যাদবপুর থেকে সল্টলেক বাসে যাতায়াত করতে করতে রাজু হাঁপিয়ে উঠেছিল। শেষমেশ ৬ মাস অপেক্ষার পর সল্টলেকে সরকারী কোয়ার্টার পায়। রাজু কোয়ার্টারে একাই থাকে। বয়স ২৮-২৯ মধ্যে হবে। বিবাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন কন্যাকেই পছন্দ করে উঠতে পারেনি। একা থাকতে হবে বলে প্রথমে কোয়ার্টার নেবে কিনা দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তবে পাবলিক বাসের ধকল আর ইনকাম ট্যাক্স বাঁচানোর জন্য শেষে কোয়ার্টারটা নিয়েই ফেলে। এখন আবার অন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাদবপুরে মেসে থাকার সময় সবার সাথে আড্ডা মারতে, কম্পিউটারে সিনেমা দেখতে দেখতে কখন রাত ১২টা বেজে যেত বুঝতেই পারত না। এখন যেন সময় পেরতেই চায় না। সন্ধ্যে ৬ টায় অফিস ছুটি হয়ে যায়। সরকারী চাকরী তাই বেশি সময় অফিসে থাকার দায়বদ্ধতা নেই। বাড়ী যাওয়ার তারা না থাকায় অফিসে একটু বেশি সময় থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু রোজ থাকলে অন্য অফিসারদের চোখে লাগবে। তারা ভাববে, ডাইরেক্টরকে খুশি করতেই বেশি সময় থাকে। তখন তারাই কাঠি করা শুরু করবে। তাই বেশির ভাগ দিন ৬টা থেকে ৬-১৫ এর মধ্যে বেড়িয়ে যায়। কোনদিন অফিসের কোন কলিগের সাথে চলে যায় ডিনার করতে, কোন দিন আবার বাস না ধরে হেঁটেই যায় কোয়ার্টার। অফিস থেকে কোয়ার্টার যেতে ৩০ মিনিট লাগে। নিকোপার্কের ঠিক উল্টোদিকে সি.এ ব্লকে। কিন্তু রোজ বাইরে ডিনার করাও যায় না আর সারাদিন খাটাখাটনির পর হাঁটাও যায় না। রান্না করার জন্য লোক রাখেনি, নিজেই রান্না করে। সল্টলেকে ব্যাচেলর ছেলের জন্য রাধুনি পাওয়াও মুশকিল। রান্নায় যে খুব পটু তা নয়। রুটি কোনদিন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাপ হয়তো কোনদিন চিনের। রাজুর মা এসে মাঝে মাঝে থাকেন। কিন্তু সেটাও দুতিনদের বেশি নয়। রাজুর বাবা স্কুল শিক্ষক। এখনও বছর তিনেক চাকরী আছে। তাই গ্রামের বাড়ী ছেড়ে সকলে কোয়ার্টার আসতে পারছে না। রাজুও বেশি জোর করে না। বাবা হাত পুড়িয়ে রান্না করুক এটা রাজু একদমই চায় না। একবার রাজু তার বাবাকে বলেছিল, কি দরকার আর চাকরী করার, ভি.র.এস নিয়ে নাও। রাজুর বাবা বলেছিলেন, ‘ কলকাতায় আবার মানুষ থাকে, কেউ কারও খবর রাখে না, সবাই নিজের নিজের নিয়ে ব্যস্ত, আমি ওখানে দু-তিনদিনের বেশি থাকতে পারব না। গ্রামে সবার সাথে কথা বলা যায়, অবসর সময়ে এর ওর বাড়ী গিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়। তুই ইচ্ছে করলে তোর মা কে নিয়ে যেতে পারিস। রাজু আর কথা বাড়ায় নি। তবে মাঝে মাঝে একাকিত্বে ভুগতে থাকে। ফেসবুকে চ্যাট, ফোনে কথা বলার পরও যেন অনেকটা সময় থেকে যায়। কখনও কখনও মনে হয় কেউ যদি থাকত দুটো কথা বলা যেত। অফিস থেকে ফিরে এসেই টি.ভি টা চালিয়ে দেয়। টি.ভি টা চললেও ভালো লাগে, কোন মানুষের কথা তো শুনতে পারছে। রাজুর কোয়ার্টারটা চার তলায়। দুটো বেড রুম একটা ড্রয়িং রুম, কিচেন, সামনে ছোট্ট একটা ব্যালকুনি। রাজুর সামনের কোয়ার্টারে এক জন আ.ই.বি অফিসার থাকেন। খুব বেশি কথা বলেন না। আজ কোন চিট ফান্ডের তদন্তে যাচ্ছেন? জিজ্ঞেস করলে ভদ্রলোক মুচকিয়ে হাসেন। তারপর বলেন এই সব কথা বাইরের লোক কে বলা মানা। তবে রাজুকে ভদ্রলোক স্নেহ করেন। মাঝে মধ্যে গৃহিণী ভালো কিছু রান্না করলে রাজুর ঘরে এক পাত্র পৌঁছে যায়। রাজু এই সব পছন্দ করে না কিন্তু জোর গলায় নেবো না বলতেও পারে না। এই রকমই চলতে থাকে রাজুর একাকিত্বের জীবন। ৩১ শে মার্চের দিনটাও ঠিক একই রকম ভাবে শুরু হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে ব্যালকুনিতে বসে চা খেতে খেতে কেন্দ্রিয় বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের পেয়ার শোনা তারপর প্রানায়াম, স্নান, ব্রেকফাস্ট করে অফিস। সেই দিন অফিস থেকে ফিরতে ৯টা বেজে যায়। ফ্রেস হয়ে একটু সুপ বানিয়ে খায়। তারপর টি. ভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে। ১১.৩০ মিনিটে ফোনটা বেজে বন্ধ হয়ে গেল। ঘুমের ঘোরেই ফোনটা তুলে দেখে ৭টা মিসড্ কল। বাড়ী থেকে মা ফোন করেছিল। রাজু ঘুড়িয়ে ফোন করতেই বকা খেল, ফোন না ধরার জন্য। মায়ের কাছ থেকে জানতে পারল পাশের বাড়ির জেঠিমা মারা গেছেন। রাজুর মনটা খারাপ হয়ে গেল। ছোটো বেলার অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে । আজ আর রুটি বানাল না। কোন রকমে ডাল ভাত, আলুমাখা আর দিমের অমলেট বানিয়ে খেয়ে নিল। শুতে শুতে রাত্রি ১টা বেজে গেল। শুয়ে ঘুম না আসলে নানা রকমের চিন্তা মাথায় আসে। রাজুর তাই হল। জেঠিমার বাড়িতে গিয়ে পেয়ারা খাওয়া। জেঠিমার মাঝে মাঝে ফাইফরমাস খাটা ইত্যাদি। অনেকক্ষণ শুয়ে থেকেও যখন ঘুম এলো না, রাজু উঠে গিয়ে ব্যালকুনিতে গিয়ে বসে। বসন্ত কাল। খুব সুন্দর মৃদু মন্দ হাওয়া বইছে। হটাৎ করেই কারেন্ট চলে গেল। এখনও খুব বেশি গরম পড়েনি। সামনের ফ্ল্যাটের তিন তলা থেকে একজন মহিলা বেড়িয়ে এসে ব্যালকুনিতে দাঁড়ায়। মাথায় ঘোমটা দেওয়া। রাজু একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। কিছুতেই মুখটা দেখতে পারছে না। দুএকবার চোখ কচলেও বুঝতে পারল না। ‘আপনি এখনও ঘুমাতে যাননি’ সামনের ভদ্র মহিলা জিজ্ঞেস করল। রাজু একটু অপ্রস্তুত হয়ে উত্তর দিল, ‘না মানে, অফিস থেকে এসে একটু ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম তো, তাছাড়া কালতো অফিসও নেই। আপনার বুঝি গরমে ঘুম ভেঙে গেল’। ‘আমিতো সারাদিন ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিই’ মহিলাটা একটু উদাস ভাবে উত্তর দিল। ‘ও আচ্ছা, দাদা বুঝি ঘুমিয়ে গেছেন’? ‘না, উনি নেই’। দুই থেকে তিন মিনিট নিস্তব্ধ, কেউ কোন কথা বলছে না। তাছাড়া একজন অপরিচিত মহিলার সাথে আর কত কথাই বা বলা যায়। রাজু এবার উঠবো উঠবো করছে, ওপাস থেকে মহিলাটা বলল, যদি কিছু মনে না করেন চলে আসতে পারেন কফি খেতে, একটু গল্পও করা যাবে’। এই রকম একটা প্রস্তাবের জন্য রাজু একদমই তৈরি ছিল না। এখন প্রায় রাত্রি ২ টো বাজে। রাজু বলে , ‘আজ থাক অন্য কোন দিন যাওয়া যাবে’। ‘আপনি বুঝি ভয় পাচ্ছেন’? আজব মহিলা তো! বুঝতে পারছে এড়িয়ে যেতে চাইছে, তাও জোর করছে। রাজু নিজের মনেই কথা গুলো বিড়বিড় করল। কিন্তু মুখে বলল, ‘কারেন্ট নেই, কোথায় হোঁচট খাব, আজ থাক’। ‘আপনি বললে আমি আপনার কোয়ার্টারে যেতে পারি’। এতো ভারি সমস্যা! বাড়িতে কফিতো নেই, তাছাড়া সকালের দুধ ঠিক আছে না কেটে গেছে কে জানে? রাজু দিদ্বাগ্রস্ত হয়ে বলল, ‘ঠিক আছে এতো করে যখন বলছেন, আমিই আসছি’।
II
রাজু ফিজিস্ক নিয়ে পড়াশুনা করলেও ঠাকুরদেবতা মানে। রাজুর মা যখন রাজুর হাতে একটা মা কালীর কবজ পড়িয়ে দেয় বিপদআপদ থেকে রক্ষার জন্য, রাজু একবারও দ্বিমত করেনি। আমরা অবশ্য মাঝে মাঝে ওর পেছনে লাগার জন্য বলতাম, বিদ্যাসাগরের দেশের লোক, মাতৃভক্তি তো হবেই। রাজু বলত, ‘একটা কবজ পড়লে যদি মা খুশি হন, তাতে ক্ষতি কি? তাছাড়া ভগবান আছে কি নেই আমি জানিনা, কিন্তু একটা প্রাকৃতিক শক্তি(সেটা শুভ বা অশুভ যাই হোক) এই বিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করছে এটা আমি বিশ্বাস করি। রাজু বাইরের দরজাটা বন্ধ করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে ভাবতে থাকে এখন যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে! হটাৎ করেই তার খেয়াল হয়, ডান হাতে কবজটা নেই। সকাল বেলায় স্নান করতে গিয়ে কবজটা খুলে গিয়েছিল, পরে আর পড়া হয়নি। রাজু একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়েই হাঁটছে। সামনের কোয়ার্টারে কয়েকটা সিঁড়ি উঠতেই একটা পেঁচা কোথা থেকে উড়ে গেল। রাজুর হাত থেকে মোবাইল টা পড়ে যায়। অন্ধকারেই একটু খুঁজে মোবাইলটা খুঁজে পেল কিন্তু মোবাইলটা কোন কাজ করছে না। টাচ স্কিনের এই সমস্যা। রাজু একবার ভাবে ফিরে যায়, পেঁচা উড়ে গেল, মোবাইল পড়ে গেল, কবজটাও হাতে নেই। কিকরবে নাকরবে এটা ভাবতে ভাবতেই মিনিট দুএক হয়ে গেল, হটাৎ করেই শুনতে পেল সিঁড়ি দিয়ে কেউ নেমে আসছে। রাজু ফিরে যাওয়ার জন্য মুখ ঘুরিয়েছে এই সময় পেছন থেকে মহিলাটা বলে উঠল, ‘একি চলে যাচ্ছেন নাকি? আপনি আসছেন না দেখে আমি নিচে নামছিলাম। ‘মোবাইলটা পরে গিয়েছিল, কোন আলো নেই তাই... । ‘একটু জোরেই মহিলাটা হেসে উঠল। ‘ভয় পাবেন না, আমাকে অনুসরণ করে চলে আসুন। রাজু সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে। এতোটাই অন্ধকার যে ৫-৬ টা সিঁড়ির উপরে ভদ্রমহিলা হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু রাজু বুঝতে পারছে না। মনে হচ্ছে কোন ছায়ার পিছনে হেঁটে যাচ্ছে। তিন তলার ঘরটা ঢুকে দেখল চারিদিক অন্ধকার। অন্ধকারে অনেকক্ষণ থাকার ফলে চোখ কিছুটা ধাতস্ত হয়ে গেছে। চারিদিকে ঝুল। জিনিসপত্র বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়ানো। কোনভাবেই মনে হচ্ছেনা এখানে কোন মহিলা থাকে। রাজু নিজে খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে। ঘরের মধ্যে ঝুল, ধুলো বালি একদম সহ্য করতে পারে না। বার থেকে এসে জামা-প্যান্ট ও গুছিয়ে রাখতে হবে।এমনকি বালিশের উপর টাওয়েলটা কেউ হাত দিলেও বুঝতে পারে। মেসে কে যেন একবার বলেছিল ভাই তোর চোখে কি ফিঙ্গার প্রিন্ট রিজিয়ন সেট করা আছে? যাই হোক ঘরের মধ্যে একটা সোঁদা সোঁদা গন্ধ যেন অনেকদিন আলো ঢোকে নি। বাইরে থেকে কুকুরের চিৎকার শুনতে পেল। চোর এলো নাকি? রাজু নিজের মনেই বলে উঠল। আরে না না চোর আসবে কেন? আপনি মশায় বড্ড ভীতু লোক। রাজু চুপচাপ হয়ে যায়। ঘরটা ভীষণ অপরিষ্কার চলুন আমরা ব্যাল্কনিতে বসি।ভদ্র মহিলা বললেন। হ্যাঁ বেশ কিছুদিন ঘর ঝাড়া হয়নি বলে মনে হচ্ছে? ঠিকই বলেছেন তবে কেন হয়নি সেকথা একটু পরে বলছি, এখন বলুন চা না কফি খাবেন? যেটা আপনি খাওয়াবেন আমি দুটোই খায়। ভদ্রমহিলা কফি বানাতে গেলেন। রাজু ব্যাল্কনিতে রাখা একটা চেয়ারে বসল। দূর থেকে একটা কালো বেড়াল একদৃষ্টিতে রাজুর দিকে চেয়ে আছে। বাইরে জোরে হাওয়াও বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টি এলো বলে। এখনও অন্ধকার ভদ্রমহিলা একটা মোমবাতিও জালায় নি কেন? রাজুর মনে মনে নিজেকেই প্রশ্ন করল।কোন সমস্যা নেই তো।মনে মনে কয়েকবার রাম নাম জপ করে নিল। বাইরে ঠাণ্ডা হাওয়া দিলেও কপালে যেন বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। রাজু এদিক ওদিক চেয়ে দেখল। না ভদ্রমহিলা এখনও আসেনি। আর থাকা ঠিক হবে না। রাজু ধীরে ধীরে সিঁড়ির দিকে এগোতেই আবার সেই ভদ্রমহিলার গলার আওয়াজ শুনতে পেল, আরে চলে যাচ্ছেন যে, আমি কি একা দুকাপ কফি খাবো। আসুন কফি খাবেন। দুধ নেই বুঝলেন তাই ব্ল্যাক কফি বানালাম। আপনি খান তো?গলা শুকিয়ে গেছে মুখ থেকে কোন কথা বের হল না শুধু রাজু ঘাড় নাড়ল। ব্যাল্কনিতে দুজনে বসে আছে, তবুও সামনের ভদ্রমহিলাকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। মানুষের মতো কিন্তু... রাজুর আর বসে থাকতে ভালো লাগছেনা। কোন মতে তেঁতো কফি গলায় ডেলে বলে এবার আমি উঠি। এতো তাড়াতাড়ি উঠবেন, ঘর কেন ঝাড়া হয়নি শুনবেন না। অনিচ্ছা সত্তেও রাজু বলল, আচ্ছা বলুন তবে একটু সংক্ষেপে বলবেন প্লীজ, আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বিয়ের পর খুবই ভালোবাসত। হটাৎ করে বন্ধুদের পাল্লায় পরে মদ খেতে শুরু করল সঙ্গে আবার জুয়া খেলা। প্রায় রোজই হেরে যেত আর আমার উপর অত্যাচার শুরু করত। বাপের বাড়ী থেকে টাকা আনতে বলত। মাস ছয়েক আগে একদিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দি। এই যে দেখুন গলায় দাগটা এখনও আছে। আবছা আলোয় রাজু দেখল গলার মাঝখানটা একটু নীল হয়ে আছে। আমার মড়ার পরের দিনই স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। আমি ৬ মাস ধরে ঘর আগলে বসে আছি। যদি ও আসে আমি ওর... । রাজু মন দিয়ে কথা শুনছিল। একবার ঢোক গিলল। কিন্তু কোন কথা মুখ থেকে বেড়োল না। মনে হচ্ছে শরীরের নিচের দিকটা অবশ হয়ে আসছে। ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। ছোটো বেলায় বদমাসি করলে মা যখন মারতে আসত তখন রাজু জেঠিমা বাঁচাও বলে জেঠিমার কোলে মুখ লুকাত। আজ আবার জেঠিমার কথায় মনে পড়ল। রাজু ভিতর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে জোরে চিৎকার করল, ‘জেঠিমা বাঁচাও’। এর পর আর রাজুর কিছু মনে নেই। পরের দিন সকালে রাজুকে একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমরা রাজুকে দেখতে গেলাম হাসপাতালে। চোখে মুখে ভয়ের ছাপটা তখনও লেগে আছে।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই গল্পটি একজন ব্যাচেলর ছেলের। একা থাকে কোয়ার্টারে। একদিন অফিস থেকে ফিরে একটু ঘুমিয়ে নেয়। তারপর মাঝরাতে আর ঘুম আসে না। ব্যাল্কুনিতে গিয়ে বসলে সামনের ফ্ল্যাটের একজন মহিলা কফি খাওয়ার আমন্ত্রন জানায়। বাকীটা আর বলছি না। আমার মনে হয় গল্পটি মাঝরাত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য।
২৬ জুলাই - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
১২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪