জননী এবং ..................

মা (মে ২০১১)

Rakibul Haider
  • ১৪
  • 0
  • ৮৫
টের পাওয়া যায়! নিজের ভেতরে অন্য একটি নতুন শরীরের বেড়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্ত টের পায় নাছিমা। এখন আর কেউ যেন টের না পায়! কিন্তু কতদিন? গতকাল দুপুরে খেতে বসে, বমি এসে গিয়েছিল প্রায়। সব কিছু ভেতর থেকে ঠেলে বের হয়ে আস্তে চেয়েছে, হয়তো নতুন শিশুটিও। তবু দম বন্ধ করে বসে ছিল নাছিমা। বাবা-মার সামনে সবকিছু তখনকার মত চেপে যেতে পেরেছিল সে। আর কতদিন। এসব যে লুকানো যায়না। যে শিশু আসে, সে সবাইকে জানান দিয়ে আসে। তার আগমনে কে খুশি হবে আর কে হবে আতঙ্কিত, তা বুজার ক্ষমতা তার নেই। দিন যত যায়, চোখ থেকে ঘুম পালায় নাছিমার।
আজ বিকেলে, লোকমানকে জানিয়েছিল সবকিছু। লোকমান বলেছে, তার পরিচিত ক্লিনিক আছে। নিয়ে যাবে। নাছিমা রাজি হয়নি। নাছিমা চায়, লোকমান বিয়ে করুক। লোকমানের কথার সুরও কেমন যেন বদলে গেছে। আর সব দিনের মত কেউ স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেনি। মাকে সবকিছু খুলে বলে নাছিমা। মোমেনা অবাক চোখে তাকিয়ে সব শোনেন। অতঃপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
"..............................এরপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি। সমাজ কখনো দুর্বলের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতে পারেনি, সবলের কাছে বারবার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু নাছিমা বিক্রি হয়নি। সে তার অনাগত সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। তবু গল্পের শেষটুকু পাঠকদের জানাবার লোভ সামলাতে পারলাম না..............."
সকাল থেকেই তলপেটে তীব্র ব্যথার অনুভূতি সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে নাছিমার। কিন্তু কোন শব্দ করেনা নাছিমা। ভয় হয়, যারা তাকে একঘরে করে রেখেছে, তারা তার সন্তানকে তাদের সমাজে অনুপ্রবেশ করতে দিবেনা।সে ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। তবু শব্দ করেনা। নামাজ শেষ করে মেয়ের ঘরে ঢুকে মোমেনা দেখেন ছটফট করছে নাছিমা। বুজতে পারেন, সময় এসেছে। এতদিন ধরে যে শিশুর জন্য লড়াই করেছেন, মেয়ের পাশে থেকেছেন, সে আসছে। অভিজ্ঞ হাতে সব করেন মোমেনা। পৃথিবীতে নিয়ে আসেন সবার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত, শুধু দুজন নারীর সাধের একজনকে। এক আদিকালের মায়ের হাতে নতুন এক মায়ের সন্তান চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।আজ আনন্দে কাঁদেন মোমেনা। নাছিমার কথা নাইবা বললাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্‌নাজ আক্তার jevabe suru korechilen sevabe jodi ses korten tahole darun hoto.
মামুন ম. আজিজ নাছিমাদের কথা বলতেই হবে। নাছিমাদের একার দোষ না সব। দোষী পুরুষটির কথাও বলতে হবে। এ যেন ছোট মরিচের ঝাল।
আহমেদ সাবের ঘটনা গতনুগতিক। ভাল লেখার জন্য ভাল লেখা পড়তে হবে।
Rakibul Haider সবাইকে ধন্যবাদ।আমার মত অলস মানুষ কেউ নেই।তাই লেখাগুলো ছোট হলো।
sakil ভালো লেখেছ তবে ইচ্ছে করলে লেখাটাকে আরো গুছিয়ে বড় করে লিখতে পারতেন
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালো লাগলো , তবে ....................আরো ভালো চাই
বিন আরফান. লেখার জন্য লেখা. আরো ভালো করতে হবে. চেষ্টা ও সাধনা করতে হবে. চালিয়ে যান. শুভ কামনা রইল.
সূর্য এধরনের ঘটনাগুলোতে আসলে মা(?)-বাবার(?) সন্তান নেয়ার কোন পূর্ব প্রস্তুতি বা অভিপ্রায় থাকেনা। শুধু দুজনের সাময়িক সময়ের একটা সুখী মুহূর্তের ফসল হিসাবে আসে সন্তান। তবে তোমার লেখাটা আরো বিস্তৃত হতে পারতো।

২১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪