অনেক কাল আগে …
আমি দেখেছি সময়ের যাতাকলে পিষে মরতে
আর সারাদিন কখনো ঝুলে কখনো লেংচে লেংচে
বাড়ির দুয়ারে মুখ থুবরে পড়া ।
সারাদিন অফিস, সারাক্ষন ইট বালু সিমেন্টের মিশ্রণে
জীবনে ঘোলা স্বপ্ন;
হাপিয়ে ওঠা জীবন, চোখে চেয়ে একটু মুক্তি চাই
ঘরে আমার মায়ার একতাল কাদাঁ, চিৎকার শুনেছো কি
তোমরা সারাবিশ্ব? সে আমার এক সুত্রগাথা, আমার সন্তান।
অনেক কাল পরে…
বাবা!
আমি তোমার হাতটা আবার ধরতে চাই প্রথম মাটিতে পা রেখেই
অনেক গভীর রাতে যখন আলো নিভে যায়, যখন ফুরায় কথা সব
আমার বলতে ইচ্ছে করে, বাবা আমি জানি…
রাত দুপুরে কিসের নেশায় তুমি খবর ছাড়া
অনেক দূরে কোন বাসের জানলায়,
কেন তোমার ঘুম নেই একটুও,ছিল না কখনো।
আমি জানি বাবা আমি জানি…
কেন শেলফে পড়ে থাকা ধুলোময় ছেড়া জুতোটা তোমার হয়,
আমারটায় বদলায় রঙ
তোমার মলিন শার্টে প্রতিদিন কেন নতুন ভাঁজ পরে,
আর আমারটা পাল্টলায়
কেনো তোমার রক্তে বানানো পথে বিচিত্র আকাশে আমার খোলা ডানা?
জন্ম থেকেই যে আমার স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা জীবনের অসম সঙ্গমে
যার অনেক কাল আগে আমার পেটে দিয়েছিলে
হাজার বছরের ক্ষুধা...
আমি পিতৃসূত্রে এই চরাচরে পা ফেলেই দেখেছি সেই থেকে
সামান্য পিপাসায় অনেক কাতর আমি, আমার শরীরে যন্ত্রনা
আমি ক্ষুধার্ত বাবা, আমি ক্ষুধার্ত।