মহিমান্নিত চেতনা

গর্ব (অক্টোবর ২০১১)

আহমাদ ইউসুফ
  • ১৩
  • 0
  • ২৮৪
আজকের চাঁদটা দেখেছ? না কেন? বল কি আজ তো পূর্ণিমা। চতুর্দশীর ভরা যৌবনবতী চাঁদ। জ্যোস্না আর সফেদ মেঘে মাখামাখি সারাটা আকাশ। এমন সৌন্দর্য তুমি দেখলে না। এটা কোন কথা হল বলে জুই। আমি দেখিনি তো কি হয়েছে। তুমি তো দেখেছ। তোমার চোখে আমার মুগ্ধতা। আচ্ছা তাই নাকি! ভালইতো তৈলবিদ হয়েছ। মুখ টিপে হাসে জুই। বারে এ আর এমন কি। যেদিন হতে তোমার চোখে দেখেছি আমার সর্বনাশ সেদিন হতে আমার বলে তো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বোকার মতো কথা বলছ কেন? আমি আবার তোমার কি সর্বনাশ করলাম। তুমি তো আমার বন্ধু। খুব কাছের বন্ধু। বলে জুই। হ্যাঁ ঠিক আছে। বন্ধু ছিলাম। তবে এখন আর নেই আর ভবিষ্যতে ও থাকব না বলে জনি। মানে কি বলতে চাও তুমি? জুঁইয়ের কণ্ঠে আকুলতা । না তেমন কিছু না। আর হ্যাঁ আমি এতো রাখঢাক পছন্দ করি না। আমি তোমাকে পছন্দ করি জুই। বেশ তো আমারও তো বেষ্ট ফ্রেন্ড তুমি। তোমাকে পছন্দ করি এটা বলা বাহুল্য নয় কি? হ্যাঁ বাহুল্যই বটে তবে একটা ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। আর তা হল স্বর্গীয়, ভালোবাসা যাকে স্পেসিফিক ভাবে বললে সেটা হবে প্রেম বলল জনি। কি বলছ তুমি? এটা অন্যায় আর অবাস্তব একটা কথা। কিন্তু আমি সিরিয়াস। আমার পৃথিবী এখন তুমি। জনির সহজ স্বীকারোক্তি। যাহ! তাই কি হয়। তুমি অনেক ব্রিলিয়ান্ট একটা স্টুডেন্ট। তোমার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তোমার উচিত পড়াশুনার দিকে মনোযোগ দেয়া। তোমাকে নিয়ে সবাই গর্ব করে। সবাই তোমার সাফল্যে গর্বিত। এটা একটা ভালো মজার অনুভূতি, যদি তুমি তা বুঝতে পার। না আমি এতকিছু বুঝতে চাইনা। আমি তোমার একটু অনুগ্রহ চাই। কি হচ্ছে কি এসব। তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? না আমি ঠিক আছি। ঠিক আছো তো এভাবে অপ্রকৃতিস্থের মতো কথা বলছ কেন। তোমাকে কি ভূতে পেয়েছে। প্রশ্ন করে জুই। আরে ধ্যাত কি যা তা বলছ। আমি তোমার সাথে মজা করছিলাম। হো হো করে হেসে ওঠে জনি। ওহ! তাই বল । আমি তো ভড়কে গিয়েছিলাম। তোমার যা জিদ তাতে আবার সব ছেড়ে ছুড়ে আমার পিছনে লাগো। জি না ম্যাডাম এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আমি। আর তুমি তো আমার বন্ধু। এটাই যথেষ্ট নয়কি। হ্যাঁ আমারও তো তাই ধারনা। কিন্তু সবাই যে বলে-----? হঠাৎ থেমে যায় জুই। সবাই কি বলে? এই কি আর বলবে। বলে তোমার সাথে আমার প্রেম চলছে। তাই নাকি? বেশতো। ভালোই বলছে লোকগুলো। আচ্ছা ওরা কারা এসব আজেবাজে কথা বলছে। বলতো? প্রশ্ন করে জনি। কারা আবার। আমার সব বন্ধুরা। ও আচ্ছা তাই বল তোমার বন্ধুরা বলে তুমি আমার সাথে প্রেম কর। বেশ ভালো কথা। তোমার কি মত? মানে কি ? আমার মত মানে? হ্যাঁ তোমার মতামতটা কি শুনি। আই মিন যা কিছু রটে তার কিছু তো ঘটে। জি না ওসব প্রেম ট্রেম আমাকে দিয়ে হবে না বলে জুই। আচ্ছা ভালো কথা আমার একটু তাড়া আছে। ফোনটা রাখতে হবে। বলে জনি। আচ্ছা শোন তার আগে তোমার মতামতটা বল। মানে কি বলতে চাও তুমি? আমার মতামত আবার কি। অবাক হয়ে জানতে চায় জনি। ওই যে, যা কিছু রটে তার কিছু তো ঘটে। ওহ তাই আমার মতামত আর শুনে কি করবে। আমাকে দিয়ে ওসব প্রেম ট্রেম হবে না রে। হতাশ কণ্ঠে বলে জনি। তাহলে কি হবে শুনি? সাগ্রহে জানতে চায় জুই। বড়জোর একটা বিয়ে করা হয়ে উঠতে পারে। ইস বললেই হলো। তোমাকে কে বিয়ে করবে শুনি। কেন দেশে কি মেয়ের আকাল পড়েছে যে আমার মতো সুদর্শন স্মার্ট ছেলেকে কেউ বিয়েই করতে চাইবে না। হ্যাঁ তাতো অবশ্যই। আর বড়লোক বাপের কানা খোঁড়া আইবুড়ো মেয়ে টেয়ে থাকলেই তোমার কপালে জুটতে পারে কথাটা বলে হি হি করে হাসতে থাকে জুই। আচ্ছা হয়েছে হয়েছে। আর কেউ না করলে তুমি তো করবে নাকি। ইস আমার বয়েই গেছে ওনাকে বিয়ে করতে। ঠিক আছে তোমাকে বিয়ে টিয়ে কিছুই করতে হবে না। আমরা বন্ধু আছি বন্ধুই থাকি। এবার হল তো। ফোন রাখি বলে কট করে ফোন কেটে দেয় জনি।

জুই জানে এটা জনির রসিকতা তারপরও মনটা খারাপ হয়ে যায় ওর। দেড় বছরের বড় জনি জুঁইয়ের বাবার বন্ধুর ছেলে। সেই সুবাদে দুই পরিবারের সম্পর্ক খুবই অন্তরঙ্গ। ছোটবেলা থেকে হাত ধরাধরি করে বেড়ে ওঠা। বন্ধুত্ব। তবে ইদানীং কেমন একটা সংকোচ বোধ কাজ করে জনির মনে। কেমন একটা গোপন ইচ্ছা উঁকিঝুঁকি দেয় ওর মনে। আর তা হচ্ছে জুঁইয়ের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা। চোখে চোখ রাখা। যতন তখন জুঁইয়ের বাসার দরজার কড়া নাড়া। মাঝে মাঝে জুঁইয়ের কড়া ধমকে ভড়কে যায় জনি। তারপরেও কি এক অদ্ভুত ভালোলাগায় দ্বিগুণ উৎসাহে জুঁইয়ের চোখে চোখ রাখে। জনিকে ধমক ধামক দিলেও কেমন একটা অদৃশ্য ভালোলাগায় সিক্ত হয় জুঁইয়ের অন্তর। সর্বদা একটা মোহাচ্ছন্ন আবেশ ঘিরে থাকে ওর চারপাশ।

রেহানা বেগম বেশ চিন্তিত তার একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ছেলে হিসাবে যথেষ্ট ভদ্র ও মেধাবী সেলিম কায়সার জনি। তার একমাত্র বুকের ধন। সবে এইচএসসি পাশ করে ভার্সিটি ভর্তির জন্য কোচিং করছে জনি। বুয়েট মেডিকেলে চান্স পাওয়া খুব একটা কঠিন হবে না তার জন্য। কিন্তু ইদানীং ছেলেটার ভাবভঙ্গি বেশ সুবিধার মনে হচ্ছে না। কেমন একটা ছন্নছাড়া অগোছালো ভাব। আর জুই মেয়েটারও ঘন ঘন যাতায়াত বেশ সন্দেহজনক। এত বড় ধিঙ্গি মেয়েটা জনির রুমে এত ঘন ঘন আসে কেন রেহানা বেগম ভেবেই পাননা। পড়াশোনার সাহায্যের জন্য আসো ভালো কথা। তাই বলে দিনের মধ্যে এতবার আসা যাওয়া কেন। আর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ হি হি হা হা করতেই থাকে। মর জ্বালা। ভারী বেহায়া মেয়ে তো বাবা। দেখা হলেই স্লামালেকুম আন্টি কেমন আছেন? মিষ্টি করে হেসে জিজ্ঞেস করবে মেয়েটা। কেমন মিষ্টি একটা মেয়ে। ছাত্রী হিসাবে ও মোটামুটি। পড়ার উছিলায় বই-খাতা নিয়ে আসে বলে তিনি সরাসরি কিছু বলতেও পারেন না। রাগে গজ গজ করতে থাকেন তিনি। বাহ ভালোই বুদ্ধি দেখছি পড়া বোঝার উছলায় প্রেম। আরে ধ্যাত কি যা তা ভাবছেন রেহানা বেগম। জুই হয়তো পড়াশুনার হেল্প এর জন্যই জনির কাছে আসে। তারপরও তার কেবলই মনে হতে থাকে তার একমাত্র ছেলেটাকে নষ্ট করার জন্য জুঁইয়ের মতো এমন একটা তন্বী কিশোরী মেয়েই যথেষ্ট।

চন্দ্রিমা উদ্যানের লেকের পাড়ে মুখোমুখি বসে বসে ঝালমুড়ি চিবোচ্ছে জুই। জনির এদিকে কোন খেয়াল নেই। চারটে থেকে মডেল টেস্ট আছে তাই শেষ বারের মতো শীটটা দেখে নিচ্ছে ও মনোযোগ দিয়ে। হঠাৎ জুঁইয়ের ডাকে ধ্যান ভাঙ্গে জনির। শোন তোমাকে কিন্তু মেডিকেলে অবশ্যই চান্স পেতে হবে, বুঝেছ। কেন ? মেডিকেলে কেন? ওসব ডাক্তার-টাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। এমন কুচিন্তা আমি করতেই পারব না বলে জনি। কুচিন্তা কেন হবে? ডাক্তারি তো একটা মহান পেশা। মানুষের সেবা করা। মৃত্যুপথযাত্রীকেও আবার আলোর মুখ দেখানো বলে জুই। কুচিন্তা নয়তো কি? সারাক্ষণ মানুষের অসুস্থতা কামনা করতে হবে যে! মানুষ অসুস্থ না হলে আমার সংসার চলবে কি করে? যত বেশি মানুষ অসুস্থ হবে ততই আমার বাম্পার ইনকাম। আমার বাড়ি হবে, গাড়ি হবে, তাই না। আরে ধ্যাত কি যে বলনা। তুমি বিষয়টা নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছ কেন? পজিটিভলি নাও। আরে বাদ দাও তো। বুয়েট মেডিকেলে আমার পড়ার ইচ্ছা নাই। বল কি? সবাই তো আশা করে আছে তোমার উপর। তুমি নিশ্চিত ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়েই যাচ্ছ। তুমি তোমার বাবা মার গর্বের ধন। তোমাকে তো তাদের প্রত্যাশা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। বলে জুই। আচ্ছা হয়েছে হয়েছে ভালই তো দূতওয়ালী করতে পার দেখছি। তোমাকে কি মা পাঠিয়েছে আমাকে এসব বলার জন্য। আরে না না। কি যে বল। আমি তো বুঝি আঙ্কেল আন্টির বিষয়টা। ইস! সবজান্তা সমশের খা। যাও ভাগো এখান থেকে। তোমার এত পণ্ডিতি করতে হবে না। তবে ওই প্রফেশনটা আমার অনেক পছন্দ। তা আমি কি করতে পারি? ধমকে ওঠে জনি। তোমার পছন্দে অপছন্দে তো আমার জীবন চলবে না। জীবনটা আমার। আমিই সিদ্ধান্ত নিব আমার কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা অনুচিত। বুঝতে পেরেছ। এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে থামে জনি। ও তাই আমার কথার কোন দাম নেই তোমার কাছে। আমি তোমার কেউ না। গাল ফুলিয়ে মুখ গোমড়া করে উল্টো ঘুরে বসে জুই। জুঁইয়ের হঠাৎ এমন আচমকা পরিবর্তনে ভড়কে যায় জনি। আচ্ছা আচ্ছা হয়েছে। সরি। তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য কথাটা বলিনি। আচ্ছা তুমিই বল এত প্যান প্যান শুনতে কার ভালোলাগে। সবাই আমাকে নিয়ে এত এত আশা করে যে আমার মনে হয় আমি চান্স না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ ই খোলা থাকবে না। আর আমি মনে হয় এতই বাচ্চা ছেলে সবাই আমাকে কেমন সন্দেহ করে। আমি পড়ি না আড্ডা দেই। এসব নিয়ে তাদের যত মাথাব্যথা। আমি আর পারছি না জুই। আমার আর ভালো লাগছে না। এ এক অসহ্য ভালোবাসার অত্যাচার। আমার মনে হয় আমি পড়াশুনা সব ছেড়ে ছুড়ে ভবঘুরে হয়ে যাই। কি যা তা বলছ তুমি । তোমার জীবনে এখনই একটা ট্যানিং পয়েন্ট। এখানে যদি তুমি আউট অফ ট্র্যাক হয়ে যাও তো সারাজীবন তোমাকে পস্তাতে হবে। এটা কি বুঝতে পারছ বলে জুই। বিষয়টা আমি বুঝি জুই। কিন্তু সমস্যা হলো মা ইদানীং তোমাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখছে। মার ধারনা তোমার জন্যই আমি হয়তো কোথাও চান্স পাবনা। আমি মার ভুল ধারনাটা ভেঙ্গে দিতে চাই। আমি এখন শুধুমাত্র তোমার জন্যই মেডিকেলের পরীক্ষাটা দেব। আমি আসলে প্রমাণ করতে চাই যে সব প্রেমই ধ্বংসাত্মক হয় না। প্রেম স্বর্গীয় এক মহিমান্বিত চেতনা। যা শুধু মানুষকে ধ্বংসই করেনা। কারো কারো জীবনে সাফল্যের স্বর্নশিখরে অবস্থানের জন্য প্রেমই প্রধান চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করে। তুমি ঠিক বলেছ জনি। আমিও তোমার সাথে একমত। আসো। তোমার হাতটা দাও। আমরা এগিয়ে যাবো এক শান্তিময় নতুন পৃথিবীর দিকে। হাতটা বাড়িয়ে দেয় জনি। মিষ্টি হেসে হাতে হাত রাখে জুই। এগিয়ে যায় ওরা এক সম্ভাবনাময় নতুন দিগন্তের পথে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমাদ ইউসুফ Thanks a lot for your comments . It will be surely inspired me to write a better one.
মোঃ আক্তারুজ্জামান সাবলীল লেখা| শুধু মাত্র প্যারা আকারে লিখলে আরো অনেক সুন্দর লাগত| অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো|
এফ, আই , জুয়েল # জীবনের জলতরঙ্গে প্রেমের মিতালী --- অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।
আশা লেখকের গল্প লেখার হাত ভালো। তবে ডায়লগ গুলো "Reported Speech" & "Reporting Speech" আকারে সাজিয়ে লিখলে ভালো হতো। শুভকামনা থাকলো লেখকের প্রতি।
আবু ওয়াফা মোঃ মুফতি বড্ড রোমান্টিক! ভাল লাগলো |
মিজানুর রহমান রানা আমরা এগিয়ে যাবো এক শান্তিময় নতুন পৃথিবীর দিকে। হাতটা বাড়িয়ে দেয় জনি। মিষ্টি হেসে হাতে হাত রাখে জুই। এগিয়ে যায় ওরা এক সম্ভাবনাময় নতুন দিগন্তের পথে।--------------চমৎকার। দাবানলের এই পৃথিবীতে শা্িন্ত বড়ই প্রয়োজন। আপনার প্রতি শুভ কামনা।
চৌধুরী ফাহাদ পড়াটা অনেক সস্তিদায়ক। ভাল লাগলো।
আহমেদ সাবের এমন সুন্দর একটা রোমান্টিক গল্পের কোন পাঠক নেই দেখে খুব কষ্ট লাগলো। শুভেচ্ছা গল্পকার।
sakil সুন্দর প্রেমের রোমান্টিক গল্প . ভালো লিখেছ . মামুন ভাইয়ার কথা খেয়াল রেখো .

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪