বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশে এসে পেঁৗছায় সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড়ের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলা।কিন্তু ভারত ছাড়ার আগে সাকিবদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন দলের সফল বোলার ক্রেমার রোচ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হ্যাট্রিকসহ ৬ উইকেট লাভ করে যিনি এবারের বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করলেন।ক্রেমার রোচ কৃতিত্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ বড় জয় পেল। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান বোলার ক্রেমার রোচ। আগামী ৪ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ। আট বছর পর ফের বাংলাদেশ সফরে এলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ । বাংলাদেশ র্যাং কিংয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপরে। যদিও আগের স্মৃতিগুলোর সবই ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মান পাল্টে গেছে।২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ৯৯ রানে হার মানে বাংলাদেশ। তবে ২০০৯ সালে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে এখন বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটকে তাক লাগিয়ে দেয়।ওডিআই ম্যাচে এটি ১৭তম সাক্ষাৎ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের।ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশে মোট ৫টি ম্যাচ খেলেছে। ১৯৯৯ সালে তারা প্রথম বাংলাদেশে পা রেখে ২ ম্যাচের ওডিআই সিরিজটি জিতে নিয়েছিল ২-০ ব্যবধানে। এরপর ২০০২ সালে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফরে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ১টি আর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২টি ওডিআই ম্যাচে অংশ নেয়। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় করে ক্যারিবিয়া। এ যাবত মোট ৬৪২টি ওডিআই ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ উইন্ডিজ দলে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ দলের অধিকাংশ সদস্যই নেই। শুধু ৩ জন, ক্রিস গেইল, চন্দরপল ও ব্রাভো রয়েছেন। কিন্তু ইনজুরি সেই ৩ জন থেকে একজন কমিয়ে দিয়েছে। অলরাউন্ডার ব্রাভোকে ছাড়াই ঢাকায় এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বর্তমান বাংলাদেশ দলে আছে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ দলের ৫ জন এরা হলেন তামিম, আশরাফুল, সাকিব, মুশফিক ও রাজ্জাক। নেই জাভেদ ওমর, আফতাব আহমেদ, হাবিবুল বাশার, মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা, মোহাম্মদ রফিক ও সৈয়দ রাসেল। অন্যদিকে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে প্রথমবার খেলবেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, রকিবুল হাসান, মাহমুদুলা রিয়াদ, নাইম ইসলাম ও নাজমুল হোসেন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।