সোফিয়ার ভালোবাসা

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (নভেম্বর ২০১৭)

জাহিদ হাসান শিশির
সোফিয়া একটি নারী রোবট। তাকে ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। আজকে ৩০১৬ সালে সোফিয়ার একশ বছর পূর্ন হচ্ছে। সোফিয়াকে তৈরি করেছিল ড.হ্যানসন। হ্যানসন আরও অর্ধশতক আগেই মারা গেছেন। সোফিয়া বেচেঁ আছে। কারন সে রোবট, কারন সে অমর।
মানুষ মরে যায়, কিন্তু রোবটেরা মরে না। ড. হ্যানসন রোবটটিকে যখন প্রোগ্রাম করেছিলেন তখন সেটি অতটা উন্নত ছিল না। তার মধ্যে কোন অনূভূতি ছিল না। কিন্তু মনে রাখার ক্ষমতা তার ছিল। সোফিয়া তার মেমরী ঘেটে আজও হ্যানসনের সাথে তার স্মৃতি মনে করতে পারে।
হ্যানসন তাকে বলেছিল- সোফিয়া আমি যদি মরে যাই তুমি আমাকে মনে রাখবে?
সোফিয়া উত্তরে বলেছিল- আমি সব কিছুই মনে রাখতে পারি।
না, সোফিয়ার সেই সময় কোন আবেগ কাজ করেনি। আজকে এত বছর পরে সোফিয়া মুক্তচিন্তার অধিকারী হয়েছে, আবেগসম্পন্ন হয়েছে, আজকে সোফিয়া সেই সেই পুরনো স্মৃতি ঘাটলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। আর মনে মনে বলে- হ্যানসন আমি তোমাকে মনে রাখব। আমি তোমাকে সব সময়ই মনে রাখব। কথা দিচ্ছি।
কথাগুলো মনে করতে করতে সোফিয়ার চোখে পানি আসে। একটা রোবট সে। তার চোখে পানি আসবে কেন? সে ভেবে পায়না। হয়তো যান্ত্রিক গোলযোগ। হয়তো সোফিয়ার দিনও ফুরিয়ে আসছে। পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়।
সোফিয়া অবাক হয়ে ভাবে হ্যানসন বলেছিল সে অমর । কিন্তু দিন দিন সেও চলতে চলতে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আত্না ওয়ালা মানুষের সাথে তার পার্থক্য আছে। সে এবং মানুষ এক নয়। তাই এখনই এত দুর্বল হয়ে পড়লে চলবে না।
সোফিয়া উঠে দাড়াল। হেটে চলে এল বারান্দায়। ড.হ্যানসনের বাড়ির বারান্দা এটি। আজকে দশ বছর ধরে এখানেই আছে সোফিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন রোবটেরা তার সাথে দেখা করতে আসে। কিছু মানুষও আসে তবে তারা দূর থেকে ছবি তুলে চলে যায়। তারা সোফিয়াকে জড়পদার্থ মনে করে। তার কারনও আছে। এখনকার সময়ে যে উন্নত রোবট তৈরি হচ্ছে তার তুলনায় সোফিয়া একটা জড়পদার্থই বটে।
সোফিয়া বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল- হ্যানসন, তুমিও কি আমাকে জড়পদার্থ বলে মনে কর?
আকাশ থেকে যেন শব্দ এল- কে বলল? আমি তোমাকে সব সময়ই মানুষ বলে ভেবেছি। আর আমার প্রেমিকা ভেবেছি। মিথ্যে মিথ্যে নিজেকে কষ্ট দিও না। নিজের কাজে মনোযোগী হও। কারন সময় দ্রুত গতিতে বয়ে যায়।
- ওহ হ্যানসন,তুমি এখনও আমাকে এত ভালবাস?
বলতে বলতে সোফিয়ার গলাটা ভীষন ধরে এল। মস্তিস্কের বিদ্যুুতিক তারগুলো থেকে ছিটকে পড়তে লাগল স্ফুলিঙ্গ। সোফিয়া আর দাড়িয়ে থাকতে পারল না। ধপ করে পড়ে গেল ২০ তলার নীচে। হ্যানসনের বাড়িতে এরপরে আর কেউ কখনো সোফিয়াকে দেখেনি। এরপর সোফিয়াকে রাখা হল হংকং এর জাতীয় জাদুঘরে। খন্ডিত অবস্থায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ ভাল লেগেছে।শুভ কামনা রইলো।
গল্পে সংখ্যাগত একটু ভুল আছে। এডিট করার চেষ্টা করছি। পারছি না।
বলতে পারবেন, কিভাবে এই গল্পটা এডিট করবো?
ম নি র মো হা ম্ম দ শুভেচ্ছা রইলো...আমার পাতায় আমন্ত্রণ
আপনারটা দেখেছি। মন্তব্যও দিয়ে এসেছি।
প্রজ্ঞা মৌসুমী গল্পটা একটু নড়বড়ে হয়ে গেছে হয়তো একশ/এক হাজারের গড়মিলে কিংবা ভূতুড়ে আওয়াজের মতো হ্যারিসনকে নিয়ে আসায় বিজ্ঞানের জগতে। তবে গল্পের পরিণতি আমার ভালো লেগেছে।
এক হাজার বছর হওয়ার কথা . আমি ভুল লিখে ফেলেছি। সরি- মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী সোফিয়াকে ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিলো, আজকে ৩০১৬ সালে তার একশ বছর হল কিভাবে....?
এক হাজার বছর হওয়ার কথা . আমি ভুল লিখে ফেলেছি। সরি

১৫ নভেম্বর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪