দুপুর দুইটা বাজে দারগা সবেমাত্র মধ্যাহ্ন ভজ সেরে চেয়ারে হেলান দিয়ে ভোরের কাগজ পড়ছিলেন। কাগজ থেকে চোঁখ সড়িয়ে আড়চোঁখে দেখেন পর্দার আড়ালে কে যেন বারে বারে উকিঁ দিলেন। মনে হলো খুব পরিচিত কেউ। তখন দারগা বলে উঠলেন, কে কে ওখানে? সুলেখা মনে হচ্ছে! কে সুলেখা। - আগ্গে! হে দারাগা স্যার আমি সূলেখা। - আচ্ছা, আচ্ছা তবে কি মনে করে? এই বলে বসতে বলে। - না মানে অনেকদিন আপনার সাথে দেখা হয়নি তাই... - তোমার কোথায় কেমন যেন ঠিক লাগছে না সুলেখা। কিছু একটা করেছিছ তাই না? - না! না স্যার কিছু করিনি, ছেলের কছম দিয়ে বলছি। ইয়ে! মানে মানে ওসব কিচ্ছু না। - আচ্ছা ঐ চেয়ারে বস। তারপর খুলে বলতো কি দরকারে এসেছি। - থাক আমি বরং এখান থেকেই বলি। তখন দারগা মনে মনে বলে হুম "দুর আত্বার আবার ছলের অভাব হয় না" কখন যে, কি করে বসে কে যানে। আচ্ছা এবার বলো দেখি। এখন তোমার কি করা হয়? - না স্যার! এখন আমার কিছু করতে হয় না। আগে যে "নাইট" ধান্দা করতাম কবেই ছেড়ে দিয়েছি। এখন আর ওসব ভালো লাগে না। বয়সতো কম হলো না। যৌবনের সেই ঘটনাগুলো মনে পড়ে গেলে কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায়, তাছাড়া সৎ ভাবে থাকার মাঝে এতো আনন্দ আছে আগে জানতাম না। আর তা ছাড়া... - তাছাড়া আবার কি? - না, মানে ছেলে অনেক বড় হয়ে গেছে। - ও আচ্ছা সে কি করে শুনি? - সে একটা দোকানে কাজ করে স্যার, তবে সংসার বেশ ভালোই চলে। এবং তার বিয়েও দিয়েছি। - কিন্তু সুলেখা এবার আসল কথাটা বলতো সেই তখন থেকে বলছি। তখন সূলেখা একটু হেসে বলে, স্যার বলবো না ক্যান। বলবার জন্যইতো এসেছি। - জানেন স্যার জিবনে অনেক অন্যায় কাজ করেছি, তাছাড়া কতবার ধরা পড়েছি। জেলেও এসেছি তার ইয়ত্তা নেই। - সুলেখা তোর মুখে ঐ সব থানায় টানায় কথা শুনতে, আর ভাল লাগেনা এবার বলতো। - সবে কয়েক মাস ছেলের বিয়ে হয়েছে, বৌমাকে ঘরে আনার পর থেকে লক্ষ্য করেছি যে, আমার স্বামী ছেলের বৌয়ের দিকে কু'দৃষ্টিতে তাকায়। ছলেবলে-কৌশলে বৌমার ঘরে যেতে চায়, অনেক বলার পরেও শুনতে চায়নি। কিন্তু আমি কিছু করতে পারিনি। - দেখ সুলেখা আমি তোমাদের সংসারের ব্যপারে কিছু বলতে চাইনা। এটা থানা কিন্তু যা বলার সংক্ষেপে বল। - তাই বলছি স্যার! আজ সকালে আমি বাইরে থেকে এসে দেখি যে, এক অনাচার চিত্র এ মুখে আনায় পাপ স্যার। আমি অপনাকে কিভাবে যে, বলবো? দেখলাম আমার স্বামী আমার বৌমাক বৌমাকে অ-সম্মান করছে। তখন আমি রাগের খোবে আমার মাথা ঠিক ছিলো না। সামনে "বটি" ছিলো হাতে নিয়ে দিলাম একটা কপ। জানেন স্যার তখন আমার আর কোন পথ খোলা ছিলো না। বধু নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে আমার কনো উপায় ছিলো না। - হুম সবে বুঝলাম! তবে তোমার স্বামী আছে না মারা গেছে? কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সুলেখা তখন সে বলে। - না! না স্যার সে আর বেচেঁ নেই। - সুলেখা রাগের বশে কাজটা তুই ভালো করিসনি। - দারগা স্যার এমনটা যে, ঘটবে স্বপ্নেও ভাবিনি। দিন দিন আমাকে লকাপে ঢুকিয়ে দিন আমার শাস্তি দিন... আমার শাস্তি দিন...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Lutful Bari Panna
কাহিনি খুব সরল এগিয়েছে। আরো একটু বড় হতে পারতো। এছাড়া ভালো গল্প।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
যদিও হত্যার সমর্থন আমরা করি না। তবুও সুলেখা তার বৌমার সামনে সমগ্র সমাজের সামনে এক নজির সৃষ্টি করলো প্রতিবাদের মাধ্যমে।
০৪ আগষ্ট - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
৩৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।