চেইন অফ হ্যাপিনেস

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

এস এম রিমেল
হাইওয়ে রোডে চলতে থাকা একটা গাড়ি হটাৎ করে নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ির মালিক অল্প বয়স্কা এক সুন্দরী মেয়ে। একে তো সন্ধ্যা তার উপর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। একা একটা মেয়ে গাড়ির পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এক যুবক এগিয়ে আসলো তার দিকে।
আমার নাম জিসান। আপনার গাড়িতে কি কোনো প্রবলেম হয়েছে?
জ্বী হটাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় এখন আর স্টার্ট নিচ্ছেনা!
আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না, গাড়িতে গিয়ে বসুন আমি সাহায্য করছি।
ছেলেটা গাড়ির বনেট খুলে চেইক করলো, এবং সমস্যা ধরতে পেরে সেটা ঠিক করে দিলো।
মেয়েটা খুশি হয়ে ছেলেটাকে কিছু টাকা দিতে চাইলো। কিন্তু ছেলেটা টাকা নিতে অস্বীকার করলো।
এটা আমার প্রফেশন না তাই এই টাকা আমি নিতে পারবোনা। কোনো একদিন আমাকেও একজন এভাবে উপকার করেছিলো এবং বলে ছিলো সুযোগ আসলে যেন আমিও কারো উপকার করি এবং এই চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রাখি। আপনিও কোনোদিন কারো বিপদ দেখলে সাহায্য করবেন এবং চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রাখবেন।
মেয়েটা খুশি মনে বিদায় নিলো। অন্য একদিন মেয়েটা একটা কফি শপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। হটাৎ লক্ষ্য করলো প্রায় সাত মাসের এক অন্ত সত্ত্বা মেয়ে কফি শপে কাজ করছে। মেয়েটা তাকে ডেকে কিছু স্নাক্স অর্ডার করলো।অন্ত:স্বত্বা মেয়েটা এত হাসি খুশি ভাবে কাজ করছে যে মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই সে অন্ত: স্বত্তা কিনা! যাই হোক স্নাক্স গুলো নিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে মেয়েটা টেবিলের উপর একটা খাম রেখে গেলো।
কফি শপের মেয়েটা ঘুরে এসে বিল নেয়ার সময় দেখলো বিলের পাশে একটা খাম রাখা আছে। মেয়েটা খাম টা খুলল। খামের ভিতরে দশ হাজার টাকা আর একটা ছোট চিরকুট রাখা।
মেয়েটা পড়তে শুরু করলো। তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি অন্ত: স্বত্তা! এই অবস্থাতেও তুমি কাজ করছো! বুঝতে পারছি টাকা গুলো তোমার দরকার। আমি কে জানার দরকার নাই। যদি পারো অন্য কারো বিপদে তাকে সাহায্য করে এই চেইন অফ হ্যাপিনেস টা ধরে রেখো।
কাজ শেষে মেয়েটা খাম সহ ঘরে ফিরলো। ঘরে ঢুকে দেখলো তার স্বামী চিন্তিত মুখে বসে আছে। মেয়েটা পেছন থেকে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলল। তোমাকে আর চিন্তা করতে হবেনা। আমার ডেলিভারির টাকা জোগাড় হয়ে গেছে। আই লাভ ইউ মাই হাসবেন্ড জিসান।
জিসান! চিনেছেন তো?
যদিও গল্পটা বেশ পুরানো তবে এই সাধারন একটা গল্পকে চাইলেই আমরা অসাধারন করে তুলতে পারি। চেইন অফ হ্যাপিনেস শুরু হোক এখান থেকেই। শেয়ার করুন, এবং ডিসিশন নিন কারো উপকার করে প্রতিদান না বরং তাকে বলে দিন চেইন অফ হ্যাফিনেস টা ছড়িয়ে দিতে। বিশ্বাস করুন যে ভালো বাসা আপনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন ঘুরে ফিরে একদিন তা আপনার কাছেই আবার ফিরে আসবে। অবশ্যই আসবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক শিক্ষনীয় গল্প, ভালো লাগলো...শুভকামনা....
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পের থীমটা বেশ চমৎকার। জিসানকেও চিন্তে পেরেছি, আর শেষের উপদেশটা খুব ভালো লেগেছে.... শুভকামনা রইল কবি
ওয়াহিদ মামুন লাভলু হ্যাঁ, জিসানকে অবশ্যই চিনেছি, যে জিসান একদিন এক মেয়ের উপকার করেছিল সেই জিসানেরই টাকার দুশ্চিন্তা দূর হওয়ার কারণ হলো সেই মেয়েটি। উপকার করলে যে উপকার পাওয়াও যেতে পারে তার একটি চমৎকার উদাহরণ। অনেক ভাল গল্প। তবে গল্পটা আরেকটু বড় হলে আরো ভাল হতো। অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
সাইয়িদ রফিকুল হক সালমান খানের জয় হো সিনেমার কথা মনে পড়ে গেল। শুভকামনা।
মাইনুল ইসলাম আলিফ শিক্ষনীয় গল্প, কিন্তু যে বিষয়ে গল্প লিখতে বলা হল সেটা তো পেলাম না।শুভ কামনা।আমার পাতায় ঘুরে আসবেন।
সাদিক ইসলাম গল্পর বিষয়বস্তু ভালো শুভ কামনা। আমার গল্পটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
মৌরি হক দোলা সুন্দর ভাবনার গল্প...কিস্তু বিষয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক খুঁজে পেলাম না...আশা করি সামনের গল্পগুলো বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে...তবে গল্পটি খুব ভালো লেগেছে।

৩০ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪