এই নশ্বর পৃথিবীতে যা কিছুর শুরু আছে তার শেষটা ও নিশ্চিত। নয়তো সকল প্রানির একটা মৃতু্যর স্বাদ ভোগ করতে হতো না । মেঘেরে দেশের মেঘেরও একটা পরিমাপ থাকে নয়তো সৃষ্টির আনা বর্ষন থেমে গিয়ে সূর্যের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতো না গন্ধ ফুরিয়ে যাওয়া ফুলকে অনাদরে কেউ ফেলে রাখতো না। ডাষ্টবিনের ময়লার সাথে / অবুঝ আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের উড়ে বেড়ানো সে ও একটা সময়ের গুন্ডিতে বাধা, আর তাই তো সন্ধ্যা হলেই আকাশকে বিদায় জানিয়ে নিড়ে ফিরে আাসে সমস্ত সুখ বিলাসি পাখি গুলো । পরিমাপ বা পরিসমাপ্তি নেই কেবল দুই জোরা ভাগ্যাহত চোখের । সৃষ্টি তাদের কেবলি নোনা জলের উৎপাদন করে বিনা মূল্যে বিক্রয় করা নিয়তির দরবারে। হ্যাঁ এই দুই জোরা চোখও অনেকের ন্যায় স্বপ্ন দেখতো ু লাল - নিল সবুজ বা মাল্টি কালার, এই দুই জোরা চোখ ও সবার মত আকাশ দেখতো নিলাকাশ, গোধুলীর হলদে আভা ভেজাঁ বালির বুকে ঢেউয়ের আলিঙ্গন- শশ্যে ফুলের মিষ্টি হাসির সমাবেশ অথচ আজ সে চোখগুলো আলো নয় আধাঁর দেখতে ভালোবাসে অনিচ্ছা সত্বেও দেখতে হয় ঝরে পরা নোনা জলের নিষিদ্ধ মিছিল। ** কবিতা ও কবি দু:জন দু:জনকে প্রচন্ড ভালবাসে যতটা ভালবাসলে মৃতু্যর দুয়ারে দাড়িয়ে ও বলা যায় ''ভাল থেকো ভালবাসা তুমি'। কবির পুরো নাম হুমায়ুন কবির, কবিতা কবি বলেই ডাকতো যদিও কবি কখনোই কবিতা লিখেননি তবে মানুষ কবিতার মতো কবি কবিতা পরতে বা আবৃতি করতে ভালবাসে কিন্তু কবিতা কবির দুটি চোখে তাকিয়ে থাকতো সুযোগ পেলেই । কবির চোখের সাদা কালো পৃষ্টা জুরে নাকি ভারোবাসার আবদ্ধ রোমান্টিক কবিতা প্রকাশিত হয় কবিতা সুযোগ পেলেই পলকহীন নেত্রে চেয়ে থেকে পড়ে নিত সে কবিতা মিষ্টি ভাষা গুলো । কবিতা আমার একাবান্ধবী চলার পথে আমাদের পরিচয় ওর সাথে আমার সম্পর্ক এমন যে ওর যখন খুব বেশি মন খারাপ হয় ও গায়ে পরে আমার সাথে ঝগড়া করে ঝগরাটা মুখোমুখি হলে হয়তোবা মাঝে মধ্যে হাসপাতালের বেডে আমায় রাত্রি যাপন করতো হতো । আমার চৌদ্দপুরুষের আর্শিবাদ যে, ঝগড়া বরাবরই মোবাইলে হয়ে থাকে । ধীরে ধীরে আমি উপলব্ধি করতে পারি কিছু একটা অতৃপ্ত বা অপূর্ণতা না পাওয়ার কিছু যন্ত্র না ওর হৃদয় গহিনে যথেষ্ট পিড়া দেয়- আমি জানতে চাই ও কেদেঁ উঠে। আমি বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে আবারো প্রশ্ন করি কবিতা এবার কেদেঁ উঠে। তাঁর পর অশ্রু মুছে বলতে থাকে ও কবির নামের একজনকে ভালবাসে, কবির ও তা প্রচন্ড ভালবাসে থেমে যায় কবিতা হতাশার এক দৃর্ঘ নিঃশ্বাস কবিতা বলতে থাকে কবিতা যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী এক চঞ্চল কিশোরী পারাময় ছোট্ট শালিকের ন্যায় ঘুরে বেড় নোই তখন যার সময় ঠিক তখনি বাবা মায়ের একটি ভুল সিদ্ধান্ত স্বিকার হলো হতে হয় কিশোরী কবিতাকে। কবিতার বয়সের চেয়ে প্রায় দ্বিগুনের ও বেশি এক ধনি প্রবাশির কাছে বাবা মা তাকে বিয়ে দেয় অথচ তাদেরও অর্থ কষ্ট ছিলনা কোন কালেই । স্বামি স্ত্রী সম্পর্কটা কেমন সেটা ও জানে না কিশোরী বিয়ের দিন বউ সাজবে কবিতা মাকে বলেছিল মা মা আমি দুলা দেখতে যাব এখানেই বোঝা যায় সে কতটা অবুঝ ছিল সে দিনের কবিতা কবিতার স্বামী বিদেশ চলে যায় তখন কবিতার সাথে পরিচয় ঘটে কবির। কবিতার মন যখন কলি থেকে পুষ্পে রুপান্তর হতে চললো, ঠিক তখনই কবিতার হৃদয় দখল করে নিল কবি । কবিতা তার স্বামীকে কখনো মেনে নিবে না সেটা উপলব্ধি করে তার পরিবার তবুও তার উপর জোড় করে স্বামীর অধিকার চাপিয়ে দিতে চায়। এই দিকে অর্থ পাচুর্য্য আর আত্ন মযর্াদা পূর্ন পরিবারের সন্তান হয়েও সামান্য বখাটে বনে যায় কবির কবি তার ভালবাসায় সম্পূর্ন বদলে যায় সে। আজ সে মাষ্টার্ষ শেষ করে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি চাকরি রত। কবি তা পালিয়ে বিয়ে করে না তাতে বাবা মায়ের সম্মান নষ্ট হবে । কবি তাই মিনতি তার বাবাকে কবিতার বাড়ি পাঠায় কবিতার বাবা তাকে অপমান করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় । সেদিন থেকেই দু ইজোড়া চোখের সমস্ত স্বপ্ন মুছে গিয়ে চোখের দখলে চলে যায়। আমি খুব চিন্তা করেই কবিতাকে পরামর্শ দেই হয় কবি নয় স্বামী একটা তোকে বেছে নিতে হবে। মানুষ 'ত পঙ্গু বা অন্ধ স্বামী নিয়ে ও ঘর করে। তুই কেন পারবি না?। যে কোন একটি জীবন তোকে মুক্তি দিতে হবে। কারো জীবনকে ধ্বংস করার তোর অধিকার নেই । কবিতা কাঁদতে থাকে । কাঁদতে কাদঁতে এক সময় উত্তর খুজেঁ পায় । কবির হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে স্বামীকেই সে মেনে নেয়। কবি কিছু বলে না । শুধু বলে তোমায় ভালবাসি আমার একমাত্র কর্ম হল তোমার সুখ তাতে আমার মৃতু্য হলেও দ্বিধা নেই । শুধু একটি কথা আমার মনের জানালা তোমার জন্য অনন্তকাল খোলা থাকবে। **** কবিতা তার স্বামীর বুকে অশ্রু মুছে কবিতা যখন অন্তঃসত্বা তখন কবিতার জীবনে নেমে আসে যঘন্যতম এক কষ্ট। কবিত কে তাঁর স্বামী প্রবাশ থেকে জানায় এ সন্তান আমার নয় কথাটি শোনা মাত্র এক মিনিটের জন্য থেমে যায় কবিতার সমস্ত আয়োজন কবিতার মায়া কান্নায় কোন কাজ হলো না প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ এত যঘন্য হতে পারে কথাটা শোনে নিজের প্রতি রাগ হলো আমার, আমার পরামর্শেই আজ ওর এমন পরিনতি কবি সব জানতে পেরে ছুটে আসে দুহাতে মুছে দেয় কবিতার দুচোখের নোনা জল কবিতকা অবাক চেয়ে থাকে । সমস্ত মানুষ ঙদি কবির মতো হতো ! কবিতার কোল জুড়ে আসে সন্তান দিন যায় মাস যায় ওর স্বামী ওর কোন খবর নেয় না। কবিতার বাবা , মা বুঝতে পেরে মেয়েকে ডিভোর্স লেটারে সই করায় । কবি কবিতাকে বলে তোমাকে ও তোমার সন্তান কে আমি মেনে নিতে রাজি আছি প্রয়োজনে আর কোন সন্তানআমি নেবো না । ওই হবে আমাদের সন্তান । কবিতার বাবা মা রাজি হয় কবে স্বর্ত হলো কবির বাবা মায়ের হাতে কবিতাকে তুলে দেবে। কিন্তু তা'ত আর সম্ভব নয় একেত কবিকার সন্তান আছে অন্য দিকে কবিতার বাবা কবির বাবাকে অপমান করেছে গভির সংকটে ওদের প্রেম তরী। কবি বলে সব ভুলে আমার হাত ধরে চলে এসো কবিতা তার মা বাবার সম্মানের কথা ভেবে কবিকে ফিরিয়ে দেয়। আজ কবিতার কাছে আমার প্রশ্ন? বাবা মাকে সম্মান করো ঠিক আছে । কিন্তু তুমি আমার নিস্পাপ এই ছোট্ট শিশুটির কথা মা হিসেবে তোমাকে ভাবতে হবে । আজ মানের জানালা দিয়ে কবিতা ও কবির বাবা মা সহ সকল বাবা মায়ের প্রতি আমার আবেদন আপনাদের ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই বা গোড়ামির কারনে সন্তানে সুন্দর ভবিষ্যত নষ্ট করে দিবেন না ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
গভীর আবেগে ভরপুর...একটু সচেতনভাবে বানান, বাক্য গাথুনি এসব বিষয়গুলো প্যারা আকারে তুলে ধরলে ভালো হত আর প্রচুর পড়তে হবে..আরো ভালো করতে পারবেন...শুভ কামনা.....
আহমেদ সাবের
সুন্দর গল্প। অনাদরে কিছুটা উজ্জ্বলতা হারিয়েছে। মোঃ আক্তারুজ্জামান ভাই 'এর সাথে একমত - "সত্যি অনেক আবেগ দিয়ে লেখা গল্প| দৃষ্টি নন্দন এবং সুখপাঠ্য করতে ছোট ছোট প্যারা আকারে গল্প লেখার বিকল্প নেই| "। ভবিষ্যতে আর ভাল গল্প পাবার আশায় থাকলাম।
বশির আহমেদ
আমাদের সমাজের দুষ্ট ক্ষত বাল্য বিবাহের পরিনতি যে কত ভয়াবহ তা লেখক ফুটিয়ে তুলতে চেষ্ঠা করেছেন । তবে লেখক সর্বাঙ্গে সার্থক হয়েছেন তা বলা না গেলেও ধীরে ধীরে লেখক সফল হবেন এই আশবাদ ব্যক্ত করছি । সবার লেখা পড়ুন ও নিজের লেখা সমৃদ্ধ করুন ।
মোঃ আক্তারুজ্জামান
সত্যি অনেক আবেগ দিয়ে লেখা গল্প| দৃষ্টি নন্দন এবং সুখপাঠ্য করতে ছোট ছোট প্যারা আকারে গল্প লেখার বিকল্প নেই| অনেকের কথাটা আমিও বলছি- অবশ্যই বেশি বেশি পড়া দরকার| নিরাশ হবার কিছু নেই- আবেগগুলিকে শুধু গুছিয়ে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার কায়দা কানুনটা রপ্ত করতে পারলেই চলবে| আমিও নগন্য শিক্ষানবীশ- অনেক বেশি বলে ফেললাম কিছু মনে কর না ভাই| ধন্যবাদ|
aktar vaiya.apnake asongkho donnobad.. asolei lekhati agucalo cilo.vul krome lekhati (G K ) Cole ase . r-apnader gothon mulok somlocona ba poramosso ami asha kori sobsomy, .anek……kusi holam. amar jonno dowa korben.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।