সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে বসে থাকি জানালায় মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে ঐ চাঁদ ডাকে ইশারায়- "কীরে মণি আসবি কাছে? উড়ে যাবি আমার সাথে। মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে জ্যোৎস্না মাখি চল দুজন মিলে আয়না মণি কাছে আয়,মাসী পিসির ডাকে ঘুম জড়াই ছোট্ট বেলার মত করে টিপ দিব যে তোর কপালে! সুখের পরশ মেখে চোখে ভালোবাসায় তুই জড়ালে।"
শূন্য চোখে ঝাপ্সা দেখি তোর জ্যোৎস্নায়ও নিঝুম আঁখি চার দেয়ালে বন্দী জীবন যায় চলে যে কাজের ফাঁকে তোকে দেখে খুব সাধ যে জাগে,ডানা মেলে উড়াল দিতে উড়বো কীরে আঁচল পেতে বসে থাকি মধ্যরাতে সবার কাজের শেষ আছে যে,আমার কাজ বাঁকিই থাকে "কি যে বলিস মণি সোনা! মার কথা কি মনে পড়ে না? তোর কপালে আদর দিয়ে মা বেড়াত স্বপ্ন ঘোরে স্বপ্নের সেই পথটা তোকে,শিখিয়েছে সে গল্পের ছলে বোকা মেয়ে,কেমন করে গেলি সব যে ভুলে?"
কে বলেছে গেছি ভুলে এখনও বাঁচি সেই সে ঘোরে নদীর তীরে ছুটে ছুটে ফড়িং ধরি চিহ্ন বাটে ঝিলের বুকে হাঁটুজলে এখনও নামী শাপলা ফুলে প্রজাপতির সবটুকু রঙ মনে মাখি নিঝুম রাতে চাঁদনি রাতে উঠোন জুড়ে সবাই বসি পড়া ভুলে অমাবস্যার সময় এলে জোনাক ধরি বৈয়াম ভরে সবই আমি এখনও করি ঘুমটা যখন যায় যে দূরে ভোরের আলো ফোঁটার আগে উঠে পড়ি বিছানা ছেড়ে চাঁদটা তখন দীর্ঘশ্বাসে মুখ ফুলিয়ে বলে উঠে- "একবার আয় আকাশ বুকে দেখবি আছিস কত সুখে লক্ষ্মীসোনা মণি আমার ভেঙে ফেল ঐ জানালা আমার সাথে তোর যে বাঁধন আয় ছুটে আয় ভুলে জ্বালা"
একদিন আমি আসব ঠিকই স্বপ্নগুলোর পাখা ভেঙে আমার নাড়ির ব্যথা ভুলে সময় ফুরায় ধীরে ধীরে সবাই এখন বড় হয়েছে রেঁধে বেড়ে খেতেও পারে তারা এখন কথায় কথায় খুব করে যে আমায় শুনায় 'ধ্যাত তেরি মা তুমি কোনদিন কিছুই পারো না!' তুল্য করে ভিন্ন মায়ের মূল্য খোঁজে কীসের দায়ে! সঙ্গী যে জন সেও বলে 'নারী কি লাগে এ সংসারে সারাটা দিন কাজটাইবা কি? রান্না খাওয়া এইত সবই' বুড়ি দাদি বলত সেও 'মুখপুড়ি তুই লক্ষ্মীছাড়া মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে বুঝবি কেমন কপালপোড়া।'
এখন আমি ঘোরে থাকি না তোকে দেখিনা কল্পনায় স্বপ্নগুলো বুড়ো হয়েছে তাই বুঝি আর পথ চলে না সময় বুঝি এইতো এলো মেঘের ভেলায় ভেসে যাবার যেটুকু ক্ষণ আছে হাতে সাধ জাগে নিজের করে পেতে সবার মনে ছুটে ছুটে দেখি হৃদয় শূন্য ঘরে তুই যেমনই আছিস তেমন ছোট্ট বেলার মতন দূরে কষ্ট ব্যথা তুই তো জানিস রেখেছি তোকে সাক্ষী করে আপন করে আত্মা পেতে শুদ্ধি চাই তোর আকর্ষণে- তোর শহরে আসছি গো চাঁদ দেখব কেমন ভালোবাসা মায়া মমতা স্নেহ পরশ কেমন দিস তার রূপরেখা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ম নি র মো হা ম্ম দ
।।
এখন আমি ঘোরে থাকি না তোকে দেখিনা কল্পনায়
স্বপ্নগুলো বুড়ো হয়েছে তাই বুঝি আর পথ চলে ন...মনকাড়া লাইন।।শুভ কামনা আর ভোট রইল। আমার পাতায় আসার আমন্ত্রণ।
শৈশব কৈশোর নিয়ে কল্পনায় ঘুরে বেড়ানো যায় কিন্তু সেই জায়গায় ফিরে যাওয়া যায় না। সেই সময়টা অধরাই থেকে যায়। চাঁদ জ্যোৎস্না এসব কি ধরা যায়? কবিতার প্রতিটি স্তবকেই বিষয়টি কণ না কোনভাবে আছেই। জরুরি নেই যে বিষয়ের উল্লেখিত শব্দটা লেখায় উল্লেখ করতে হবে। সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
উড়বো কীরে আঁচল পেতে বসে থাকি মধ্যরাতে
সবার কাজের শেষ আছে যে,আমার কাজ বাঁকিই থাকে
"কি যে বলিস মণি সোনা! মার কথা কি মনে পড়ে না? ...// ভালো কবিতা পড়ার সুখই আলাদা...সেলিনা আপা অনেক দিন হয় আমার পাতায় আসেন না....শুভ কামনা রইলো...
মাইনুল ইসলাম আলিফ
ছোট বেলার সেই চাঁদের গল্প থেকে শুরু করে নিজের সন্তান আর বুড়ি দাদি আর সঙ্গীর গল্প করেছেন।চাঁদের সাথে আপনার যে মিতালী, চাঁদ আপনাকে ডেকে ডেকে সেটাই বলে বেড়াচ্ছে।সুন্দর কবিতা।ভোট রইল।আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
চাঁদের ইশারায় ডাকা, কিছু সুখকর বিষয়ের লোভ জাগানোর চেষ্টা খুবই সুন্দর। কিন্তু চার দেওয়ালে বন্দী থাকার কারণে উড়াল দিতে না পারায় হতাশা প্রকাশ। ছোট্টবেলায় চাঁদ যেমন দূরে ছিল, তেমনই এখনো সে যে দূরেই আছে, মনের এই অনুভূতি প্রকাশ করে এটাই তাকে বোঝানো যে সে আসলে ছোটবেলার মত অধরাই আছে। খুবই মানসম্পন্ন কবিতা। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন। শুভ নববর্ষ ২০১৮।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।