হ্যালো, শুনছো-তোমাকেই বলছি.....
কি ভাবছ? হঠাৎ তোমাকেই লিখে ফেলব চিঠি। বিশ্বাস হচ্ছে না! আরে চিঠির ভাজ খুলো তো আগে! অহহো রঙধনু রঙ খামটাই তো খুলো নি, এহ তুমি তো আজ তোমার মন দেউড়ির কপাটই খুলো নি। আরে বেরই হওনি আঁধার ঘর থেকে! কি ব্যাপার এখনো ডাকবাক্সটা তালা বন্ধ... কি! চাবি বালিশের নিচে, কি যে কর না...আরে এই প্রথম একটা চিঠি লিখলাম তোমাকে .. আর তুমি এত অবহেলা করছ.... এই শুন, আমার মন কিন্তু খারাপ হবে কয়ে দিলুম!
এমন করলে কয়ে দিলুম-মনটা কিন্তু যাবে চুপসে
অবহেলা কইরো নাক-বসিয়ো না দিলে কুপ সে!
এই যে শুনো তোমায় আমি-কইরে দিব এলোমেলো
পেরেম পত্তর দিলুম খামে-এই যে শুনো হ্যালো হ্যালো!
হয় নি বলা যে কথা হায়-বলব নাকি কানে কানে
শুনলে তুমি নেশায় মাতাল-কেঁপে উঠবে প্রেমের টানে।
আচ্ছা এবার যাও তো, চাবি নিয়ে এসো বালিশটা উঠাও তো। নাও এবার ডাকবাক্সের কাছে যাও! খুলো... দেখো এত চিঠির মাঝখানে রঙধনু রঙ খামটা, হ্যা হ্যা অই সেইটাই, হাতে তুলো দেখি নি... এবার খোলো আলগোছে, প্রেম সে, ভালবাসা সে... হা হা হা হা। নাও এবার পড়া শুরু করো....১....২....৩....। তুমি বড় অলস, এই আলসেমী করে করে সুন্দর সময়গুলো দিলে নষ্ট করে।
শুনো, কেমন আছো,ব্যতিব্যস্ত জীবনে নিজের ভাল থাকার কথা কেইবা মনে রাখে। আমার ধারণা তুমিও তেমন। নিজের দিকে খেয়াল দিচ্ছ না তাই না! খুব ভেজালে আছ নাকি?...
বদের হাঁড়ি নামে ডাকলেই কেনো জানি মনে হয় তুমি খুব বদের হাড্ডি.... এই নামটা তোমাকেই মানায়... আর কেনো জানি মনে হয় হাজার ছন্দ তোমার মনে, ছন্দ নিয়ে ঘুরো ফিরো.... মনোরম ছন্দে তোমার জীবন ভরা। আচ্ছা এতো ছন্দ কোত্থেকে আসে শুনি!! তোমার ছন্দ নিয়ে আমি ভাল থাকি সুন্দর থাকি..... আর ছন্দও আসে মনে অবিরত।
সিরিয়াসলি একটা কথা-শুনবে নাকি মনোযোগে
বলতে কথা হাঁসফাঁস প্রাণে-মরছি যেনো মনোরোগে!
এমন কথা শুনো নিকো-শুনতে ইচ্ছে হবে নাকি
হ্যাঁ বা না বলো না তুমি-দিয়ো নাকো আর তো ফাঁকি!
হাজার কথার একটি কথা-শুনলে তুমি অবাক হবে
ভাববে তুমি গভীর মনে-অমর হয়ে মনে রবে!
আঁকুপাকু করছে বড্ড-বলব শুধু একটি কথা
সুযোগ তুমি দিবে নাকি-না দিবে গো মনে ব্যথা?
তুমি তো ঝড়ের মতো আস, তুফানের মত ওড়িয়ে নিয়ে যাও, কাজটা কি ভালো করছো? ফাইজলামি পাইছো মিয়া বদের বদ। দুনিয়াতে যদি বদের প্রতিযোগিতা হয় তাহলে তুমিই ফার্স্ট হবে এ ধারণা আমার। দুষ্টামির পা ঝাড়া একটা। শুনছি তুমি বদ নাকি মঙ্গল গ্রহে জায়গা কিনছ, অই বদ অই জায়গা আমাকে গিফট করবা নাকি... ভালই হবে তোমাকে অইখানে নিয়া টাইট দিতে পারব।
তুমি ছড়া তুমি ছন্দ-মাত্রাছাড়া বর্ণ
তুমি সদা মনের ভিতর-এলোমেলো ঘূর্ণ!
তুমি কবি তুমি গল্প-তুমি কাব্যের ঝুড়ি
তুমি সদা মনে থাকো-হয়ে সুখের নুড়ি।
তুমি চন্দ্র তুমি তারা-তুমি মঙ্গল গ্রহ
তোমার বুকে নামতে শুনো-মনে বাজে দ্রোহ।
তুমি সূর্য তুমি রোদ্দুর-তুমি মেঘের ছায়া
তুমি শরত তুমি ভাদ্র-তুমি মোহ মায়া।
চিঠি লিখছি তোমাকে ফিল করছি...খুব ফিল করছি, ছন্দের বারতা নিয়ে এসছো কখন কাছে জানতেই পারিনি! কেমন ঘোর লাগা প্রহরগুলো আমার, সে তুমি যদি বুঝতে। তুমি তোমারে দাও না ভুলিতে। অনুভুতির দুয়ারে কড়া নেড়ে গেলে। ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আচ্ছন্ন এখনো সেই মুগ্ধতা নিয়ে। বুক ফুলিয়ে বলি, বলে যাই ভালবাসি তোমায়, খুব ভালবাসি- বদের হাঁড়ি হা হা হা এসবই কাব্য ভাব বুঝলা। ৯৯% মিথ্যা।
দীর্ঘ সময় দীর্ঘ যুগ পেরিয়ে গেলো-তবু অপেক্ষার দোরে বসে ঠাঁয়
কি জানি কখন এসে নাড়বে-মন দুয়ারের কড়া!
অপলকে তাকিয়ে দূর বহুদূর দৃষ্টি-ধুঁধুঁ পথ... তুমি নেই সীমানায়..
অনিশ্চয়তার এই পথ..-ইচ্ছে হয় নিজেই হারাই।
হা হা হা, ছন্দ যাদুকর, দেখো আজ কেমন কবি কবি ভাব। সবি তোমার বদৌলতে। তুমি থাকলে ছন্দরা এভাবেই মন আকাশে ওড়তে থাকে। যেদিন ওড়ে আসলে কাছে সেদিন এমনই ছিল আমার মন....
কতটা মুগ্ধ ছিলাম সে যদি তুমি অনুভব করতে
কেমন ঘোরে কেটে গেলো কয়েকটা প্রহর
কোথায় ছিলাম আমি! কোন সে অচিনপুরে
হারিয়ে গিয়েছিলাম ফেরার পথ অদৃশ্য!
স্বপ্ন সিঁড়িটা বেয়ে উঠেছিলাম তোমার হাত ধরে
শীতল শিহরণে কেঁপে যাই আমি.. উষ্ণ স্পর্শে তোমার।
হাত ছেড়ে দিলে আচম্বিতে
ঘোর ভেঙ্গে যায়, আমি অনুভবে বাঁচি
উচ্ছ্বসিত মন..
সকল ক্লান্তি ঝেড়ে উদ্যমি হই দৈনিক কর্মে।
আবেগের কড়া নেড়ে জাগিয়ে দিলে অনুভূতি
তুমি কিগো... সেঁটে বসে আছ মন দেয়ালে
অনুভব করি প্রতিক্ষণে খেয়ালে বেখেয়ালে...
আঁখি বন্ধ করি অবসর ক্ষণে
এদিক সেদিক চারিপাশে সে তুমি বিচরণ কর..
আনমনে হেসে হই খুন..
আমার আকাশ বাতাস চন্দ্র তারা ভর্তি আজ মুগ্ধতা
উফ কি যে ভাল লাগার দিন ছিল,
সে কি বুঝতে পারছো তুমি!
তুমি অস্পৃশ্য, বিমূর্ত.... মৌনতার সূতায় বেঁধেছ মন
তোমার ঠোঁট ছুঁয়েছ অধর, চোখের পাতা, কপোল, ললাট
আর আমি হয়েছিলাম পাথর....
পাথর ভেঙ্গে তুমি মন ছুঁয়েছ আমার!
কি করে থাকি দূরে...সে না হয় থাক দূরেই
মন পাঠিয়ো আকাশের খামে...
ঠিকানা সে তোমার জানাই... সেনোরিটা তাই না?
পাঠাবে কি? অপেক্ষায় সেনোরিটা!
আজ তবে আসি। ভাল থেকো বদের হাঁড়ি, অগুছালো গল্পচিঠি গুছিয়ে পড়ে নিয়ো...তুমি জানই ত আমি খুবই অগুছালো। -শেষ করছি তবে-আমি-অহহো আমাকে চিনো না-না চিনলে নাই ।
পুনশ্চঃ আরে এখনো ঘুম থেকে উঠো নি। উঠ উঠ, দেউড়ির কপাট খুলে ডাকবাক্সের কাছে যাও, তালা খুলে দেখ তোমার জন্য চমক আছে.... নিরাপদে থেকো, অনেক ভালবাসা আর শুভেচ্ছা রইল। চিঠিগল্প শেষ।
০১ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৫৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪