তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে। ভেবেছিলাম এই শরতে আর বৃষ্টি হবে না। কিন্তু নাহ, এই ভাদ্রের শেষেও এক অসহ্য সুন্দর কুয়াশাচ্ছন্ন বৃষ্টি । বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছি অনেকক্ষন ধরে, কিন্ত বৃষ্টি দেখছি কি না জানি নাহ...কখনো কখনো এক দিকে তাকিয়ে থেকেও কিছুই দেখা যায় না।
সবসময় তো আমিই দেখি , আজ না হয় বৃষ্টি কিছুক্ষন আমাকে দেখুক..অল্প কিছুক্ষন , একবার চোখের পলক ফেলতে যতটুকু লাগে, হোক ঠিক ততটুকু সময়। তবুও দেখুক..
আকাশ, তুমি বরং আজ থেমে যাও, এতটা ভাঙন তোমার কাছে আশা করি নি। রাস্তাঘাট , নদী মাঠ ক্ষেত সব ভেঙে যাচ্ছে কেবল তোমার জন্য। ভেঙে যাচ্ছে দালান কোঠা, রমনীর চিবুক, খসে পড়ছে পুরোনো পলেস্তারা , রং উঠে যাচ্ছে পাশের বাড়ির দালানের , রং উঠে যাচ্ছে ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভেজা কোনো এক তরুনের, কোনো এক রমনী তোমাতে ভিজতে ভিজতে নিজের অজান্তেই হারাচ্ছে খুব যত্ন করে দেয়া নেল-পলিশের রঙটুকু।
এত কেড়ে নেয়া কেন তোমার? প্রাপ্তির মধ্যে তো শুধু ওইটুকুই যে তোমার চোখের জল দিয়ে আমারটুকু ঢেকে রাখা...অবশ্য আজকালকার যুগে অতটুকুই বা কম কিসের? কি আর করা, ঝরে পড়তে থাক তুমি বিন্দু বিন্দু কষ্টের মত, ছোট ছোট দুঃখের মত , অল্প বিস্তর প্রেমের মত, আমার মত , আমার শেষ না হওয়া, উইপোকায় খেয়ে যাওয়া কবিতাগুলোর মত, শার্টের বুক পকেটে থাকা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া না পাঠানো চিঠিগুলোর মত কিংবা শুধু তোমার মতন হয়ে।
প্রজ্ঞা মৌসুমী
আকাশের মতো এতটা নিবিড় করে কে জেনেছে পৃথিবীর কষ্ট? পৃথিবীর কষ্টই হয়তো জমে ঐ আকাশে। তাই আকাশ এতটা নীল, এতটা শুভ্র। আর ওদের জলে পদ্মের মতো ফোটে গেছে রঙধনু••• আদৌ এটা গল্প কিনা ওসব ভাবতেই ইচ্ছে করছে না কেননা লেখনীটা বড়ো ছুঁয়ে গেছে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।