ভালোবাসার সন্ধানে

কষ্ট (জুন ২০১১)

কামরুল ইসলাম শিমুল
  • ১৩
  • 0
বর্ষার সার্থকতা সে ঝরতে পারে, কাঁদতে পারে। ঝরে গিয়ে কেঁদে কেঁদে সে তার মনের অব্যক্ত কথা প্রকৃতিকে রিমিঝিমি শব্দে শোনাতে পারে। কালো মেঘের আবরণে তার যত কষ্টের দাগ লেগে আছে সবটুকু সে অঝোর ধারায় প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিতে পারে। এই পারাটাই তার সুখ, তার সার্থকতা। কিন্তু আমি তো বর্ষার মতো কাঁদতে পারি না! আমি যা পারি তা হলো, গভীর রাতে নিজের দুঃখ-যাতনার স্মৃতি রোমন্থনে দু'চোখের পানি দিয়ে বালিশ ভেজাতে। আমার এই বালিশ ভেজা চাপা কান্না কেউ দেখে না। কেউ শোনে না আমার হৃদয়ের আর্তনাদ। শুনেছি বিশ্বাসে মেলায় বস্তু। সেই বিশ্বাসের উপর ভর করে আমি যাকেই আপন ভেবে নিজের দুঃখ-কষ্টকে তার সাথে শেয়ার করতে চাই, সে কেবল আমাকে সান্ত্বনার বাণী-ই শুনিয়ে দেয়। আমার পাশে এসে দাঁড়ানোর সাহস তার হয় না। হবেই-বা কি করে আমি যে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী! কোন সুস্থ সবল ব্যক্তি কি চায় তার জীবন কোন প্রতিবন্ধীর সাথে জড়াক? চায় না।
একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও নিজের জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজানোর স্বপ্ন কখনো দেখিনি যে তা নয়। আমার ভাঙ্গা মনটাতেও খুব ইচ্ছে জাগে ভালোবাসার স্বাদ পেতে। একটু ভালোবাসা পেলে আমিও যে রচনা করতে পারতাম বিশ্বের মহা কবিদের অপরিচিত সংগীতমালা। অন্তর মাধুরী দিয়ে দূর করতে পারতাম মনে সকল পুঞ্জিভূত কুয়াশা। মহাশূন্যের বুকে উড়িয়ে দিতাম শান্তির পায়রা। নতুন সৃষ্টির গানে হতাম সোচ্চার প্রতিদিন চিরদিন। মাঝে মাঝে ভাবি জীবনে চলার পথে এমন কারোর দেখা কি পাবো না, যার একটু ভালোবাসা পেলে আমার এই ভাঙ্গা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারবো? এমন কোন মন আছে কি, যে মনটি অন্তত বুঝবে একজন প্রতিবন্ধীর জীবনে কি পরিমাণ কষ্ট আছে? জানি তেমন মন পাওয়া আমার ক্ষেত্রে অসম্ভব কারণ আমি যে ......! আমাকে কেবল করুণা করা যায়, ভালোবাসা যায় না। ভালোবাসতো পূর্ণতায় ভরা। অপূর্ণ জীবনে ওসব একেবারে বেমানান। যদি তা বেমানান না হতো তবে কখনো আমাকে বালিশ ভেজা চাপা কান্নায় কাঁদতে হতো না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Lutful Bari Panna শিমুল ভাই ফ্রেন্ড রিকো পাঠিয়ে উত্তর পাচ্ছি না। আপনি কি আর ঢুকছেন না। যাই হোক ফোন দিচ্ছি..
শাহ্‌নাজ আক্তার আমি এর আগে কমেন্ট করিনি , এবং গল্পটি ও পড়িনি , এখন পরলাম , শারীরিক প্রতিবন্ধী--আসলে এদেরকে আমরা সমাজের বোজা মনে করি, আদর করে কাছে টেনে খুব কমই নেই, আমাদের মানসিকতা পাল্টাতে হবে , খুব ভালো লিখেছ | ধন্যবাদ |
আবু ফয়সাল আহমেদ অনেকটা আত্মকথন ধরনের কিছু একটা হয়েছে. তবে বর্ণনা শৈলী সুন্দর
উপকুল দেহলভি লেখাটি বেশ ভালো লাগলো; আপনাকে আমার ঘরে আমন্ত্রণ;
মনির মুকুল শিমুল ভাই, আপনার লেখা আত্মকথন মানেই অন্যরকম স্বাদ। আগেও আপনার এধরণের কয়েকটা লেখা পড়েছি। আপনি খুব সন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন ভিতরের কথাগুলো। আপনার লেখা সেই মেঘের আত্মকথা আজও মনে পড়ে। আজ আবার পড়লাম আপনার নিজেকে নিয়ে লেখা। সত্যি অসাধারণ (শেষের ‘কখনো’ শব্দটা এখনো হলে মনে হয় আরো ভালো হতো)।
sakil মনোযোগ দিয়ে লিখতে হবে . এটা ঠিক গল্প হলো কিনা জানিনা .
AMINA প্রতিবন্ধীর অনুভুতি তুলে ধরায় ভাল লাগল ।
মামুন ম. আজিজ ভালবাসা কেউ দেয়না , সে খুঁজে নিতে হয়। ...এটা ডায়েরীর পাতার মত,....না গল্প না কবিতা
মোঃ আক্তারুজ্জামান গল্প ঠিক গল্প হয়ে উঠেনি| আর একটু গুছিয়ে আগানো উচিত ছিল| চালিয়ে যান- শুভ কামনা রইলো|
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) মারহাবা ভাই কামরুল ইসলাম শিমূল । চালিয়ে যান, ভালো হয়েছে ।

২৩ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী