সারারাত ঘুমিয়ে সকালে জেনেছি রক্তের গ্রুপ টেস্ট করতে হয়। দ্রোহের শীতকালে নিস্তেজ লোহিত আর শ্বেতরা তাই চুপ করে লাইন ধরে, সুপ্রাচীন শিরা বেয়ে বসে আতসের তলে বহির্গমন পথ জানবার পরীক্ষা শুরু হবে। রক্ত দিতে হবে। রক্ত দিতে হবে। কারো ফুসফুস, কারো যকৃত, কারো রক্তনালী হাত-পা, মগজের ঘা সারাতে রক্ত দিতে হবে। নেশামুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত যার লোহিত কণা চারদিন পর্যন্ত বাঁচে।
নীচে ডুববে? তলিয়ে দেখো- বুকের কোথাও নেশামুক্ত রক্ত পাও কিনা! বিষ মুক্ত! আগ্রাসন মুক্ত! কালচার শব্দের অর্থ কি জানো? রক্তের কালচার কি পালটে গেছে?
কংক্রিট সৌধ! তোমাদের সৌধের জাপানি বাদ্যযন্ত্রে একটা রক্ত নাচানো গান রিমিক্স করো। একটা কবিতা উৎসবে নাম ফলকে লিখো “রাইটার্স বিল্ডিং”। চিঠি পেলে করো ঋণ চুক্তি বলরুমের ফ্যাশন-শো’র ... যেখানে আধুনিক দর্জিরা “ডিজাইনার” নামে হাততালি পাবে। রক্ত পাবে! রক্ত নেবে!
পৃথিবী বিশ্বাস করো! আরেক ৫২ আসলে গলা টিপে আর কিছু গেলাতে পারবে না- কেউ না উর্দু, না “রাইটার্স বিল্ডিং” না পঁচা ফুসফুস, যকৃতের পুঁজ। আরেক ৫২ আসলে রক্তের গ্রুপ টেস্ট লাগবে না পৃথিবী শুনবে, যৌবন বলবে, রক্ত দিতে হবে? রক্ত দিতে চাই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তাপসকিরণ রায়
মাহী,সত্যি আপনার কবিতার জবাব নেই--এমন সুন্দর শব্দ চয়ন,ভাবের অন্তঃগর্ভতা--হৃদয়ের তলদেশ পর্যন্ত ছুঁয়ে যায়।এমন সারগর্ভ আধুনিক কবিতার কবি এ সাইটে দু তিন জনের বেশী আছে বলে আমি মনে করি না। অন্তর থেকে জানাই আপনাকে অশেষ শুভ কামনা,ভাই !
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।