মাকে বলেছিলাম ফিরে আসবো- অপয়া রুপাকেও বলেছিলাম, আমি ফিরে আসবই। একটা লাল-সবুজের শাড়ি এনে দেবো। মার বিধবা শাড়ি, অপয়া রুপার সধবা শাড়ি বড্ড পুরোনো। এদিকে ঘন শীতে ওয়ান ওয়ে পথটুকু পেরোতে পেরোতেই আমার হাপিঁয়ে ওঠা, ভেবেছি যারা ডেকে নিচ্ছে রক্তের স্রোতে তারা কি পথ চেনে! না ভুলে গেছে? মা আর অপয়া রুপাকে অনেক মনে পড়ে এই ফাঁকে ওদের বলেছিলাম, ফিরে আসবো-
এদিকে পথ ফুরোবার আগেই দীর্ঘশ্বাস জমে যায়। ভাঙ্গাচোরা পার্কগুলো লাল, রাস্তা গুলো রক্তলাল- যশোর রোড থেকে ঢাকা, চেনা থেকে অচেনা প্রদেশ, উদ্বাস্তু শিবির কোথাও আসা-যাওয়ার কোন হিসেব নেই। কে ফিরলো, কে মরলো, কে পথ হাড়ালো ঐটুকু ওয়ান ওয়ে পথ পেরোতে পেরোতেই- হিসেব নেই, শুধু সূর্যাস্তের রঙ ডেকে নিচ্ছে রক্তের স্রোতে। ফিরে আসার পথে সমস্ত বাস বন্ধ, সিট খালি নেই-
তাই অপহরণের দীর্ঘদিন পর বুঝেছিলাম, আজ বা কাল, প্রতিদিনই আমাদের শেষদিন। ফিরে না গেলে, কাউকে দিয়ে পাঠাতে হবে খবর, ফিরে যাবার পথে একটা চেনা বার্তাবাহক দরকার- মা আর অপয়া রুপাকে যে বলেছিলাম, একটা লাল-সবুজের শাড়ি এনে দেবো। মার বিধবা শাড়ি, অপয়া রুপার সধবা শাড়ি বড্ড পুরোনো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া
অপয়া রুপা শব্দটি এত বার না আনলে কি কবিতার খুব ক্ষতি হতো ? কবিতা অবশ্য ভালো লাগলো .........শাড়ীর সাথে দেশকে মিলিয়ে দেয়া , সুন্দর ভাবনা ........
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।