চোখ

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

Mohmmad ibrahim khalil
  • ২১
  • 0
  • ১৭
অযথা বাইরে বের হওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না । এই কিছুক্ষন হলো রুমে প্রবেশ করেছে রাকিব। জামা কাপড় ছেড়ে সবেমাত্র রান্না ঘরে ঢুকছিল হঠাৎ কি মনে করে জামাটা পুনরায় গায়ে জড়িয়ে কোন কথা নেই সোজা মটর সাইকেলটা নিয়ে বড় রাস্তার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। গ্রামের রাস্তা হলেও রাস্তাটা ভাল। পিচ ঢালাই দেখলে মনেহয় খুব বেশিদিন হয়নি সংস্কার করা হয়েছে। তবে রাস্তাটা তুলনামুলক ছোট। অবশ্য গ্রামের রাস্তা এর চেয়ে বড় করে লাভও নেই। বেশীর ভাগ সময় থাকে ফাঁকা । মাঝে মাঝে সাইকেলের পাশাপাশি দুএকটা ভ্যান গাড়ি নজরে আসে। আর কালভদ্রে তিনচাকার বেবীট্যাঙ্ িছাড়া চারচাকার জীপ। রিকসা নেই বললেই চলে। প্রথম প্রথম রাকিব কিছুটা অবাক হয়েছিল । গ্রামের রাস্তা তাও সদর উপজেলা থেকে সংযোগকারী রাস্তা বলে কথা রিকসা থাকবেনা তা কেমন করে হয়। তবে দু একটা যে নেই তা কিন্তু নয়। সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য । রিকসা না থাকার কারনটা উদঘাটন করতে রাকিবের খুব একটা সময় লাগে না। এখানে আসার তিনদিনের মাথায় রহস্যটা উদঘাটিত হয়। ব্যপারখানা হচেছ টু ইন ওয়ান মানে মাল টানার পাশাপাশি দুয়ের অধিক মানুষ নিয়ে নিমিষে চলা যায়, এমন বাহন যাকে আমরা বলি ভ্যান গাড়ি। তাতে আয় বেশী, আর বসে থাকতে হয়না । কিছুনা কিছু একটা কাজ থাকেই। বুদ্ধিটা মন্দ নয়। চাকুরীগত কারনে ইতিমধ্যে অনেকগুলো জেলা শহর ঘোরা হয়েছে। নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চয় মোটামুটি কম নয়। আর যাই হোক রাজধানী শহরের এক গেয়ামী জীবন থেকে মুক্ত হাওয়ায় নতুন করে বাচার সন্ধান দিয়েছে রাকিবকে। প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে। একমাত্র বাবা ও বোনকে ছেড়ে এই অগোছালো জীবনটাকে নিজের করে নিতে পারেনি রাকিব। কিন্তু বাস্তবের কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। এম,এ পাশ করে দুবছর এখানে ওখানে চেষ্টার পর যখন কোন গতি হচিছল না তখন ভাগ্যক্রমে চাকুরীটা মিলে যায়। কিন্তু চাকুরীর প্রথম শর্ত হচেছ বছর পাঁচেক ঢাকার বাইরে কাজ করতে হবে। যদি এই পাঁচ বছর সফল ভাবে সমাপ্ত করতে পারে রাকিব তাহলে পাঁচ বছর পর লোভনীয় একটা অফার অপেক্ষা করছে ওর জন্য । ইতিমধ্যে চার বছর শেষ হয়ে গেছে। কোমপানী যথেষ্ঠ খুশী রাকিবের কাজের উপর। সয়ং কোমপানীর বিদেশী ম্যানেজার দু'দুবার হেড অফিসে তলব করেছেন কংগ্রুসলিশন জানানোর জন্য। শোনা যাচ্ছে পুরো পাঁচ বছর শেষ করার প্রয়োজন হবে না। অল্প কিছুদিনের মধ্য রাকিবকে হেড অফিসে পার্মানেন্টলি উচ্চ আসনে বসার অনুমতি দেয়া হবে। কথাটা রাকিব শুনেছে কিন্তু তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি ওর মাঝে। চাকুরীতে ঢোকার আগে মনে হতো জীবনে ইচ্ছে করলে বোধহয় সবকিছু অতি সহজে করা যায়। মানুষ চেষ্টা করলে কি না পারে। কথাটা কিতাবী হলেও সমাজের আনাচে কানাচে এ সত্যটির উধাহরন একেবারে যে নেই তা কিন্তু নয়। কিন্তু সেটা নিতান্তই নগন্য। মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছু করতে পারে আবার এমনও মানুষ আছে যারা চেষ্টা করতে করতে একদিন বাস্তবের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে হারিয়ে যায়।
অস্তিত্ববিহীন সেধরনের মানুষের সংখ্যাও কম নেই। হাপিত্যেস আর অসহায়ত্ব নিয়ে যাদের জীবন। রাকিব কমবেশী সে সময়টা পার করে এসেছে। এখন সামনে ওর অনাগত জীবন। রাকিবের সামনে এখন একটাই বাস্তব, বুড়ো বাবা আর উর্মিকে সুন্দর একটা জীবন উপহার দেয়া। ওর আশা ভরষা যাকিছু আছে তার পুরোটাই উর্মিকে ঘিরে। বোনটার অসহায়ভাবে চেয়ে থাকা দৃষ্টি প্রায় রাকিবের চোখে বৈশাখের ঝড়ো হাওয়া প্রতিফলিত করে। কত আদরের একমাত্র বোন উর্মি। যে সময়টা ওর কাটানো উচিৎ ছিল মহা আনন্দে থেকে মায়ের আচল তলে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পুরো পরিবারটাকেই নিমিশে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। কোথা থেকে আজ কোথায় এনে দাড় করিয়েছে একটা হাঁসি খুশী ভরা পরিবারের অস্তিত্ব। রাকিব ভুলতে চায় মর্মান্তিক সে দিনটির কথা। কিন্তু ভুলতে পারেনা, ভোলা যায় না। কি করে ভুলবে রাকিব ? মাঝে মাঝে মনেহয় আজকের এই বেচে থাকাটা বোধহয় শুধুমাত্র বাবা আর উর্মির জন্য। মাকে রাকিব কথা দিয়েছে বুকের মাঝে আগলে রাখবে উর্মিকে। সেই উর্মির আজ ষোলতম জন্ম বার্ষিকী অথচ একবারও মনে পড়েনি কথাটা। গত দুসপ্তাহ ধরে ভীষন কাজের চাপ। নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। অন্যন্য বার এদিন কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও বোনের পাশে থাকা চাই রাকিবের। বাবা মনে মনে বিরক্ত হলেও প্রকাশ করতেন না। বলতেন কয়েক ঘন্টার জন্য হঠাৎ করে আসার কি প্রয়োজন ছিল। এসেছিসতো এসেছিস তা দু একদিন হাতে নিয়ে আসলেইতো পারতি। খামাখা মনটাই দূর্বল হয়ে যায়। রাকিব বুঝতে পারে বাবার কষ্টটা। কিন্তু কি উপায় ? সন্ধায় ট্রেন ধরে সকালে বাড়িতে তারপর বিকেলে আবার ট্রেন ধরে কর্মক্ষেত্রে পরদিন কাক ডাকা ভোর থেকে পূনরায় ডিউটি। অল্প কিছু সময় হলেও একটি মহুর্ত নষ্ট করেনা রাকিব, প্রথমে বোনকে নিয়ে মার্কেটে ওর পছন্দমত কেনাকাটা করে তারপর কেকের দোকানে এরপর বাসায়। বাসায় পৌছে ঝটপট তৈরি হয়ে চলে কেক কাটার আয়োজন। মাত্র চারটি মানুষ ওরা জন্মদিনের আয়োজক কাম মেহমান। ওরা তিনজন আর রুমা। পাশের বাসার মেয়ে। রাকিবরা যে বাসায় থাকে তার পাশেই রুমাদের বাড়ী। রাকিবদের বাড়ির মালিক ভদ্রলোক লন্ডন প্রবাসী বছরখানেক হয় ওখানে স্যাটেল হয়েছেন কিন্তু বাড়িটি বিক্রি করেননি। বছরে একবার সপরিবারে কিছুদিন এসে থেকে যান । ভদ্রলোকের স্ত্রীর সাথে রাকিবের আম্মার শৈশব থেকে পরিচয় ছিল সেই সুবাদে এ যাবৎ বাসা বদল করার ঝামেলা পোহাতে হয়নি। যে পর্যন্ত্য নিজেদের থাকার একটা বাসস্থান তৈরি নাহয় সে পর্যন্ত্য এ বাড়ীতে থাকা যাবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত। বাড়ীর ভাড়া হিসাবে রাকিবদের কোন রকম অর্থ প্রদান করতে হয়না। কারন ভদ্রলোকের এক বাক্য সালমা আপা আজ নেই, আমি আমার নিজের বোনের মত জানতাম ওনাকে সে হিসাবে তোমাদের উপর আমার একটা কর্তব্য আছে। তাছাড়া এবাড়ী যতদিন আমার থাকবে ততদিন তোমরা এ বাড়ীতেই থাকবে এটা আমার শেষ কথা, আমি তোমাদের কোন কথা শুনব না। অবশ্য কর্তব্য তিনি যথার্তই করেছেন। আজকের এ চাকুরীটার পেছনে ওনারই অবদান। তবে রাকিব চাকুরীতে জয়েন্ট করার পর থেকে প্রতিমাসে একটা এমাউন্ট আলদা করে রেখে দেয় । গত চার বছর ধরে বছরের শেষ নাগাদ জমাকৃত অর্থ দিয়ে বাড়ীর চুনকাম ছাড়া ছোটখাঠ সমস্যাগুলো সমাধা করে আসছে। নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্নউত্তরে জর্জরিত না হওয়ার জন্যই রাকিবের এ পদক্ষেপ। নিজে সময় দিতে পারে না বলে বাবাকে দিয়ে এ কাজগুলো করিয়ে থাকে রাকিব। রুমার সাথে রাকীবের তেমন কোন ঘনিষ্টতা নেই। এ চার বছরে হাতে গোনা কয়েকবার দেখা হয়েছে মাত্র। মেয়েটা দেখতে শুনতে ভাল। খুব অমায়ীক ব্যবহার। কথাবার্তায় ব্যক্ত্যিত্বের ছাপ স্পষ্ট। তাছাড়া আরেকটা জিনিষ রাকিবকে ভীষন মুদ্ধ করে। গতানুগতিক মেয়েদের তুলনায় কিছুটা পর্দা করে চলাফেরা করে রুমা । ভাল লাগে। রুমার এ বাড়ীতে আসা যাওয়ার পেছনে নিদৃষ্ট কোন কারন রাকিবের অজানা। তবে মেয়েটা বাবাকে আর উর্মিকে ভীষন ভালবাসে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। মেয়েটার বাবা মারা গেছে অনেক বছর হয় হয়ত এবাড়ীতে আসার পেছনে বাবার শূন্যতাই একমাত্র করান হতে পারে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে রুমা। বড় ভাই নামকরা ডাক্তার ছোট ভাই রুমাদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করেন। রুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সচ্ছল পরিবার । বছর খানেক হয় এ এলাকায় বাড়ী কিনেছে ওরা। পাশাপাশি বাড়ীতে অবস্থানের কারনে উর্মির সাথে রুমার ঘনিষ্টতা এবং পরে বাড়ীতে আসাযাওয়া। বয়সে উর্মির চেয়ে অনেক বড় হওয়ার পরও মেয়েটা উর্মির সাথেই বেশীর ভাগ সময় ব্যায় করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরেই সোজা উর্মিদের বাসায়। বিকেলের বেশীর ভাগ সময় ওরা দুজন একসাথে কাটায় এ ব্যাপারে রুমাদের বাড়ী থেকে আজ পর্যন্ত্য কেউ কোন উচ্চবাচ্য করেনি। সকলেই বিষয়টকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে। তাছাড়া রুমাদের বাড়ীতে উর্মির কদরও কম নয়। ছোট হিসাবে সকলের কাছে ওর স্থান অত্যন্ত আদরের। রুমার আম্মা প্রতিদিন কাজের বুয়াকে দিয়ে উর্মির খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। এসব কথা উর্মির কাছ থেকেই শোনা। বাবা প্রতি চিঠিতে রুমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ উর্মিও ঠিক তাই। নিস্বার্থ ভাবে কেন যে এত কিছু করছে মেয়েটা মনে মনে কোন শক্ত ভিত তৈরী করতে পারেনা রাকিব। আসলে সমাজে কিছু কিছ মানুষ আছে যাদের মাঝে আবেগ জিনিষটি একটু বেশী। আবেগের আর এক নাম ভালবাসা,শান্তি,উদারতা বোধকরি এগুলোর কারনেই এখনও মানুষের মাঝে আবেগ বলে কিছু একটা আছে। জীবনে সমস্ত চাওয়া পাওয়ার মাঝে কত যে বিচিত্র ঘটনা ঘটে যায় তার কোন ইয়াত্বা নেই। এরপরও মানুষ আশা করে , মনকে আশার দোলায় আন্দোলীত করতে সচেষ্ট থাকে প্রতিনিয়ত। বিনিময়ে সে আশার কোন পূর্নতা আসুক আর নাইবা আসুক তবুও জীবন থেমে থাকে না। কেন থেমে থাকবে ? শুরু যখন আছে তখন সমাপ্তি থাকবে এটাইতো জগৎের নিয়ম। কিন্তু এসব কথা আজকের সমাজে মূল্যহীন আজকাল অনেকেই চায় এ ধরনের জলন্ত সত্য গুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রশ্ন তুলতে। কারন তারা সময়ের স্বীকার, সামাজিক অবক্ষয়ের স্বীকার। যার কারনহেতু আবেগবিহীন মানুষের সংখ্যা এখন অগনিত। রুমার আবেগকে মনে প্রানে শ্রদ্ধা করে রাকিব। কিন্তু সে শ্রদ্ধাবোধ কেবল মাঝে মাঝেকার চিন্তার মাঝেই আবদ্ধ থাকে। দু একবার যাও দেখা হয়েছে তাও শুধুমাত্র কেমন আছেন ভাল আছি এ পর্যন্ত্যই। অবশ্য এরচেয়ে বেশী কিছু জানার ইচ্ছেও রাকিবের মাঝে কেনজানি ছিলনা। সেটা সময়ের সল্পতা কিংবা চলন্ত জীবনটার স্বাভাবিকতাও হতে পারে। তবে ভদ্রতার খাতিরে রাকিবের মনেহয় সমযের সল্পতা যেহেতু বিশাল সেহেতু একটা চিঠিতে অন্তত মেয়েটাকে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ। কিন্তু পরক্ষনে সে চিন্তায় ভাটা পড়ে যায় যদি আবার অন্য কিছু ভেবে বসে মেয়েটা। তাই ভাবনাটা ভাবান্তরের মাঝেই থেকে যায়।
আজও কি তাহলে ওরা তিজন অপেক্ষা করে আছে ? কথাগুলো মনে করতে করতে উপজেলা সদরের রাস্তায় উঠে মটর সাইকেলটা থামায় রাকিব। রাস্তার দুপাশ লক্ষ্য করে। ও পাশ থেকে একটা জীপ এগিয়ে আসছে। ডাঃ নরুউদ্দিনের জীপ। এ এলাকার একজন নামী দামী ডাঃ। মাঝে মাঝে আসেন নিজ এলাকায় রোগী দেখার জন্য । চট্টগ্রামে বৃহদকায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল। তদপুরি গবেষনার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে দেশে বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। তবুও নাড়ীর টানেই নিজ গ্রামে আসার কষ্টটাকে কষ্ট বলে মনে করেন না নুরউদ্দীন সাহেব। ভীষন অমায়ীক ব্যবহার কথার মাধুর্যতায় অর্ধেক রোগী ভাল হয়ে যান এ ধরনের একটা প্রবাদ আছে ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে। সেদিন কথা প্রসংগে বলছিলেন আর মাত্র কিছুদিন বিল্ডিংটা দাড়িয়ে গেলে এখানেই রোগীর সেবায় বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেবেন। প্রচুর অর্থ প্রতিপত্তি থাকা সত্বেও এতটুক অহংকার নেই, নেহায়েৎ একজন দিল দরিয়া ধাচের মানুষ ডাঃ সাহেব। রাকিবের সাথে ডাঃ সাহেবের পরিচয় খুব বেশীদিনের নয়। মাস ছয়েক আগে এক বিয়ের অনুষ্টানে ডাঃ সাহেবের সাথে পরিচয় হয় রাকিবের। শুরুটা কেমন আছেন, ভাল আছি এ পর্য্যন্তই দ্বিতীয় বারের সাক্ষাতে পরিচয়টা অন্যদিকে মোড় নেয়। যখন জানতে পারেন রাকিবের বাবা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একজন ত্যাগি ছাত্রনেতা যার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছেন আজকের নুরউদ্দীন সাহেব। জীবনের কোন না কোন মহুর্তে প্রতিবারই মনে করেছেন একজন উপকারীর কথা। যার অসীম সাহস আর অকুতোভয় চিন্তা চেতনা জয় করে নিয়েছিল নুরউদ্দীন সাহেবের মন। কলেজ জীবনের সেই সময়ের কথা আজও ভুলতে পারেননি ডাঃ সাহেব। স্মৃতির আড়ালে লূকায়ীত থাকলেও প্রায় সময় মনে করেন সেই সমস্ত স্মৃতি। ৫২ বাধ ভাঙ্গা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভাষার জয় এলো সংগঠিত হলো মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে অনেক খুজেছেন কিন্তু দেখা পাননি পছন্দের মানুষটিকে সেই দুঃখ প্রায় বুকের মাঝে একটা শুনূতার বাধন সৃষ্টি করে আসছে নুরউদ্দীন সাহেবের মনে। কষ্ট হলেও বুকে চেপে আছেন এই ভেবে যে, একদিন না একদিন সেই প্রিয় মানুষটির দেখা অবশ্যই পাবেন। রাকিবের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে মানুষটিকে একবার দেখার জন্য ব্যকুল হয়ে উঠেন ডাঃ সাহেব। রাকিব সময় দিতে পারেনি তাই এখনও যাওয়া হয়ে উঠেনি তবে একবার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে বাবার সাথে। সেই থেকে রাকিবকে অত্যন্ত স্নেহ করেন ডাঃ সাহেব। গাড়ী এসে ঠিক রাকীবের সামনে থামে। ডাঃ সাহেব জানালার কাঁচ খুলে মুখ বের করেন।
- আরে ইয়ং ম্যান তুমি। কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?
- আসলামু আলাইকুম আংকেল।
- ওয়ালাইকুম সালাম ।
- একটু সদরের দিকে যাচ্ছিলাম। আপনি কোথা থেকে।
- ওই সেই ডিউটি থেকে। উঠে এসো তোমার সাথে জরুরী কথা আছে।
রাকীব ইতস্ততবোধ করে। সাথে মটর সাইকেল তাছাড়া যে ভাবেই হোক ওকে এক্ষুনি টেলিফোন করতে হবে। এ এলাকা থেকে লাইন পাওয়া কষ্টকর ব্যপার যদিও পাওয়া যায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। ভাগ্য ভাল রুমাদের বাসায় টেলিফোন ছিল কিন্তু এনালগের কারনে প্রায় রং নম্বরে ঢুকে যায় অথবা মৃত থাকে। সেই জন্য ইচ্ছে থাকলেও টেলিফোনের উদ্দেশ্যে বেরুতে মন চায় না। কিন্তু আজকের ব্যপারটা আলাদা অন্তত উর্মির মুখের শব্দটা শুনতে পারলেই যথেষ্ট। নিজেকে কিছুটা শান্তনা দিতে পারবে রাকিব।
- কি ব্যপার কি ভাবছ কই উঠে এসো।
- না মানে ঢাকায় একটু ফোন করতে হবেতো তাই ভাবছিলাম --- ।
- তা এত ভাবাভাবির কি আছে আমিতো ওদিকেই যাচ্ছি, এসো এসো।
- কিন্তু মটর সাইকেলটা ?
- হঁ্যা এটা অবশ্য একটা সমস্যা। আচ্ছা এক কাজ করা যাক
ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলে নুরুউদ্দিন সাহেব।
- মিজান তুমি কি মটর সাইকেল চালাতে পার ?
- পারি স্যার।
- তাহলে তুমি চালিয়ে বাড়িতে এসো আমরা যাচ্ছি। তোমার কোন অসুবিধা নেইতো রাকিব ?
- না না অসুবিধা হতে যাবে কেন । উনি যখন চালাতে পারেন তাহলেতো আর কোন কথা নেই।
ড্রাইভারকে মটর সাইকেলের চাবি দিয়ে রাকিব জীপের সামনের সীটে উঠে বসে। পাশ ফিরতেই গাড়ীর পেছনের সীটে একজন সুদর্শনীর অস্তিস্ত খুজে পায় রাকিব। জানালার গ্লাসে রঙ্গীন কাগজ লাগানোর কারনে এতক্ষন বোঝা দায় ছিল পেছনের সীটে কেউ উপবিষ্ট। চোখে সানগ্লাস , মাথায় জরির কাজ করা ওড়না পেচানো, বয়স কেমন হবে ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। আপাত দৃষ্টিতে এই দেখায় মনে হচ্ছে চেহারায় যথেষ্ট মাধুর্যতা আছে। রাকিব কিছুটা অস্িস্ত বোধ করে। আগে জানলে কিছুতেই গাড়িতে উঠত না। নরুউদ্দিন সাহেব বোধকরি তা লক্ষ্য করেন। একপ্রকার মুখ ফুটে বলে ফেলেন।
- আরে ইয়ংম্যান তুমি দেখী লজ্জা পাচ্ছ। লজ্জা করার কিছুই নেই। ও আমার ছোট মেয়ে তনিমা। ক্যানাডায় গ্রাজুয়েশন করছে। গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়ী আসা। দাদার বাড়ী কিছুদিন থাকবে বলে নিয়ে আসলাম। এসো তোমাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
নুরুউদ্দিন সাহেব গাড়ী চলন্ত অবস্থায় পেছনে একবার ঘাড় ফিরিয়ে তনিমার দিকে লক্ষ্য করে বলেন।
- তনিমা এই হচ্ছে রাকিব। বলতে পারিস আমার খুব প্রিয়জনদের একজন। আর রাকিব ওহচ্ছে তনিমা। বাকী পরিচয়তো তুমি আগেই জেনেছ।
রাকিব স্বভাবসুলব চোখেমুখে হাসিঁর উপস্থিতি টেনে সালাম করে বলে কেমন আছেন। পেছনে বসা তনিমা নিজেও সালাম দিয়ে সালামের উত্তর দেয়। তারপর কুশল বিনিময়ের পালায় শুধু ভাল আছি আপনি ভাল আছেনতো বলে পূনরায় জানালার বাইরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। আপাতত এটুকুই। কিন্তু তবুও রাকিবের অসস্তি কাটেনা। গাড়ী আস্তে আস্তে চলছে। আজ হাঁটের দিন তাই দুপুর থেকে গ্রামের লোকজন হাঁটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। রাস্তার দুপাশে লোকজনের চলাচলের জন্য গাড়ী কিছুটা আস্তে চালাতে হচ্ছে ডাঃ সাহেবকে। মাঝে দুএকজন চেনা পরিচীত লোকজন গাড়ীর দিকে তাকিয়ে হাত উচু করে সালাম দিচ্ছে ডাক্তার সাহেবও মাঝে মাঝে গাড়ী থামিয়ে কুশল বিনিময় করছেন।
- তা কেমন আছ ইয়ংম্যান ? হঁ্যা কোথায় টেলিফোন করবে বলছিলে যেন ?
- জি্ব ঢাকায়, ছোটবোনের কাছে। আজ ওর জন্মদিন। অন্যন্যবার এক সংগেই জন্মদিন পালন কোরতাম কিন্তু এবার যে কি হলো একবারের জন্য মনেই পড়েনি তারিখটা।
- কাজটা তুমি কিন্তু ঠিক করনি। তোমার একমাত্র বোন তাছাড়া তোমার কাছ থেকে যতটুকু জেনেছি , থাক সেকথা। আসলে কি জান রাকিব জীবনে অনেক সময় অনেক সমস্যার সন্মুক্ষীন হতে হয়। অবার সমাধানও হয় তাই বলে কোন মানুষই সমস্যার বাইরে নয়। কেননা সমস্যা মানুষেরই সৃষ্টি। তুমি সমস্যাকে যত সমস্যা বলে ভাববে তত সমস্যা তোমাকে আকড়ে ধরবে। শত সমস্যার মাঝেও প্রিয়জনদের জন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু বের করে নিতে হয়।
- আপনার কথাগুলোকে পাশ কাটানোর কোন যুক্তি নেই। জীবন চলছে জীবনের নিয়মে কখনও থেমে কখনও শ্রোতের বেগে। কেউকি বলতে পারবে জীবন তবুও থেমে আছে ? নেই। থাকতে পারেনা। আসলে জীবনকে দেখার দৃষ্টি ভিন্নতর হওয়ায় আমাদের মাঝে জীবনের শত উপমা পরিলক্ষিত হয়। বোধকরি এই জন্যই জীবনকে ঘিরে মানুষের এত প্রশ্ন। এই বয়সে বিভিন্নভাবে জীবনকে সাজাতে চেয়েছি। পাওয়া নাপাওয়া নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা আদোউ নেই বা ছিলনা যা ঘটেছে তাই সত্য কিন্তু যা সত্য তা ঘটেনি কেন সেটাই কেবল প্রশ্ন। আমি জানি এসব কথা কোন শক্ত ভীত তৈরী করার জন্য যথেষ্ট নয়। তবুও প্রায় এসব কথার সাথে নিজে নিজেই যুদ্ধ করি। হার অবশ্য আমারই হয়।
- তুমি হয়ত ঠিকই বলেছ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ডাঃ সাহেব। কিজানি রাকিবের কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলার মত কোন অর্থ দাড়িয়েছে কিনা তা রাকিব জানেনা। রাকিব ডাঃ সাহেবের মুখের দিকে তাকায়। কিছক্ষন আগের হাঁসি খুশী ভাবটা যেন হঠাৎ করে হারিয়ে গেছে। চুপচাপ গাড়ীর হুইল হাতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। রাকিব কিছু বলতে যেয়ে বলতে পারেনা। নিজেকে আগের অবস্থায় ফেরানের পথে সামনের আয়নাতে দৃষ্টি আটকে যায়। ইচ্ছে না থাকা সত্বেও চোখ ফিরিয়ে নেয় রাকিব।
- তোমার বাবা কেমন আছে রাকিব ?
- জি্ব ভাল আছেন উনি।
- পরেরবার কবে যাচ্ছ ঢাকায় ?
- এই মহুর্তে বলতে পারছিনা তবে অনুমান করছি এবার হয়তোবা একবারেই যেতে হবে।
- তার মানে ?
- এখনও শিউর না শুনতে পেয়েছি হেড অফিসে একটা ডিপার্টমেন্টে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে আমাকে। কতটুকু সত্য তা যাচাই করে দেখিনি।
ডাক্তার সাহেব এরিমাঝে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছেন।
- তাহলেতো তোমাকে আর আমার কথাটা বলা হলোনা ইয়ংম্যান।
- কি কথা আংকেল ?
- না থাক তোমার সামনে সুদিনের প্রচ্ছায়া লক্ষ্য করছি । তাছাড়া প্রিয়জনের পাশে থাকবে এটাতো তোমার জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমার বিস্বাশ তুমি যা শুনেছ তাই সত্য হবে। আমার মন বলছে।
- কিন্তু আপনি কি যেন বলতে চেয়েছিলেন ?
- আর সেটা ছিল একটা চিন্তা মাত্র। লিভ ইট। আরে হ্যাঁ ঐতো আমরা এসে গেছি। তুমিতো এখানেই নামবে তাইনা ?
- হ্ঁ্যা এখানে থামলে চলবে।
- তুমি টেলিফোন শেষ করে বাড়ীতে আস তখন কথা হবে। এসো কিন্তু।
গাড়ী থেকে নামতেই মিজান মটর সাইকেল নিয়ে সামনে এসে হাজির। ভালই করেছে ড্রাইভার মটর সাইকেল নিয়ে বাড়ী না গিয়ে এখানে চলে এসেছে। মিজানের কাছ থেকে মটর সাইকেল নিয়ে একপাশে পার্ক করে ফিরে আসে জীপের সামনে। ততক্ষনে ড্রাইভিং সীট বদল করে ডাঃ সাহেব এগিয়ে যাচ্ছিলেন সামনে দাড়িয়ে থাকা কোন একজন বয়ষ্ক লোকের কাছে। যেতে যেতে মিজানকে কিছু একটা বললেন। রাকিব হাত উঠিয়ে সালম জানান। মিজান তনিমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপা একটু বসেন আমি আপনার জন্য আখের শরবত নিয়ে আসছি। স্যার এক্ষুনি চলে আসবেন। ততক্ষনে তনিমা জায়গা বদল করে এপাশে চলে এসেছে। বলতে গেলে ওরা এখন মুখোমুখি, বিদায় না নিয়ে চলে আসাটা কেমন দেখাবে তাই ভেবে তনিমাকে লক্ষ্য করে বলে আসি তাহলে সালামুআলাইকুম । ওয়ালাইকুম সালাম ছাড়া আর কোন শব্দ শুনতে পায়না রাকিব। ধীর পায়ে মটর সাইকেলের দিকে রওয়ানা দিতেই ভেষে আসে তনিমার মিষ্টি মুখের আওয়াজ।
- এই যে রাকিব ভাই শুনুন, আসবেন কিন্তু। আপনার সাথে এখনও কথাই হয়নি শুধুমাত্র পরিচয় হওয়া ছাড়া। সংকোচ করবেননা। বন্ধু ভেবেই আসবেন। তাছাড়া এখানে আমি কিছু চিনি না। আপনি আসলে এলাকাটা ভালভাবে ঘুরে দেখা যাবে। আমি অপেক্ষায় থাকব।
রাকিব অবাক হয় । এমন একটা পরিস্তিতি কিছুতেই আশা করেনি। যে মেয়ে গাড়ীতে থাকা অবস্থায় একটা কথা পযন্ত্য বললনা আর সেই মেয়ের এখনকার কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে কেউ বলবে না রাকিবের সাথে তনিমার কোন ঘনিষ্টতা নেই। রাকিব লক্ষ্য করছে তনিমা তার ছোখ থেকে সানগ্লাসটা আলগোস্তে মাথার উপর চুলের সাথে আটকে দিচ্ছে। তনিমার চোখে দৃষ্টি পড়তেই কিছু সময়ের জন্য অভিভুত হয়ে যায় রাকিব। চোখ দুটো দেখতে কি অসাধারন। ভীষন মায়া আছে সে চোখে। রাকিব নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। ধীর পায়ে মটর সাইকেলের কাছে এগিয়ে যেতে থাকে। যেতে যেতে ভাবে, তনিমার কিছুক্ষন আগের কথাগুলো। আচ্ছা তনিমা কি তাকিয়ে আছে ওরদিকে ? একবার কি পেছন ফিরে তাকাবে রাকিব? কিন্তু ফিরে তাকানোর মত কোন উপায় নেই রাকিবের। এক অচেনা আকর্ষন ওকে বেধে ফেলেছে। ঘুরে তাকানোর মত শক্তি এই মহুর্তে ওর ধড়ে নেই। মটর সাইকেলের পাশে এসে দাড়িয়ে থাকে কিছুক্ষন আর ভাবে মানুষের চোখও এত সুন্দর হতে পারে। মটর সাইকেল ষ্টাট দিয়ে এগিয়ে যায়। গাড়ীর পাশ ঘেষে এগিয়ে যেতে যেতে আর একবার দৃষ্টি বিনিময় হয় তনিমার সাথে, সত্যিই তাকিয়ে আছে তনিমা। এগিয়ে যায় রাকিব একসময় দুরত্বের ব্যাবধানে হারিয়ে যায় কিছুক্ষন আগে দেখা এক অদ্ভুত সুন্দর দুটো চোখের পলক। রাকিব তন্ময় হয়ে কল্পনায় বুনতে থাকে এক অজানা অচেনা স্বপ্ন বাসর। আর এক বন্ধুত্বের হাতছানি। ভুলে যায় আজ এইক্ষনে ওর জন্য তাকিয়ে আছে আরো কয়েকটা অতি পরিচীত চোখ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
উপকুল দেহলভি প্রেমিক বদলের গল্পটি ভালো লাগলো. এগিয়ে যান আলোকিতি আগামীর পথে. শুভ কামনা রইলো.
মোঃ আক্তারুজ্জামান সুন্দর গল্প তাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা|
junaidal চমত্কার গল্প।
Akther Hossain (আকাশ) গল্পটা খুব সুন্দর হয়েছে ।।
R k shamim ভালো লাগলো।
সূর্য গল্পের ফরমেটটা অনেক ভোগাল। মনিটরে ছোট ছোট প্যারা হলে পড়তে অনেক আরাম হয় (চোখের)। চোখ আসলেই মনের কথা বলে, সুন্দর লিখেছেন।
Md.Younus অনেক সুন্দর।
মিজানুর রহমান রানা ডাক্তারের ঔষধে অনেক সময় হিতে বিপরীতও হয়ে যায়। রাগতে রাগতে মানুষ অনেক সময় কেঁদেও ফেলে। গল্পটি নিঃসন্দেহে ভালো লেগেছে, তবে রাগ করেন আর যাই করেন সত্যি কথা হলো- শব্দের ভুল-ভ্রান্তিগুলো এড়িয়ে থাকতে হবে। ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
বিন আরফান. না গল্প না উপন্যাস. তার পরেও অনেক ভালো. পরিশ্রম যতটুকু করেছেন আরেকটু বেশি করে যদি প্যারা করে জমা দিতেন পড়ে চোখের ধা ধা দেখতাম না. এখন জোর করে দেখতে হলো. যদিও চোখ লাইন ব্রেক করে. আর যা বলতে চাই , অপি নিয়মিত নেটে থাকেন সেটা আম দেখেছি. তার পরেও পাঠক কম. কারণ আপনাকে পাঠক হারিকেন দিয়ে খুজে পায়না. আমি এরূপ কথা "আহমেদ সাবের " ভাইকে বলেছিলাম. তার পর থেকে সে নিয়মিত ছিল মতামত অন্যদের দিত ও বিজয়ী হয়েছে. আর আমি করা কথা তাকেই বলে রাগিয়ে দেই যে অসাধারণ লিখে. আপনিও তাই. উপরের স্থানে ক্লিক করতে হল. শুভ কামনা.
আহমেদ সাবের রুমাকে নিয়ে এত কথা বলার পর ভেবেছিলাম, গল্পটা সে খাতেই গড়াবে। কিন্তু ধারনা ভুল হলো ( বা হতে পারে )। যাক, গল্প হিসেবে লেখকের লেখার সাবলীলতা মুগ্ধ করেছে। প্রথম দুটো প্যারাকে ভেঙ্গে কয়েকটা ছোট প্যারা করে দিলে ভাল হতো ।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪