তলোয়ার ধরো গর্দানে মোর, কলজেতে ধরো ছোরা; ক্বালব থেকে তবু উঠবে আওয়াজ, আমার দেশই সেরা। ফুটপাথে শুয়ে নিদ পাড়ি রাতে আস্তাকুঁড়ের খাদ্য খাই, টুটাফাটা বেশ গায়ে নিয়ে আমি গরীবির সাথে ভাব জমাই। শত সাল ধরে পিষেছ মোদের টানিয়েছ তব ঘানি, হার মানিনি এতদসত্ত্বে, দাঁড়ায়েছি সিনা টানি। আমার মা ছিল তোমার বাঁদী, দলিত করেছ পদতলে; আমার বাবার চাষের ফসল ছিনিয়ে নিয়েছ বাহুবলে। আমার জন্ম হয়নি তখনো, যখন তোমার এই রূবাব; বুঝেছ কি কভু? আমিই তোমায় বানাবো এমন শিক কাবাব! জালিম তুমি, জুলুম করেছ শাস্তি তোমায় পেতেই হবে; খোদা’তো ওপরে রয়েই গিয়েছে, আমায় জবাব দাও আগে। আমার বাবা ও মায়ের গায়ে হেনেছিলে তুমি যত আঘাত, হিসেব করে রেখেছি সকলি, শোধ নেব করে মুন্ডপাত। গান্ডীব ধনু হস্তে আমার, মেয়লনেয়ার মম কটিদেশে; বধ হবে তুমি অদ্য জরুর, কাঁপবে আরশ তব নাশে । এ কি কর হায়! ঘামছ কেন? হাঁটুগেড়ে কেন পড়লে বসে? জানতাম তুমি কাপুরুষ হবে, এটা আর এমন নতুন কিসে। চলেছে যে কত চাবুক তোমার আমার পুর্বপুরুষের ’পর, চুরি করে সব সম্পদ তার তাকেই করেছ সিঁদেল চোর। ভেবেছিলে কভু? আসবে জীবনে তমসা এমন লানতবার, চাবুকের রঙ লাল হবে শেষে, পিয়ে লহু-এ-জিম্মাদার। এসো ভাই সব ফুর্তি করো, জালিম হয়ছে কতল-এ-আম, এবার থেকে সব জালিমের এভাবেই হবে কাম তামাম। আমার দেশের মাটি নিয়ে যদি করেছ আবার শয়তানি, ইয়াদ রেখো রে পাষান পামর, জং-এ-শমসের আমি জানি।
[নির্ঘন্টঃ “মেয়লনেয়ার”= জার্মান শব্দ। জার্মান লোকগাঁথায় যুদ্ধের দেবতা থরের অস্ত্রের নাম। এই হাতুড়িটির বজ্রাঘাতের ক্ষমতা ছিল।]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মুকুল ভাই আপনার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমি মাত্রই লেখা শুরু করলাম। কবিতা লেখার রীতি, ধারা এসব ব্যাপারে আমাকে অজ্ঞই বলতে পারেন। তবে জানার চেষ্টা করছি এবং আপনাদের পরামর্শগুলো তো অবশ্যই প্রয়োজন। তবেই তো লেখার মান বাড়বে।
সুমননাহার (সুমি )
হিন্দী বাংলা মিলে সুন্দর কবিতা ,আমদের দেশের কিছু শয়তান রা দেশ নিয়ে খেলছে তাদের কে যদি দেশ থেকে তাড়ানো যেত খুব ভালো হত. সুভকামনা রইলো.
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
.--------------------চমৎকার! পুরানো সুগন্ধ পাচ্ছি, ছন্দটা শুধু একটু ঘসামাজা হলে দারুণ হত। হ্য়ত এটাই আবার ফিরে আসবে। ভাল লেগেছে, শুভেচ্ছা জানবেন।
ধন্যবাদ সুজন ভাই। আসলে দেশের দুরবস্থা দেখতে দেখতে যেদিন মাথায় রোখ চেপে গেল, সেদিন থেকেই লেখা শুরু করেছি। আর নজরুলকে আমি সবসময়ই অনুসরন করার চেষ্টা করি তার নির্ভীকতার জন্য। তাই হয়তো...
আহমেদ সাবের
প্রথমেই নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করে নেই। কিছু শব্দের মানে আমার জানা নেই - ক্বালব, রূবাব, গান্ডীব (মন্তব্যে আছে), মেয়লনেয়ার (নির্ঘণ্টে আছে), লানতবার, কতল-এ-আম, কাম তামাম, ইয়াদ, জং-এ-শমসের। শব্দ গুলো সম্ভবতঃ বিদেশী। আমাদের প্রিয় কবি নজরুল প্রচুর বিদেশী শব্দ ব্যাবহার করে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। পরবর্তী কালে ফররুখ আহমেদ সেই ধারা অবলম্বন করেছেন। আপনাকে সেই ধারার অনুসারী দেখে ভাল লাগল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।