মাগো, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো ? কত কাল ধরে, কত বেলা অবেলায় তোমাকে খুঁজে মরছি। কিষানের সবুজ ফসলের মাঠে, কিষাণীর প্রৌঢ় আটচালা থেকে শূন্য উঠোন, নদী পারের ঐ বটতলাটায়, গ্রামের পদ্ম দীঘির শান বাঁধানো ঘাটে। নয়তো মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা শহীদ মিনারের পাদদেশে। কোথাও তুমি নেই, তুমি কি জেগে আছো? নাকি তোমার নাড়ি ছেড়া ধন রফিক, সালামের রক্তমাখা জামা বুকে নিয়ে এখনও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছ ? বায়ান্ন থেকে কত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা এসেছি একুশ শতকে। তুমি জেগে ওঠো, সুদৃশ্য দালানের সদর দরজায় পঞ্চ-প্রদীপের ডালা সাঁঝিয়ে একটি বার উঠোনের দিকে মুখ করে তাকিয়ে দেখো, নিভু নিভু মাটির প্রদীপটা কেমন জ্বলে উঠে বিষাক্ত বাতাসে। চৈতী ফুলের বাগান ঘিরে দেখো কেমন জ্বলছে জোনাক। আজ একুশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে আমরা ঠাঁই দাড়িয়ে তোমার লক্ষ কোটি সন্তান কেমন বীর দর্পে তোমায় মা বলে ডাকছে। পশ্চিমের সবুজ ধান ক্ষেত মাড়িয়ে নদী পারের বুড়ো বটগাছটা ছেড়ে দিয়েছে তার শিকড় বাকড়। সে আজ সুরম্য প্রাসাদে ইট পাথরের খাঁচায় বন্দী বনসাই। বায়ান্নতে তোমার সন্তানেরা দিয়েছে আমাদের মা ডাকার অধিকার। একাত্তরে তোমার সন্তানেরা করেছে অস্তিত্বের লড়াই। একুশ শতকে তোমার জোনাকিরা বুড়ো বট গাছটার সাথে আঁতাত করে আমায় প্রশ্ন করে, আমাদের অস্তিত্ব কোথায় ? আমাদের হারিয়ে যেতে দিওনা। আমরা যে তোমার মায়ের উত্তরসূরি, যাকে তুমি খুঁজে ফিরছো সুদীর্ঘ সময়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।