহেব অবাক হন। খুব সুন্দর একটা প্যাকেট। ভালো লাগার সমস্ত অনুভূতি যেন এই গিফটের প্যাকেটে রয়েছে। প্যাকেটটা হাতে নিয়ে হাসির জোয়ারে অনুভূতির ভিতর জেগে উঠে ভিন্ন উষ্ণ কামনা। কামনার শিরা-উপশিরায় সৃষ্টি হয় স্বামীর ভিতরটার আদি যৌবন তন্ত্রের শিহরন। দু'এক মিনিটের উষ্ণ চুম্বনের পরে হাস্যজ্জলে লেখক সাহেব বললেন-
আগামী কাল নিশ্চয় কোন প্রোগ্রাম সাজিয়েছ?
হ্যাঁ,অনুষ্ঠানটা সাজাচ্ছে তিন্নি-লিংকনই। দুজন মিলে তোমার কাছে পঁচিশ হাজার টাকা তোমার জন্মদিন উৎসব পালনের জন্য চেয়েছে।
-কি বলো?
-দিয়ে দিও।
-কিন্তু, তাই বলে পঁচিশ হাজার টাকা!
-কিসের কিন্তু করছো লিপি,এরাই আমাদের ঘরের সৌন্দর্য,আঙিনায় ফুল বাগান,জাতির ভবিষ্যৎ। আচ্ছা টাকা দিয়ে কি প্রোগ্রাম সাজিয়েছে বলেছে?
-হ্যাঁ বলেছে। তোমার ডায়েরী থেকে জেনেছে ভিন্ন একটি অনুষ্ঠানের কথা। ডায়েরীতে তুমি লিখেছ ফারুখ আজম নামক এক ব্যক্তির কথা। তাঁর অদ্ভুত কিছু থিমের কথা উল্লেখ করেছ। তার মধ্যে অসহায় মানুষদের জন্য কিছু করা। সেই থিম ধরে একশ অসহায় বাবাকে দাওয়াত করেছে।
-মানে?
-যেসব বাবা বৃদ্ধাশ্রমে জীবন কাটাচ্ছেন,কতক ধারে ধারে ভিৰার থালা নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানো গতকাল কি বললো লিংকন?
'কি?
-লিংকন আর তিন্নি কারেন্ট বিল দিতে গিয়েছিল তেঁতুলিয়া সোনালী ব্যাংকে। ফিরে এসে লিংকন বলতে শুরু করলো-জানো আম্মু ব্যাংকে কিছু বৃদ্ধকে অসহায় চেহারায় দেখতে পেলাম। তারা প্রত্যেকেই বয়স্ক ভাতা নিতে এসেছে। ব্যাংকের কিছু কর্মচারীকে এদের উপর চড়াও হতে দেখেছি। একজনকে সহযোগিতা করলাম। জিজ্ঞেস করলাম দাদু আপনার বাসায় কে কে আছেন? বলল-দুটো ছেলে,ঢাকায় চাকরি করে। আলিশান ফ্ল্যাটে বাস করে সুন্দরী বউকে নিয়ে। বাবা-মার কথা বিলকুল ভুলে গেছে। বলো দাদু এই বয়সে! চোখেও তেমন দেখিনা। এই অসহায় বৃদ্ধকে দেখে আমার কষ্ট হচ্ছিল। আমি উনাকে সহ পনের জনকে দাওয়াত করেছি।
-মহান আল্লাহকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লিপি।
-কেন?
-মহান সত্তা আমাদের ঘরে এমন দুটো ছেলে-মেয়ে দিয়েছেন,এই বয়সেই এরা সহমর্মিতায় মানুষের কষ্ট বুঝতে সৰম।
-ঠিক বলেছ তিন্নির আব্বু। গর্বে আমারও বুকটা ভরে যায়। চলো ঘুমিয়ে পড়ি রাত তিনটা।
-আচ্ছা...বলে রাত্রির আঁধারে নেমে আসে তন্দ্রা। রাতের ভিতর কাটতে থাকে ঘুমন্ত পৃথিবী।
পরের দিন দুপুর দুইটা। লেখক সাহেবের বাসায় সাজসজ্জা অনুষ্ঠান। প্রায় দেড় শতাধিক অসহায় বাবারা এসেছেন লেখক সাহেবের জন্মদিন উৎসবে।প্রত্যেকের চোখে-মুখে আনন্দ আর আনন্দ। কোন গিফট বা উপহার নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু বাবা সাদা কাগজে লিখে এনেছে-লেখক সাহেব শুভ জন্মদিন। মহান আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। পৃথিবীটাকে আজ তাদের কাছে স্বর্গই মনে হচ্ছে। এত সুখ-এত আনন্দ কোথায় ছিল এতদিন? তিন্নি এসে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করলো
-কারও খাবারের কোন প্রকার সমস্যা হয়নি তো?
-না,আমরা খুব ভাল খাবার খেয়েছি।
-তাহলে প্যান্ডেলে বসে সবাই আরাম করুন। সমতল কোক আছে,খেয়ে নিন।
-আচ্ছা দিদিমণি সবাই সমচ্চরে বলে উঠলো।
লিংকন এক বয়স্ক বাবাকে হাত ধুয়ে দিচ্ছিল। ফেস টিস্যু দিয়ে মুখ মুছিয়ে দিয়ে পাশের চেয়ারে বসিয়ে বলল-দাদু আরাম করেন। বয়স্ক বাবার নাম রহমত আলী। আনন্দে চোখের জল ফেলে কেঁদে ফেললেন। ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলতে শুরু করলো আল্লাহ তোমাকে কামিয়াবি করুন। পৃথিবীর মহান ব্যক্তিদের মধ্যে তুমিও একজন হও। মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করলো। লিংকনও মিলিয়ে গেল বৃদ্ধ বাবার স্নেহের পরশে।
পড়ন্ত বিকেল। পৃথিবীর প্রতিটি বিকেলের মতো আজকের বিকেলটিও। তবে ভিন্ন একটা আমেজের। প্রকৃতির বুকে অনেক বিকেলই আসে,কিন্তু এরকম বিকেলের মত মাহাত্ম খুব কম হয়।
সময় চারটা। সারি সারি চেয়ারগুলোতে বসে আছেন অসহায় বৃদ্ধ মানুষগুলো। সামনে বসার টেবিল। লেখক দম্পতি এসে বসলেন। তার দুপাশে তিন্নি লিংকন। তিন্নি দাঁড়িয়ে সবাইকে সম্ভাষণ করে বলতে শুরু করলো-আজ যারা আমাদের আমন্ত্রণে এসেছেন। সবাইকে আমার আব্বু শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। নিশ্চয় আপনারা অবাক হয়েছেন কেন আমার আব্বু লেখক সাহেবের জন্মদিনে রাজপ্রাসাদে বাস করা ভিআইপিদের দাওয়াত না করে আপনাদের আমন্ত্রণ করেছি। কথা বলার শুরুতে নচিকেতার গাওয়া বৃদ্ধাশ্রম গানটি মনে পড়ে গেল-
'ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার/মস্ত ফ্লাটে যায়না দেখা এপার-ওপার/নানা রকম জিনিস আর আসবাব নামীদামী/সবচে কমদামী ছিলাম একমাত্র আমি/ছেলে আবার আমার প্রতি অগাধদুষসম্ভ্রম/আমার ঠিকানাটা এখন বৃদ্ধাশ্রম.........।
জগতের কিছু মানুষ আছে যারা অর্থ প্রাচুর্যের মোহে নিজেকে ভুলে যান। ভুলে যান অতীত। কি ছিলেন অতীত জীবনে। এখানে অনেক বয়স্ক বাবারই বড় লোক সন্তান রয়েছে। শহরে আলিশান ফ্লাটে বাস করেন। সুন্দরী স্ত্রী,সন্তান নিয়ে মাথা উঁচু করা স্বপ্ন নিয়ে চন্দ্র ভ্রমণ,মঙ্গল গ্রহে বাস করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু চিন্তা করেন না যে বাবা-মার জন্য এই সুন্দর পৃথিবী দেখা। এই আলিশান ফ্ল্যাটে বসবাস করার ভাগ্য। যে বাবা কঠোর পরিশ্রম করে যুগিয়েছেন ছেলের লেখা পড়ার খরচ। সেই ছেলে বড় হয়ে অন্ধ এক ভ্রমে বাস করছে। আমি আমার দশ বছর বয়েসে দেখেছি এক বৃদ্ধ বাবার সন্তান স্কুলের শিৰক। অথচ তার বাবা ভিৰে করে বেড়াচ্ছেন। কী করুন দৃশ্য এটি! এমন তো অনেকেই আছেন এখানে। যাদের সন্তানরা জমিনে পা না রেখে আসমানে শূন্যস্থানে রেখে চলতে চায়। কিসের বাবা-মা! কি কুৎসিত বৃদ্ধ বয়স! তাঁর সঙ্গে বসে এক কাপ চা খেতেই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। এত অহংকার! এত গর্ব! প্রকৃতি শিৰা দেয়,যে ছেলে তার বাবাকে অবহেলার চোখে দেখেছে তার সন্তানও তো এমন হতে পারে। একবারও কি মনে হয়না যে সেই শিশু বয়েসে বাবার কোলে বসে প্রশাব-পায়খানা করেছে। মায়ের কোল দিনে কতবার নষ্ট হয়েছে। বাবা-মায়ের হাতে খাবার না খেলে এই হৃষ্টপুষ্ট শরীর হতো না,অথচ সেই বাবা-মা এখন অনাহারে দিন কাটায়,অভুক্ত হয়ে অন্যের দ্বারে দ্বারে সাহায্য চায়,ভিৰা করে। এমনও বাবা আছে যাদের ঔষধ কেনার টাকা নেই, বছরের পর বছর রোগশয্যায় ভুগছেন। অথচ সন্তান হাই কোয়ালীফিকেশন! ধিক ওইসব সন্তানদের প্রতি....চুপ কর দিদি ভাই,আমরা তোমার কথা শুনে আর নিজেদের ধরে রাখতে পারছিনা। বুক ফেটে যাচ্ছে। হাউমাউ কান্নার রোল পড়ে যায়। প্রত্যেকের চোখে হঠাৎ গর্জে উঠা জোয়ারের প্লাবন। বুক ভিজে যায় আবেগের কান্নায়। শান্ত হতে সময় লাগে। স্তব্ধ চারপাশ। বাকরম্নদ্ধ প্রত্যেক অসহায় বাবার মুখ। ঠিক কথাই বলেছে এই লেখক তন্বী বললেন রহমত আলী।
এবার লিংকন বলতে শুরু করে। জীবন মহান আল্লাহতালা দান করেছেন। প্রত্যেক মানুষকে এই শিৰা দিয়েছেন যে,প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জন্য। আজ এই অনুষ্ঠান পর্বে আমাদের আব্বুর দীর্ঘদিনের একটা ইচ্ছা ছিল এরকম একটা অনুষ্ঠান করার। আজ আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। আমরা চাই পৃথিবীর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। অসহায় মানুষদের চোখের জল,দীর্ঘনি:শ্বাস কমাতে। আমরাই পারি,চিন্তা করতে হবে আমি যেমন পৃথিবীর মানুষ,তেমনি আপনারাও। কোন ভেদাভেদ নেই। কে কালো,কে ফর্সা। ফর্সা শরীর নিয়ে বিশ্বে প্রতিযোগিতা হয়তো শুরু হয়েছিল পশ্চিমাদের থেকেই। কিন্তু কোন ধর্মই বলেনি মানুষ হিসেবে মানুষকে ঘৃণা কর। তার অসহায়ত্বের সময় সুযোগ বুঝে ৰতি কর। ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দাও। যে বয়স্ক লোকটি আপনার-আমার কাছে করুণ অবস্থায় এসে দণ্ডায়মান হয়,তাকে ভালো করে দেখে চিন্তা করা উচিত। কেন তার করুণ অবস্থা। হয়তো এরকম কিছু ঘটনা উপস্থাপন হতে পারে,কতক বাবা পাপের জন্য কিংবা কৃতকর্মের জন্য শেষ বয়েসে কিছু পাপের শাস্তি ভোগ করে থাকেন। প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপ করে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ একমাত্র একজন ব্যক্তিই ছিল যারা চরিত্রে কোন প্রকার পাপের চিহ্ন ছিল না। নিষ্পাপ শিশুর মত জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন আবার নিষ্পাপ হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। আপনার-আমার কাজই যদি ফলাফল হিসাব করা হয়,তাহলে কোন কাজটি করছি আমি! একবার ভেবে দেখুন তো-আগুনে হাত দিলে যদি হাত পুড়ে যায়, তাহলে পাপ করলে পাপের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে। যে শিশুটি পৃথিবীতে এসেছে সে বেঁচে থাকলে অবশ্যই যুবক হতে হবে। বৃদ্ধ হতে হবে। তাই প্রত্যেকের এই অসহায় বাবাদের প্রতি গভীর চিন্তা নিয়ে ভাবা উচিত,আমি কি কখনো এরকম বৃদ্ধ হবো না! যে সন্তান তার বাবাকে সেবা যত্ন করতে পেরেছে সে অগণিত ভালবাসা প্রাচুর্যের মালিক। তার স্বর্গ তার বাবার গৃহ। তার জান্নাত তার মা। আমরা চাই সেই প্রাচুর্যের মালিক হতে। পৃথিবীটাকে দ্বিতীয় শান্তির স্বর্গ আমরাও বানাতে পারি। যদি প্রত্যেকে আমরা প্রত্যেকের তরে কথাটি সঠিক ভাবে অনুধাবন করে সেমতে কাজ করি। প্রতিটি ভাল কাজই আনন্দ সৃষ্টি করে। সুখের স্বর্গ উন্মোচন করে। আমরা পাল্টিয়ে দিতে চাই পৃথিবীটাকে। যে পৃথিবী অশান্তির জন্য নয়,অসহায় মানুষদের ধুকে ধুকে মরার জন্য নয়,অবহেলায় পড়ে থাকার জন্য নয়। এবার করতালিতে ভরে উঠে অনুষ্ঠানের পুরো আঙিনা। কেক কাটার মুহূর্ত। ডানে বামে তিন্নি-লিংকন আর তার বন্ধুরা। মাঝে লেখক সালেহ আহমেদ ও মিসেস তামান্না রহমান লিপি। কেক কাটার ভিতর সরস কণ্ঠে গেয়ে উঠলো শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন কোরাস। হ্যাপি বাথ ডে টু ইউ শব্দটি বলা হলো না। পশ্চিমা দুনিয়ার ইংরেজি কালচারকে এই প্রথম বর্জন করা হলো। অসহায় এক রোগীকে যদি বলা হয়-গুড মর্নিং কিংবা গুড ইভেনিং এরকম কিছু, সেটার তার কাছে মোটেই খারাপ ছাড়া ভাল লাগবে না। কেকের খণ্ড খণ্ড অংশ তিন্নি ও লিংকন আর তার বন্ধুরা প্রত্যেক আমন্ত্রিত বৃদ্ধ বাবাদের মুখে তুলে দিল। এক অদ্ভুত আনন্দ লক্ষ্য করা গেল এসব আমন্ত্রিত বাবাদের চোখে-মুখে। সত্যি অর্থে কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও পৃথিবীটা পাল্টে গেল এই আমেজেই।
১০ মে - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪