মা বলেছিল সব ভুলে গিয়ে নতুন মেয়ে দ্যাখ আবার- বিয়ে কর, সংসার কর।
ইঞ্চিখানেক ধূলোজমা স্মৃতির ডায়েরিটা হাতড়ে দেখি- রাংতা মোড়ানো তোমার ছবিটা বিবর্ণ হয়নি এতটুকু! ক্যামন নির্লজ্জ, ড্যাব- ড্যাব আমার দিকে তাকিয়ে থাকে আজও।
দু- এক পাতা পরেই স্ফুরিত লাল অক্ষরে লেখা রুপকথার সেই উপসংহারহীন গল্প; তোমার- আমার প্রথম পরিচয়! সেদিন মধ্য ডিসেম্বরে, প্রাণের উল্লাসে মেতেছিল আমার সমস্ত শরীর; জীবনে সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা একটুকরো উচ্ছ্বসিত মুহূর্ত;
তারপরে- ঘরের সন্তান ঘরের শিক কাটে! বিশ্বাসঘাতকতা রাজপ্রহরীর।
কেটে গ্যাছে কতকাল- এই গল্পে নেই আর কোন রাজকুমারের বীরত্ব।
কিন্তু ওরা জানেনা- বেঁচে গ্যাছে তোমার সন্তান! না মা, অন্য নারীকে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। শপথ তোমার নামেঃ স্বাধীনতা (ই) হবে তোমার পুত্রবধূ।
যদি ইতিহাস লেখে বিজয়ীরা, তবে তাই হোক- যুদ্ধ জয়েই লিখব এই গল্পের উপসংহার;
প্রজ্ঞা মৌসুমী
প্রেয়সীর নাম স্বাধীনতা। ভাবনা এবং উপমার বুনন খুব ভালো লাগলো। প্রথমতো 'ঘরের সন্তান ঘরের শিক কাটে' মানেটা ধরতে পারছিলাম না। স্বাধীনতা শব্দটা সব বুঝিয়ে দিল; 'রাংতা মোড়ানো তোমার ছবি'- ডায়েরির ভেতর কি তবে পতাকা রাখা হয়েছে, কোন নারীর ছবি নয়? কবি এবং কবিতার জন্য অনেক শুভ কামনা।
আমার মনে হয় আমরা পূর্বে পরাধীন ছিলাম পাকবাহিনীর কাছে আর এখন পরাধীন নিজ মানুষের কাছে। এমন চিন্তা থেকেই কবিতা লেখা। ঠিকই ধরেছেন আপু এখানে প্রেয়সী কোন নারী নয়, দেশ এবং দেশের স্বাধীনতা। যেই স্বাধীনতা, বিজয় আমরা ১৬ই ডিসেম্বর অর্জন করেছিলাম কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্যই। পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার মূল্যবান মতামত আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। ভালো থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।