বৃষ্টি আসবেই, আসে... হাত মেললেই যার তীক্ষ্ণ বোঁটা, লেপ্টে যায় হাতের তালুতে। ঠোঁট বেয়ে নেমে যায় আষাঢ়ের ঢল, অতঃপর - স্পর্শের চেয়ে জমে থাকে কামড়ের স্বাদ!
বর্ষা যদি খুব অল্প হয়! বৃষ্টি, খুব আফসোস হবে! কদমের পরিধি জুড়ে মখমল রোম- শুকিয়ে যায়, শুকিয়ে যাবে...
২) এখনো আমি হুট-হাট বেরিয়ে যাই বৃষ্টির সন্ধানে গুড়িগুড়ি, হালকা থেকে ভারী বর্ষণের ঠিক আগমুহূর্তে। ক্যাম্পাসের সেই যাত্রী ছাউনির নিচে, চুলে এখনো তৃষ্ণার জল ! যেখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম প্রত্যহ। আর কয়েকটা ফুল । তুমি তাকে বিনয় করে বলতে... কদমফুল !
আমি বলতাম- বর্ষার প্রথম কন্যা ! আষাঢ়ের প্রমিকা। বৃষ্টির বাল্যবন্ধু ।
৩) যতটুকু শুষে নেওয়ার ঠিক ততটুকুই শুষে নিয়েছে ক্ষত, অতিরিক্ত জল জমে থাক অশ্রু হয়ে নগরের প্রতিটি ভাঁজে। তাতে আমার কি ? আমার কোন কিছুতেই, কিছু যায় আসে না !
৪) বর্ষাকালে ভূগর্ভস্থ যোনিপথ ভেজা আর পিচ্ছিল থাকে বইলাই কি, কর্তৃপক্ষ মনের সুখে তার বিশাল বিশাল মোটা পাইপ আর সরু তারের মাথা ঢুকিয়ে দিবে শহরের ভার্জিন রাস্তাগুলাতে... আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম, এটা না হয় উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার!! তাই বলে সোঁদা-মাটির বীর্যও বাইরে ফেলবেন!!! পয়সায় যদি না কুলায় তাইলে পলিথিন দিয়া করেন... কেউ তো আর মানা করে নাই!! আমরা নাদান পুলাপাইন রাস্তায় হাটি, কাপড়চোপড় তো নাপাক হয়ে যায়...!
৫) আবার বৃষ্টি আয়, শহরের সব ছোট-বড় রাস্তার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভালোলাগার বীজ। এখন এই বাঁধভাঙ্গা রোদের সিথানে একটু বৃষ্টির প্রয়োজন তাতে ঝুলে ঝুলে যাওয়া, বসে ঢুলতে থাকা, বিরক্তি নিয়ে বেসামাল সামনের ভদ্রমহিলা এমন আরও অগণিত মানুষ চলতে চলতে অন্তত দেখতে পাবে প্রশান্তির বহুমুখী অঙ্কুরোদ্গম... হয়তো কিছুদিন পর বাসের জানালা দিয়ে খুব খুব সস্তায়, হতেও পারে বিনামূল্যে পেয়ে যাবে “মানবতায় মোড়া ভ্যাকুয়াম প্যাকেটে সুস্বাদু শান্তির প্রাথমিক ফলন!!!”
কেননা এখন সময় মূলতই চাষাবাদের! বৃষ্টি তুই আবার আয়, এমন উর্বর মাটির যুগে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার নাহিদ হোসেন
চমৎকার কবিতা। তবে ৪ নম্বর সবচেয়ে মন মাতালো। চাওয়া রইলো- ৫নম্বরে কবি আর একটু গোছাবে। লাইন ভাঙলে হয়তো ঝামেলাটা চলে যাবে...। যাইহোক- কবিতা পছন্দে ও কবির জন্য সেরাটাই রইলো।
নৈশতরী
ভাষা ব্যবহারে খুব বাড়া বাড়ি দেখলাম !! সাহিত্য আজকাল নারীর সস্থা শরীর হয়ে গেছে, যে যেমন পারছে ধর্ষণ করছে !!
আমি এইভাবে না বললেও পারতাম কিন্তু বলে ফেললাম বা বলছি --সাহিত্যে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার বন্ধ হোক ..!!
অশ্লীল কোথায় পেলেন ? আপনি আবার পড়ুন... ওগুলোর অর্থ বুঝুন, শুধু শব্দের জালে আটকে গেলে চলবে? অর্থ বুঝলে মোটেও অশ্লীল মনে হওয়ার কথা না। যাইহোক তাতেও যদি অশ্লীল মনে হয় তবে আপনি শ্লীলতা শুরু করুন না!!! আমরা শিখি... তবে শুধু প্রকৃতিই কিন্তু সব না; চারপাশের ঘটনা, যা ঘটছে তাকেও কবিতায় আনার প্রচেস্টাই আসল প্রচেস্টা!!! ধন্যবাদ...
আপনি আমার ওপর চটে যাবেন আমি আগেই বুজতে পেরেছিলাম !! তবে রেজা ভাই আমার দাবি টা কিন্তু অযুক্তিক না সেটাও আপনি ভালো মতোই বুঝেন বা জানেন !! তবে এইভাবে যদি চলতে থাকে দেখবেন একদিন অশ্লীলতার জন্য আমাদের আর অশ্লীল ম্যগাজিন কিনতে হচ্ছে না আধুনিক কবিতা পাঠই যথেষ্ট !!!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।