বুকের ভেতর উঁকি দিয়ে কেউ বলেছিলো, “এমন কেউ নেই – তোমার মত তোমার ইচ্ছেয়- ও কবিতা হাত ছুইয়ো- চৌরাস্তা দূঃখ করোনা- সিন্দুক খুলে রুপার আয়না তুলো আলগোছে-“
কিংবা শুধু নিঃসঙ্গতা বুকের মাঝে আলো জ্বেলে কেউ পথ খুঁজে লতা গুল্ম মাড়ায়- মাড়াক কেউ তালা ভেঙ্গে দেখুক বন্ধ দ্বার দু’রকম আলো- কালো “তবু কিছু বলো না- কাপড়ে সুতোয় বুনো- “মনে রেখো আমায়” বলো না, দূরে গেলে আগাছা মনেও জন্মায়”
এটাও হয়তো মলাটের মত আমরাও বাঁচি সাথে নিয়ে দু’রকম স্মৃতি ভবিষৎ ও অতীত- আর বারান্দায় নিঃশ্বাস অট্টহাস নিশীথের নারীর; অর্থাৎ হাল্কা অন্ধকারে স্মৃতি দোল খায় সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে উপরে উঠতে উঠতে আমাদের পা কাঁপে
ঘর পালানো ধূসর খাতায় আরেকটা জড়ানো কবিতায় কিংবা গান, কিংবা নদীর নিঃশ্বাসে একটা অতিরিক্ত ছায়া উপুর হয়ে ভাসাই আমরা হেঁটে যাই, কাছে গিয়ে বলি, “এমন কেউ নেই তুমি কিংবা তোমার মতন”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আপনার নাম চেঞ্জ করে "পোতাইন্না সমালোচক" রাখেন তাইলে মন্তব্যের সাথে নামের মিল থাকবে। আতা গাছে তোতা পাখি ঐটা ছড়া!! আর কবিতায় ছন্দ থাকতে হইব সেইটা কোন আইনে লেখা আছে? যত্তসব!!!! মাহি ভাই কবিতা ভালো লাগছে, আর কিছু কওনের নাই। এইসব আজগুবি পাবলিকের জন্যই এই সাইটে আসতে ইচ্ছা হয় না। ভোগাস পাবলিক...
তার মানে বুঝা গেল সবাই প্রশংসা পেতে ভালবাসে।সমালোচনা কেউ চায় না।আমার মনে হয় আমি যত কবির কবিতা পড়ছি তাদের লেখার মাঝে একটা ছন্দ থাকে,তাই ছন্দের জাদুকর উপাধী ও দেয়া হয়েছে।সিপাহী রেজা ছন্দের মিল নাই দেখেই তো ভালমানের কবি যেমন পাচ্ছে না বাংলা সাহিত্য তেমনি ভাল মানের কবিতা ও।আর তাই পান্ডুলিপী নিয়ে প্রকাশকের দুয়ারে দুয়ারে কেউ দৌড়ে যায় না।পকেটে ১০০০০-২০০০০ টাকা থাকলেই চলে।প্রশংসা করাটা অনেক সহজ কিন্তু সমালোচনা,এটা সবাই করতে পারে না
ভেবেছিলাম কিছু বলব না। অতীতে বলতে গিয়ে অশালীন আক্রমনের শিকার হয়েছি। তারপরও বলা উচিত মনে করেই বলছি। এ প্রসঙ্গে আপনার শেষ লাইনের সূত্র ধরেই বলি। "প্রশংসা করাটা অনেক সহজ কিন্তু সমালোচনা,এটা সবাই করতে পারে না"- একটা দারুণ সত্য কথা বলেছেন। সমালোচনা করতে হলে আসলে কিছু ধারণা, কিছু তথ্যসমৃদ্ধ হওয়া দরকার। দরকার একচোখা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে মুক্তি। বাংলা কবিতার শুরু হয়েছিল চর্যাপদ থেকে। যেগুলো আসলে গান। গানে ছন্দ তাল সবই থাকতে হয়। সে কারণেই তাতে ছন্দের প্রয়োজনীয়তা ছিল। সেটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে পরবর্তীতে কবিতা রচনা চললেও প্রথা ভাঙা মানবিক বৈশিষ্ট্য। এই কঠিন কাজটি শুরু করেছিলেন মূলত গদ্যকার হিসেবে পরিচিত প্রেমেন্দ্র মিত্র। সে গদ্যকবিতার বয়সও প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি চলে এসেছে। এই সময়ে এসে গদ্যকবিতার বিরুদ্ধে একজন সাধারণ মানুষ কথা বললে মেনে নেয়া যায়। একজন সমালোচক বললে মানা একটু কষ্টকর। যেখানে খোদ রবীন্দ্রনাথ অসংখ্য পাঠকপ্রিয় গদ্যকবিতা রচনা করে গেছেন। প্রথমত আপনার এই বক্তব্যটাই ভুল- (ছন্দের মিল নাই দেখেই তো ভালমানের কবি যেমন পাচ্ছে না বাংলা সাহিত্য তেমনি ভাল মানের কবিতা ও।) এতে করে বাদ পড়ে যায় ত্রিশের বিখ্যাত পঞ্চ কবিদের চারজনই। বাদ যান সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শামসুর রাহমানদের মত কবিরা। অর্থাৎ কবিতা থেমে থাকে একশ বছর আগ পর্যন্ত। তারপর আর কোন কবি নেই, কবিতা নেই এ ভাষায়!!! এই নিদারুণ গোঁড়া মতবাদের উৎস কী? মাপকাঠিটাই বা কী? যদি ধরে নেই পাঠকপ্রিয়তা মাপকাঠি। তাহলে মাত্র দুটো বাংলা কবিতার উল্লেখ করব- "কেউ কথা রাখেনি"- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর "তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা"- শাসসুর রাহমান। দুই বাংলায় ব্যাপক পঠিত এইসব কবিতাগুলো সময়ের গন্ডি পেরিয়ে গিয়ে আজও তুমুল জনপ্রিয়। কিংবা ধরুন হেলাল হাফিজের "নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়", "ফেরিওয়ালা" তুমুল জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণের অসংখ্য কবিতা, পূর্নেন্দু পত্রীর কথপোকথন- যেসব কবিতা মানুষের মুখে মুখে ফেরে। প্রচলিত ছন্দে রচিত না হয়েও এ কবিতাগুলো জনপ্রিয়তা পেল কোন সূত্রে? আর যদি আপনি বলেন ওসব বাদ- "আমি যা বলব তাই হবে। কোন তথ্যটথ্য মানি না।" তাহলে আর কোন কথা থাকে না। চুপচাপ মেনে নিয়ে কেটে পড়ব। সত্যি বলতে কী আপনার নিকটা দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম। সমালোচনা থেকে কিছু শেখা যাবে ভেবে। কিন্তু হতাশ করে দিচ্ছেন ভাই। সমালোচনা আসলেই সহজ না। নিজস্ব মতবাদ প্রচার আর সত্যিকারের সমালোচনায় যোজন দূরত্ব। এই সরল সত্যটুকু বুঝলেই হয়।
আর একটা ব্যাপার- এই সংখ্যায় মহাসিন্ধুর সন্ধানে নামের একটা কবিতায় আপনি মন্তব্য করেছেন- "সমালোচনা থেকে দূরে থাকলাম। ভালই। সেটাও আদ্যোপান্ত গদ্যকবিতা। সেটায় কেনই বা সমালোচনা থেকে দূরে থাকলেন। কেনই বা ভালই মনে হল। আর মাহীকেই বা কেন সমালোচনার উপযুক্ত মনে হল সেটাও একটা রহস্য।
আমি সমালোচক ভাইকে আর কিছু বলবো না। আপনার জন্য জবাব হয়ে রইলো আগামী সংখ্যার লেখা। অনলাইনে খুব সহজেই একজনকে অনেক কিছু বলা যায়। মান বিচার করে কথা বলুন। সাধারন ধারনা থেকে নয়। এখানে আরো অনেক বিজ্ঞ বিচারক, সমালোচক আছে। প্রসংশা নয়, সমালোচনা দিয়েই লেখালেখির শুরু। সমালোচনা মানতে না পারলে এই পর্যন্ত আসতেই পারতাম না। আলোচনা-সমালোচনার জন্য সবাই ধন্যবাদ। সামনের সংখ্যার জন্য অগ্রীম আমন্ত্রণ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।