আমি সূর্য দেখবো বলে প্রতিদিন ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছি ভোর হতে শিশিরে মোড়ানো ঘাসে, ঘাস পোকার দল উঠে আসে পা বেয়ে বুকে- সূর্য; আসেনি।
আমি গুনে গুনে একুশ বেছে নেই স্লোগান দেই, মিটিং-এ বসি “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। বাংলা চাই।“ রাস্তার ফেরীওয়ালার মত আমার ডাক ওরা কেউ শোনে না- কিছু অবোধ ঢিল ছোঁড়ে আমার বুককে করে রক্তাক্ত, আমার খুলিতে করে ফুটো কাঠ-ঠোকরাদের মত।
এরপরও আমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি আমায় ঘিরে ফিসফাস অন্ধকার এদিক ওদিক কথা চলে, শুনি সূর্য আসবে! সূর্য আসেনি।
আমি হাতড়ে হাতড়ে পাই একাত্তর রক্তে সেঁকা লাগে, ফুটতে থাকা মাংসের দলা সেদ্ধ হয়, আমি আমার লাশ নিজ হাতে দেই উপহার, একবারো নড়াচড়া করে জানান দেইনি আমি বেঁচে আছি- আমি মরে ছিলাম, আর সবার মত।
ভেবেছি ওভাবে মরে পড়ে থাকলে লুকিয়ে লুকিয়ে হলেও সূর্যটা বুঝি আসবে! কোন একজন আমায় আশ্বাস দিলো- ওদের বিচার হবে, তোর লাশের জন্য! আমি বিচারের জন্য, আমি সূর্যের জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি- কপালে রক্তের ছাপ শুকিয়ে কালো হয়েছে পাঁজরের হাড়ে ঘুন ধরেছে, ঘুনে পোকা দিয়েছে কলজেয় হাত। পা বেয়ে ঘাস পোকার দল উঠে আসে বুকে, শিশিরে সেই যে পা ফেলেছি কবে- তবু, সূর্য আসেনি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রনীল
সেঁকা শব্দটা নতুন মনে হল... নিজেই নিজের লাশ উপহার দেবার বিষয়টি অভিনব। নাড়াচাড়া না করে নিজেকে মৃত প্রমান করার অংশটুকু অনবদ্য... শব্দ আর ভাবের এমন তোলপাড় করা উপস্থাপনা একমাত্র পণ্ডিত মাহির দ্বারাই সম্ভব...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।