কোরবানির হাট, জীবন ও বাস্তবতা

ঈর্ষা (জানুয়ারী ২০১৩)

মো: আশরাফুজ্জামান
  • ২৮
  • ৬০
ভাই আসেন, আসেন না, মুখ উচু করে তাকাই। কতো সরলতা, নিজেকে প্রশ্ন করি, এমন কেন হয়? লিখতে ইচ্ছা হয়না, কি লিখব? ভালো লাগছে না, তবুও লিখছি, কেন জানিনা। জানো তোমরা, কোরবানির হাটে যাচ্ছিলাম, পথের পাশে আর্তনাদ, ভাই আসেন, আসেন না। কি অসহায় আর্তনাদ, জীবনের কি নির্মম পরিহাস। কোরবানির হাটে যেমন গরু, ছাগল, বেচার জন্য ডাক দেয়, তেমনি এই মানুষগুলো নিজেকে বিলিয়ে (বেচে) দেয় জীবন বাঁচানোর জন্য। তাদের কোন দোষ নেই। সমাজ তাদের এই বৃত্তে বন্দি করে দিয়েছে। কতো নিষ্পাপ তাদের চোখ, কতো কোমলতা তাদের ডাকে।
কোন এক পাষণ্ড মানুষের হাত ধরে সুখের সাগর পারি দেয়ার আশায় নয়তবা পেট বাঁচানোর তাগিদে এই শহরে এসেছিলো। সে কি জানতো, তাকে এনে পাষণ্ড মানুষটা মেলে ধরবে কোরবানির হাটের পশুর মতো। টাকার জন্য সে এই পেশায় আসেনি। জোর করে তাকে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। সমাজের ভয়ে সে আর বের হতে পারেনি। আর তারপর অত্যাচার, নির্যাতন, এক সময় মানিয়ে চলা। কিন্তু তারপর, পরবর্তী প্রজন্ম, তাদের কি হচ্ছে? ঘৃণা, লাঞ্ছনার মধ্যে বেড়ে উঠা, নিজেকে বিসর্জন করা। তাদের না পারি, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কি আমরা শিক্ষার আলো দিয়ে এই বৃত্ত থেকে বার করে আনতে পারিনা!
আমরা মানুষ, যাদের নিয়ে অন্ধকারে ফুর্তি করি, দিনের আলোয় তারাই হয়ে উঠে ঘৃণার বস্তু। মানুষ হিসেবে তাদেরকে কল্পনা করতে পারিনা, আমাদের বিবেক, মনুষ্যত্ব যেন থমকে যায়। জীবনের উপহাস, পরিনতি, এভাবেই কি থমকে দাড়ায়? হয়তবা! একদিন পূর্ণিমার আলো হয়ত তাদেরকেও স্পর্শ করবে, একি চাঁদের আলোয় হাতে হাত রেখে আমরা নতুন পৃথিবী সাজাবো। স্বপ্ন দেখতে বড্ড বেশি ভালোবাসি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি প্রকৃত অর্থে এটিকে গল্প বলা যায় কিনা জানিনা...তবে উল্লেখিত ঘটনাকে প্রতিবেদন হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াশ ভাল লাগলো....আশরাফুজ্জামান ভাই আপনাকে ধন্যবাদ..........
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩
তাপসকিরণ রায় ভাই!কশাই না হলে মাংস তো খাওয়া হবে না!কাউকে না কাউকে তো এ কাজ করতেই হবে!তা না হলে সবাইকে মাংস খাওয়া ছাড়তে হবে।তবে আপনার ভাবনাকে মূল্য দিতে ইচ্ছে হয় বৈ কি!অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার জানা নেই,কশাইকে কি জোর করে এ কাজ করাতে বাধ্য করানো হয়?না কি আপনি বলতে চাইছেন,অন্য রোজগারের উপায় না পেয়ে বাধ্য হয় এ কাজে নেমে আসতে?
মো. মহিউদ্দিন অনেক ভাল গল্প । ভালো লেগেছে....
মামুন ম. আজিজ একটা সুন্দর ডায়েরীল পাতায় জীবন প্রবন্ধ..গল্পের সাধ: পেলাম না আরকি
পন্ডিত মাহী কথাগুলো স্পর্শ করে যায়। তবে এইটি আসলে গল্প নয়। প্রবন্ধ হয়ে গেছে।
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৩
গল্প নয় বলেই এ লেখায় ভোট করলাম না। লেখকের পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৩
মিলন বনিক একি চাঁদের আলোয় হাতে হাত রেখে আমরা নতুন পৃথিবী সাজাবো। স্বপ্ন দেখতে বড্ড বেশি ভালোবাসি। একটা কঠিন বিষয়কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভালো লাগল....
মোঃ আক্তারুজ্জামান সমাজকে ব্যাধি মুক্ত করার সুন্দর ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন| ভালো লাগলো |
মো: আশরাফুজ্জামান ধন্যবাদ সাবের ভাই, বিষয়টা নিয়ে ভাবার জন্ন্যে...
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
আহমেদ সাবের "আমরা মানুষ, যাদের নিয়ে অন্ধকারে ফুর্তি করি, দিনের আলোয় তারাই হয়ে উঠে ঘৃণার বস্তু। " - সামাজিক একটা সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ / গল্পটা অনেক প্রশ্ন নিয়ে চোখের সামনে দাঁড়িয়েছে। তবু লেখকের মতো স্বপ্ন দেখি একদিন "একই চাঁদের আলোয় হাতে হাত রেখে আমরা নতুন পৃথিবী সাজাবো।"। ভালো লাগলো প্রবন্ধটা।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
মো: আশরাফুজ্জামান ধন্যবাদ, দোলন আপু...
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০১৩

১৭ ফেব্রুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪