সমুদ্রের চোখে জল

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

মোঃ ফারুকুল ইসলাম রানা
  • ৪৫
  • 0
  • ৭৩
সাগরের বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে কিনারে । চারিদিক নিরবতায় আছন্ন । মাঝে মাঝে ঢেউয়েদের উল্লাসধ্বনি শোনা যাচ্ছে শুধু । সাগর পাড়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সমুদ্র আর অদিতি । দু’জনাতে কোনো কথা হচ্ছে না । চোখে চোখে ভালবাসার অব্যক্ত অনুভূতির বিনিময় চলছে শুধু । আজ শুধু অনুভবের ভালোবাসাবাসি চোখে চোখে । হঠাৎ অদিতি চোখ ফিরিয়ে দূরে সরে যেতে লাগলো । সমুদ্রকে একা ফেলে হেঁটে চললো অদিতি । অদিতি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে লাগলো সমুদ্রের কাছ থেকে । সমুদ্র প্রচন্ড চিৎকারে ডাকছে অদিতিকে । অদিতি ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে বারবার । কিন্তু কোনোভাবেই যেনো ফেরানো যাচ্ছে না অদিতিকে । সমুদ্রের বুকটা যেনো শুণ্যতায় ভরে ওঠে নিমিষে ।

মুঠোফোনের তৃতীয়বারের সংকেতধ্বনিতে চমকে ওঠে সমুদ্র । স্বপ্ন দেখছিলো সমুদ্র । ভয়াবহ রকমের দুঃস্বপ্ন । অদিতিকে হারানোর দুঃস্বপ্ন । পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্নকে হারানো স্বপ্ন যে কত বড় দুঃস্বপ্ন তা আর এই মূহুর্তে সমুদ্র ছাড়া কে বুঝবে ? গা ঘেমে গেছে সমুদ্রের । হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে । বুকটা ধক ধক করছে রীতিমত । স্বপ্ন নিশ্চিত হয়ে বুকে দু,ফোঁটা থুথু ছিটিয়ে মুঠোফোনটা হাতে নিতেই চোখে পড়ে অদিতির সংক্ষিপ্ত বার্তা, “আমি অস্তাচলে অপেক্ষা করবো, তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো” । বার্তা এসেছে এখন থেকে মিনিট ত্রিশেক আগে । স্বপ্নের প্রথম ক্ষণটা মধুর হওয়ায় হয়তো টের পায়নি সমুদ্র ! অদিতি সমুদ্রের ভালবাসার মানুষ । হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের মানুষ । অদিতিই যে সমুদ্রের ভালোবাসার আকাশে জ্বলে থাকা একমাত্র নক্ষত্র । যে আলোকিত করে রাখে সমুদ্রের সারা আকাশ সারাক্ষণ ! সমুদ্রের অগোছালো আর এলোমেলো জীবনে পূর্ণতা দিয়েছে এই অদিতিই । সমুদ্র তার হৃদয়ের সবটুকু গাঢ়তা ঢেলে দিয়ে ভালোবাসে অদিতিকে । অদিতিও সমুদ্রকে ভালোবাসে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে অবিরাম অনুক্ষণ । তাদের ভালোবাসার কোথাও যেনো এতটুকু ছেদ নাই । ওদের দু’জন মিলে হৃদপিন্ড যেনো একটা !
সমুদ্র নিজের উপর কড়া বিরক্ত হয়ে বলে, নাহ আমার বুঝি আর কোনোদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা হবে না । অদিতি কতদিন যে বকে দিয়েছে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য । আর খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার জন্য তার ইয়ত্যা নেই । অদিতি বলতো সকাল নাকি অনেক সুন্দর অনেক মিষ্টি । পৃথিবীর সব রূপ আর তারুণ্যের দেখা নাকি সকালেই মেলে ।
ওদের দেখা করার কথা ভোর ছ’টায় রমনা বটমূলে ঢোকার অস্তাচল ফটকে । আর এখন বাজে পাঁচটা বেজে ত্রিশ মিনিট । ত্রিশ মিনিটে এই সকালে রামপুরা থেকে রমনায় কিভাবে যাবে ভেবেই পাচ্ছে না সমুদ্র । তরিঘরি করে উঠে কোনোমত ব্রাশটা করে পাঞ্জাবিটা পড়ে বেরিয়ে পড়লো সমুদ্র । বাইরে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকাতেই যেনো অন্যরকম ভালোলাগা খেলে গেলো সমুদ্রের ভিতরে । শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ চারিদিকে । আকাশটাও পরিছন্ন । কোথাও এতটুকু মেঘের দেখা নেই । যদিও এই ইট পাথরের শহরে প্রকৃতির বিশালতা, প্রকৃতির রূপ খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য । তবুও যেনো আজ অনেক সুন্দর লাগছে সকালটা সমুদ্রের কাছে । অদিতি এজন্যই বুঝি খুব সকালে উঠতে বলতো সমুদ্রকে । সমুদ্র অস্তাচলে পৌঁছল যথারীতি বিলম্ব করে । দূর থেকেই দেখতে পায় অদিতিকে । দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে । সমুদ্র ভাবতে থাকে ইস কতইনা ভালোবাসে মেয়েটা আমাকে । কতক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে আছে । অদিতি শাড়ি পড়ে এসেছে আজ । লাল পেড়ে শাড়ি । শাড়ির জমিনটা সাদা । ঠিক ওর মনের আকাশের মত । খোপায় ফুল । চমৎকার লাগছে ওকে । অদিতিকে প্রথম শাড়ি পড়া দেখলো সমুদ্র । অন্যরকম সুখের অনুভূতি দোল খেয়ে গেল সমুদ্রের ভিতর দিয়ে । কাছে গিয়ে সমুদ্র বললো, ওহ তুমি এসেছো । বড্ড দেরি হয়ে গেল, খুবি দুঃখিত । কথায় মৃদু অভিমানের ছাপ রেখে অদিতি উত্তর দিলো, হয়েছে আর দুঃখিত বলতে হবে না । সমুদ্র অদিতির হাতে ফুল দিয়ে বলল ‘শুভ নববর্ষ’ । অদিতি একটু হেসে হাত বাড়িয়ে ফুল নিতে নিতে বলল ‘শুভ নববর্ষ’ । ওর হাসিটা সমুদ্রের খুব পছন্দ । এতোটা সুন্দর এতোটা শুদ্ধ লাগে সমুদ্রের কাছে । অদিতি হাসলে যেনো সাদা গোলাপের পাপড়ি এসে সমুদ্রকে আলতো করে ছুঁয়ে দিয়ে যায় । ওর হাসিতে যেনো সমুদ্রের সব সুখ । সব ভালোলাগা আর ভালোবাসা । ওরা হাঁটতে হাঁটতে বটমূলের দিকে এগোচ্ছে । এতো লোকের ভিড়ে অদিতি আর সমুদ্র বারবার ছিঁড়ে ছিঁড়ে যাচ্ছিল ।
আর ভিড়ই বা হবে না কেনো ? এ যে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ । বাঙালীর মহা মিলনমেলার দিন । এদিনটি যেনো সীমাহীন স্বপ্ন বোনার দিন । ঝড়ের দিন । দুঃখ গ্লানি উড়িয়ে নেয়ার সে ঝড় । নতুনের কেতন উড়ানো বৈশাখী ঝড় । বৈশাখ মানেই যেনো বাঙালীর প্রাণের স্পন্দন । তরুণীর এলোচুলে গাঁদাফুলের সমাহার । গালে আঁকা তালপাতার পাখা আর একতারার আল্পনা । নেচে গেয়ে মন রাঙানোর দিন এটি । বেদনার অশ্র“বাষ্প সুদূরে মিলানোর দিন। বৈশাখের প্রথম দিন মানেই তো ভালোলাগা আর ভালোবাসার দিন। দু’জনাতে দেখা হওয়ার দিন । আসলে মানুষ আর প্রকৃতির মিলন যখন ঘটে তখন তার চিত্র বুঝি এমনি হয় । মধুর সে চিত্র । বাংলাকে, বাংলার উৎসবকে কতটা ভালোবাসলে এতো ভোরে এতো মানুষের মিলন ঘটে ! সত্যি অবাক করে ফেলে ।

ভিড় গলিয়ে অদিতি-সমুদ্র হাত ধরে হাঁটতে শুরু করলো । রমনার বটতলার সামনে এসে দাঁড়ালো দুজন । যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি অশ্বথতলা ! এখানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় প্রতি বছর । “প্রভাতে বিমল আনন্দে”র ভিতর দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হলো । অদিতি আর সমুদ্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে । সমুদ্র নিশ্চিত যে এই মুহূর্তে সকালের এতরূপ, এত মানুষের মিলন আর মানুষের ভালোবাসা দেখে অদিতির ভিতরে নির্ঘাত ছন্দ উঁকি দিয়ে যাচ্ছে । আসলে কবিতার মা-বাবারা সব সুন্দরকেই বুঝি ছন্দে বেঁধে রাখতে চায় ।
এরপর পান্তা ইলিশ খাওয়া । অনেকটা পথ ওদের একসাথে হেঁটে চলা । রমনা থেকে টিএসসি চারুকলা হয়ে শাহবাগ । শাহবাগ থেকে সোজা ধানমন্ডি লেক । হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেছে ওরা । বৈশাখের রোদে দুজন ভিজে গেছে কখন বুঝতেই পারেনি । বিশ টাকায় কাগজের পাখা কিনলো সমুদ্র অদিতির জন্য । জানো অদিতি অনেক ঘুরেও তোমার জন্য একটা তালপাতার পাখা খুঁজে পেলাম না । তোমাকে বলেছিলাম না যে আমাদের গাঁয়ে পহেলা বৈশাখে পেরুবাবুর দীঘির পাড়ে মেলা বসে । আমরা ছোটবেলায় সেই মেলায় কোনো বছর যেতে না পারলে যেনো পুরো বছরটাই মাটি হয়ে যেত ! ওখানে তালপাতার পাখা পেতাম তিন টাকায় । তোমাকে নিয়ে যাব এক বৈশাখে । যাবে না তুমি ? অদিতি স্বভাবের ছাপ রেখে দীর্ঘশ্বাসে বললো, আজকাল কাগজের ভিড়ে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে । সমুদ্র বলে হারায়নি এখনো । আমার সাথে যেও তালপাতা নয় তালগাছের নিচে রেখে তোমাকে জুড়িয়ে দিবো । অদিতি বললো আচ্ছা বেশতো যাব । এতোক্ষণ ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে দুজনে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে গিয়ে বসলো । কৃষ্ণচূড়া অদিতির খুব প্রিয় । অদিতির ডায়েড়িতে সমুদ্র কৃষ্ণচূড়া নিয়ে লিখা একটা কবিতা পড়েছিলো ।
“তুই কি আমার সঙ্গে যাবি বল
দেখতে পাবি আগুন মাখা কৃষ্ণচূড়ার রঙ” ।
এই মূহুর্তে অদিতি, অদিতির কবিতা আর কৃষ্ণচূড়া একই রেখায় দাঁড়িয়ে আছে । অদিতির লেখা অনেক কবিতা পড়েছে সমুদ্র । যতবার পড়েছে ততবারই মুগ্ধ হয়েছে । সমুদ্র অদিতিকে বলে এতো সুন্দর করে তুমি ভাব কিভাবে ? এতো গোছালো এতো পরিছন্ন তোমার ভাবনা । দাও না তোমার মত গুছিয়ে আমাকে ? অদিতি বলে তুমি তো গোছানোই আছো । তোমার মাথা, সমুদ্র বলে ওঠে । অদিতি হাসলো । অদিতি সমুদ্রকে যে কতটা ভালোবাসতো তা কখনো বুঝতে দিত না । কিন্তু সমুদ্রের এতোটুকু কষ্টে অদিতি নিরবে নিজেকে পুড়িয়ে দিত ভিতরে ভিতরে । তবে ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা বুঝতে না দেয়ার মাঝে যে কতবেশি ভালোবাসা সমুদ্র সেটা বুঝতো ।
অদিতি কথা বলতো কম ভালোবাসতো বেশি । অদিতি ভালোবাসতো কবিতা । ভালোবাসতো প্রকৃতিকে, পৃথিবীকে । ভালোবাসতো মানুষকে । কখনো মনে হলে কবিতার জন্ম দিত । কবিতা লালন করতো । সমুদ্র অদিতিকে বলতো তুমি তো কবিতার মা-স্বপ্নদ্রষ্টা । আর তাইতো । অদিতিই যে সমুদ্রের চোখে প্রথম স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছে । অদিতি চুপ থাকে কিছুক্ষণ । তারপর কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকিয়ে বলে, সমুদ্র তোমার কি মনে পড়ে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল কোনো এক কৃষ্ণচূড়ার তলে । সেদিনও ছিলো পহেলা বৈশাখ । “এক বৈশাখে দেখা হলো দু’জনায়...” সমুদ্র গেয়ে যায় । যেদিন তুমি আমার নিস্তব্ধ পৃথিবীতে ভালোবাসার বৈশাখী ঝড় তুলে দিলে । যেদিন খড়তপ্ত বৈশাখেও ভালোবাসার শ্রাবন ধারা বইয়ে দিলে । পড়ে- সেদিনের কথা খুব বেশি মনে পড়ে । অদিতি বলে, দেখ এই কৃষ্ণচূড়ার রঙ কোনোদিন ফুরাবে না । যেদিন কৃষ্ণচূড়ার জন্ম হয়েছিল সেদিন যে রঙ ছিলো আজও সেই রঙ আছে । তুমি কি বল সমুদ্র ? আমি এতকিছু বুঝি না । অথচ যেদিন পৃথিবীর আলো নিভে যাবে সেদিন সব রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাবে । অদিতি বলে যায় হরহর করে । সমুদ্র অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অদিতির দিকে । তোমার পাঞ্জাবিটা খুব সুন্দর হয়েছে সমুদ্র । ধন্যবাদ । বলে সমুদ্র । লাল পেড়ে শাড়ি, খোপায় গোঁজা লাল ফুল, কপালের লালটিপ, হাতের লাল চূড়ি সবই তোমাকেও ভীষন রকমের সুন্দর করে তুলেছে জানো ? অদিতি হেসে মুখ লুকোয় । মুখের উপর প্রশংসা বুঝি সবাইকেই লাজে ফেলে দেয় । অদিতি লাল হয়ে যায় ।

এসব আজ শুধুই স্মৃতি । এর মাঝে কেটে গেছে অনেকটা বৈশাখ । বৈশাখ আবার এসেছে । পৃথিবী নতুন করে সাজতে শুরু করেছে । কৃষ্ণচূড়াও রঙ মেখেছে ইচ্ছেমত । শুধু অদিতি নেই । অদিতির মাথার ফুল নেই । অদ্ভুদ এই পৃথিবী ! যে মানুষটি দীপ জ্বেলে সমুদ্রের জীবন আলোকিত করেছিলো সেই কিনা অবেলায় দীপ নিভিয়ে চলে গেল ! সমুদ্রকে একা করে অদিতির অসময়ে চলে যাওয়া কি করে মেনে নেয় সমুদ্র ?
সমুদ্র বিড়বিড় করে বলে যায় অদিতি তুমি জানতে বলেই বুঝি সেদিন ওভাবে বলেছিলে । হ্যাঁ আমার পৃথিবীতে কোনো আলো নেই আজ । কৃষ্ণচূড়ার মাঝে রঙ খুঁজে পাই না ।
জানো অদিতি আমি আজও পহেলা বৈশাখ এলে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি । অস্তাচল ফটক দিয়েই বটমূলের তলে গিয়ে দাঁড়াই । ‘প্রভাতে বিমল আনন্দে’ গেয়ে উঠি । তুমি যা ভালোবাস তাই যে আমিও ভালোবাসি । ঐ কৃষ্ণচূড়ার তলে বসে থাকি তোমার কবিতা হাতে নিয়ে । তোমার কবিতার প্রতিটা শব্দকে ভালোবাসি । প্রতিটা বিরাম চিহ্নকে ভালোবাসি । আজও রবীন্দ্র সরোবরে হেঁটে যাই । তোমার ভালোলাগার কৃষ্ণচূড়াকে ছুঁয়ে আসি নিভৃতে । সবার অলক্ষ্যে । অতি সঙ্গোপনে । তোমার সেই প্রথম শাড়ি পড়া –খুলে খুলে যাচ্ছিল । আর তুমি বারবার ঠিক করছিলে লাজুক চোখে । সবই আমার চোখে জীবন্ত । আজ শুধু তুমি অন্তরালে । বড়শিতে বিঁধে থাকা আহত মাছের মত বিঁধে আছি তোমার স্মৃতির বড়শিতে । কি করে বাঁচি বলো ? আমার ভালোবাসার হৃদপিন্ড যে তোমাকে দিয়েছি ।
বিধাতা তুমি বুঝি মানুষ মরে গেলে আকাশের তারা বানিয়ে ঝুলিয়ে রাখ ! নইলে কেনো আমি আমার ভালোবাসাকে, আমার অদিতিকে শুকতারা সন্ধ্যাতারার মাঝে খুঁজে পাই ? খুঁজে পাই আকাশের সব তারার মাঝে । আমাকেও নিয়ে যাও তোমার ঐ তারার দেশে । আমাদের না হয় শুকতারা সন্ধ্যাতারা বানিয়ে দিও । মিলিয়ে দিও শুক্র গ্রহে । আমরা পুব আকাশে শুকতারা হয়ে নতুন ভোর ডেকে দেবো । আর পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা হয়ে কাঁচা আঁধারের গায় আলো জ্বেলে রাখবো কিছুক্ষণ।
সমুদ্রের চোখে জল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শিশির সিক্ত পল্লব অনেক সুন্দর ..............................
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
রংধনু আমার হাতে সময় থাকলে ঠিক সময়মত পরে নিতাম কিন্তু দেরী হলেও এত সুন্দর লেখনি আমার চোখ ফসকে যেতে দেইনি , চালিয়ে যান পাশেই আছি...
মোঃ আক্তারুজ্জামান এক কথায়- চমত্কার!
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালো লেগেছে সুন্দর গল্প
আহমেদ সাবের একটা কাব্যিক গল্প উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রতীকগুলোও চমৎকার ( যেমন - ভালোলাগার কৃষ্ণচূড়াকে ..., তোমার স্মৃতির বড়শিতে ...।) ভাষাও বেশ ঝরঝরে। ভাল লাগলো। ভাল লাগলো।
বিপ্রদাস অনেক সুন্দর হযেছে. শুভো কামনা রইলো

২১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪