এ দেশে কে সরল, কাকে তুমি বলবে সাধারণ? যাদের পদতলে দলিত করে বড়ো হয়, যাদের রক্ত চোষে একই সভায় জড়ো হয় সমাজের অধিপতিরা।
কাকে তুমি বলছ সাধারণ ওরা আগুন চেনে, মানুষের সাথে মানুষ ঘসে আগুন জ্বালায় সরলমনের জনতারা।
কাকে চেনাবে তুমি রক্তের রঙ, এ জাতি অপরিচিত নয় রক্তের নেশার সাথে। ঘুমন্ত মাটির পাঁজরের নিচে প্রতিনিয়তই বয়ে চলে লাল রক্তের স্রোত। জলপাই রঙের বুলেটের সাথে সখ্য তাদের বহুদিনের। মলিন হওয়া ফুলের ঘ্রাণের পাশে পরে থাকা সতেজ বারুদের ঘ্রাণ ওরা টের পায়। কচি ডাবের মতো গ্রেনেড এক সময় ছিল ওদের কচি হাতের খেলনা।
ওরা যুদ্ধ চিনে, যুদ্ধ করে শুদ্ধ হয়ে অগ্রভাগের সৈনিক হয়েই শান্তির খোঁজে ওরা হেটে চলে মুক্তির মিছিলে। তবুও ওরা জড়ের মত পড়ে থাকে, উপরওয়ালার সাহায্যের আশায়।
গত বর্ষার ক্ষত বুকে নিয়ে শুয়ে থাকে জলিলের ভিটে, প্রতিটি ভোরে রোদেরা এসে খেলা করে যায় তার ভাঙ্গা ঘরের প্রাক্তন সজ্জায়। আর জলিল, মিথ্যে মামলার খেসারতে জেলখানায় টিকটিকির মতো জীবন দেয়। হোসেন আলী নিজ স্বার্থসিদ্ধির আশায় পদ্মা পাড়ের সরলমনা সাধারণ জেলে কুবের কে দেয় নতুন কাজের সন্ধান। সাধারণ বেশে বড়ো হয়ে সরলতায় সুযোগে সমাজের হাতে স্বপ্ন নষ্ট করে গ্রাম্য ললিতারা। তখনও ওরা জাগে না।
এ জাতি মুক্তি চেনে, বহুবার পেয়েছে মুক্তির স্বাদ। আসল মুক্তি ওরা কভু পায়না; কভু পাবেনা। সরল মানুষকে পুঁজি করে, মানুষের শরীর বিক্রি করে অনেকে করে নিজের রুজি। আর ওরা বলে “আমরা মাটি খুড়ে সুখ খুঁজি”।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
সতেজ বারুদের ঘ্রাণ ওরা টের পায়।
কচি ডাবের মতো গ্রেনেড এক সময় ছিল
ওদের কচি হাতের খেলনা। ........// ভাল লাগল কবিতা তবে আশাহত না হয়াই ভাল ......হাসান ফেরদৌস ধন্যবাদ আপনাকে...........
খন্দকার নাহিদ হোসেন
কবিতা আবেগি ও সুন্দর। তো ভালোলাগা রইলো। ক্ষোভ-সুখ-দুঃখ-শোক... এর সাথে সাথে কবিতায় চিন্তার নতুনত্ব(হোক সেটা উপমায় কিংবা ভাবনার দর্শনে) কবি সামনে আনবে এই কামনা কিন্তু করতেই পারি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।