প্রত্যয়ের প্রথম পংক্তি

অভিমান (এপ্রিল ২০২১)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
মোট ভোট ১০ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৮
  • ১৪২
পৃথিবীর অনাচারে বিবর্তিত দাহকালে
বিপর্যয়ের মিছিল ঘন হয় দিনকে দিন।
গুমোট তপ্ততায় মেঘদল ভারী হয় বৃষ্টি ক্ণায়।
তুমি চলে গেছো সেই কবে!বাবার অনাদরের পারদ নির্বিচারে বাড়ছে কেবল,তবু এক ফোটা অভিমান রাখিনি জমা।
গল্পটা আমি আমার অভিমানকে ঘিরে কাটাছেঁড়া
করতে আসিনি মা।
তোমার নিরব অভিমানের গল্পটাই লিখেছি কবিতার পাতা জুড়ে।
কিছু পীড়ন হয়তো মুখ বুঝে সয়ে যাওয়া যায় আজীবন, খোলা বাতায়নে ঝড়ো বাতাসের মতো।
কিন্তু সাইক্লোন ঝড়ে মাঝ সমুদ্রে কিংবা কম্পনের মাত্রা যখন রিখটার স্কেলের সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন সহনের কৌণিক দূরত্ব হয়তোবা জিরো ডিগ্রীতে এসে মিলে যায়।
অবারিত যন্ত্রণা, তাচ্ছিল্যের পাহাড় তোমার মনে হয়তো বিষবৃক্ষের শেকড় গেড়েছিল।
যার মূলোৎপাটন তো অনেক দূরের কথা বরং এর শাখা প্রশাখা গজিয়েছে চক্রবৃদ্ধিহারে।

সংসার নারী পুরুষের সমোঝোতার পাঠশালা, সহযোগিতার এক চলমান সোসাইটি।
কিন্তু বাবা তোমাকে সেই পাঠশালায় থাকতে দেয়নি
তুমিও তাই অভিমানে পাড়ি দিলে পৃথিবীর পথ।

মা গল্পটা তোমার হলেও, কুশীলব বদলে গল্পটা হয়ে ওঠে আরো অনেক মায়ের,অনেক ঘরেই হয়তো মঞ্চায়িত হয় অলিখিত এই স্ক্রিপ্ট।

তোমার অভিমানে আমার
দুয়ার খোলে প্রত্যয়ের।একদিন আমিও কারো বাবা হবো।অভিমান করে তার মাকে হারিয়ে যেতে দিতে চাইনা।এই আমার প্রত্যয়ের প্রথম পংক্তি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Jamal Uddin Ahmed অনেক অভিনন্দন, ভাই।
মোঃ মাইদুল সরকার মনোরম কাব্যশৈলী।
Sumaiya Islam Ananna কবিতাটি পড়ে আপ্লুত হয়ে গেলাম আবেগে।পড়ছিলাম আর মনে মনে বাস্তব ছবি দেখছিলাম। আসলেই গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবারেই হয়তো এমন ঘটে যা আমরা জানতেও পারি না।শুভ কামনা কবির জন্য।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী সত্যি বলতে গেলে লেখাটা পড়ে মনটা ভীষণ কেঁপে উঠেছিল। ভাষা নেই মন্তব্য করার। এইসব লেখাগুলো যেন পাঠকের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকে। আমিন।। শুভ কামনা রইল।।
৫ এর ভিতরে সামান্য কমানোর মতো লেখা নয় এটা দাদা। বরাবরই দিলাম।।
Ahad Adnan অনেক উচুমানের লেখনী। শুভকামনা রইল।
ফয়জুল মহী অনুপম রচনাশৈলী। মুগ্ধতা অপার।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ কিছুতেই শোভনীয় নয়। দৈহিক গঠনের দিক দিয়ে নারী পুরুষ এর চেয়ে ভিন্ন হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তাই অশিক্ষা ও অজ্ঞতার কারণে নারীর প্রতি অবহেলা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন,তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা,প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ফলস্বরূপ তাদের বুকে জমা হয় অভিমানের মেঘ।সেই মেঘ একদিন আত্নাহুতি না হয় ঘরছাড়ার বৃষ্টি হয়ে ঝরে।কাল্পনিক হলেও গল্পটা গ্রাম বাংলার অনেক মায়ের গল্পের সাথেই মিলে যায়। আমরা কোন অভিমানী মায়ের আত্নাহুতি চাই না।নারীর প্রতি সহিংসতা নয় চাই সহমর্মিতা। সহিংস আচরণ নয সহমর্মিতাই হোক অংগীকার়। কবিতার কাল্পনিক মা হারা কথকের প্রত্যয়ের সাথে আমরা একাত্নতা ঘোষনা করছি।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৮

বিচারক স্কোরঃ ২.৮ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪