কোন এক শ্রাবণের বিষন্ন বিকেলে যখন অলস-উদাস দুপুর মৃতপ্রায়, ঠিক যেন দখিণা সমিরণ দোল খেয়ে- যাচ্ছিল তোমার শাড়ীর নীল আঁচলে; উত্তাল তরঙ্গের মত ঢেউ এর আদলে। আমি আচমকা মুগ্ধতায় থমকে গেলাম তোমার অনিন্দ্য-অপরূপ শোভা দর্শনে, শ্রাবণের মৃদু হিমেল হাওয়ায় তোমার- শাড়ীর আঁচল, আমার মুখের উপর ঢেউ খেলে যায় এক গভীর আবেশে; সহসাই আমি হারিয়ে গেলাম তোমার নীল শাড়ীর ঐ যাঁদু মাখা পরশে। তারপর অপলক চোখে দু’জন জু’নায় হারিয়ে গেলাম কল্পনার ধূসর জগতে, যেখানে মধ্যবিত্ত ইচ্ছের কাছে প্রেম বাঁধাগ্রস্থ হলো বার বার দ্বিধাগ্রস্থতায়; তবুও অজানা কামনার জোয়ারে ভেসে গেলাম তৃষিত ঠোঁটের উন্মুক্ততায়। প্রেম, সেতো আগে বুঝিনি এতটা উলট-পালট হাওয়ায় তোলপার- করে অনুর্বর বুকে আচমকা হেসে, তারপর কত বসন্ত গেছে পেরিয়ে; কত নব যৌবন ফুরিয়ে প্রেম জীবন- কাব্যে বেঁেচ আছে আজো ছন্দ হারিয়ে। তাই তোমাকে দেখে আর কাউকে দেখার কামনা জাগেনি এ হৃদয়ে, তুমি সমুদ্র সৈকতের জীবন্ত ছঁবি আর নির্মল প্রকৃতির বাস্তব জননী; তুমি নারী-শিল্পের নিপূন কারুকাজ- তোমার সর্বাঙ্গে তথা শাড়ীর ভাঁজে। তুমি জীবনানন্দের বনলতাসেন- তুমি জসীমউদ্দিনের নকঁশী কাঁথার মাঠ, তোমার দিকে তাকিয়ে কল্পনায় হাত ধরে অনায়াসে ঘুরে বেড়াই বাংলার সীমানা, আজ অপরূপ প্রকৃতিও যেন হার মানে তোমার ঐ মায়াবী রূপের অবয়বে, তুমি ব্যাখ্যাহীন অনিন্দ্য সুন্দরের পূঁজারী; তাই তোমার রূপের সকল শোভা দিয়েছে- তোমার শরীরে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে থাকা শাড়ী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।