জীবন যুদ্ধ

বিজয় (ডিসেম্বর ২০১৪)

মোস্তফা সোহেল
  • ১০
  • ২১
ঘরের বারান্দায় বসে রাস্তার দিকে তাকিয়ে চিন্তিত মূখে বসে আছে রাবেয়া।মেয়েটা এখনও ফিরল না স্কুল থেকে।আজকাল রাস্তা-ঘাটের যা অবস্থা।কোথায় কখন কি হয় কে জানে।মনের ভেতরে সব-সময় একটা ভয় থাকে রাবেয়ার।মেয়েটার কখনও যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কি নিয়ে বাঁচবে সে।একটাই মেয়ে রাবেয়ার নাম আলিশা।এবার ইন্টারে পড়ছে।মায়ের অবাধ্য কখনই হয়নি আলিশা।আর হবেই বা কেন মা-ই যে তার সব।পুরানো দিন গুলির কথা মনে হলে রাবেয়ার মনে হয় এই তো সে দিন অথচ আঠারোটা বছর কি ভাবে পার হয়ে গেল রাবেয়া বুঝতেই পারে না।
রাবেয়া তখন ইন্টার পাশ করে বি কম পড়ছে।প্রেম না করলেও মনে-মনে একটা ছেলেকে পছন্দ করত।কিন্তু মা-বাবা জানলে কি ভাববে এই ভেবে নিজের পছন্দটাকে কখনই প্রকাশ করেনি সে।হঠাৎ একদিন শুনল তাকে পাত্র পক্ষ দেখতে আসবে।দেখেও গেল।পাত্র পক্ষ মেয়ে পছন্দ করে দিন ক্ষন ও ঠিক করে গেল।মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রাবেয়ার কাছে কেউ জানতে চাইল না পাত্র তার পছন্দ হয়েছে কিনা।তারপর নির্দিষ্ট দিনে বিয়ে হয়ে গেল রাবেয়ার।ছেলে ব্যাবসা করে তার বাবার অঢেল সম্পত্তি।বিয়ের প্রথম ছয় মাস রাবেয়ার ভালই কাটে।মাসুম ব্যবসার কাজে সারা দিন বাইরে থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই ঘরে ফিরত।এক সময় মাসুম দেরি করে ঘরে ফিরতে শুরু করল।রাবেয়া একদিন জানতে পারল মাসুম এক জন নেশা গ্রস্ত মানুষ।কোন লুকোচুরিতে না গিয়ে রাবেয়া মাসুমের কাছে সরা সরি জানতে চাইল সে নেশা করে কিনা।কথাটা শুনে মাসুম বলেছিল,পুরুষ মানুষ একটু আধটু নেশা না করলে তাদের পুরুষত্ত থাকে না।ভবিষ্যতে এ সব নিয়ে যেন সে কথা না বলে।এর কিছু দিন পরে রাবেয়া বুঝতে পারল সে মা হতে চলেছে।রাবেয়া ভাবল সন্তানের কথা বলে মাসুম কে নেশার জগৎ থেকে ফেরাতে হবে।রাতে রাবেয়া মাসুম কে যখন বলল সে মা হতে চলেছে,তখন কথাটা শুনে মাসুম যেন আকাশ থেকে পড়ল।সে এত তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেওয়ার পক্ষে না।রাবেয়া কে বলল বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলতে।রাবেয়া কিছুই বলল না মাসুমের কথা শুনে রাবেয়া হতভম্ব হয়ে পড়েছে।অনেক ভেবে চিন্তে রাবেয়া সন্তানকে বাঁচাতে মাসুমের সংসার ছেড়ে চলে আসল।তারপর একদিন রাবেয়ার কোল জুড়ে এলো আলিশা।আলিশা জন্মের এক বছর পর রাবেয়ার একটা স্কুলে চাকরি হয়ে গেল।সেই থেকে শুরু রাবেয়ার জীবন যুদ্ধ।রাবেয়া জানে না এই জীবন যুদ্ধে তার বিজয় হয়েছে না কি পরাজয়।রাবেয়া শুধু এতটুকু জানে এই জীবর যুদ্ধে তাকে জয়ী হতে হবে।কিন্তু এ যুদ্ধ তো গুটি কয়েক মাস বা বছরের জন্য নয়।এ যুদ্ধ আজীবন আমৃত্যু পর্যন্ত।রাবেয়া শেষ পর্যন্ত পারবে তো এই জীবন যুদ্ধে বিজয়ীর বেশে থাকতে?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্ আলম শেখ শান্ত অসংখ্য ভাল্লাগা জানালাম । আমার লেখায় আমন্ত্রণ রইল ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু বিয়ের আগে ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে হয় যে মানুষটি কেমন। শিক্ষণীয় বিষয় আছে গল্পে। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
ruma hamid এই জীবন যুদ্ধে রাবেয়ার মা হবার বিজয় অবশ্যয় হয়েছে । একজন সংগ্রামী মানুষ সবসময় বিজয়ী , আর রাবেয়ার মতো নারীরাতো এক কথায় অসাধারন ।
আখতারুজ্জামান সোহাগ নিশ্চয়ই রাবেয়া পারবে তার জীবন-তরী বিজয়-বন্দরে নোঙ্গর করতে। ছোট পরিসরে লেখা গল্প ভালো লেগেছে। শুভকামনা মোস্তফা সোহেল ভাই।
শামীম খান রাবেয়ার জীবন যুদ্ধ আমাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত । অনেক শুভ কামনা আপনাকে । ভাল লাগা আর ভোট রইল ।
রাজু বেশ লাগলো । শুভেচ্ছা জানবেন ।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল।আমার কবিতা "বিজয় ৭১"পড়ার আমন্ত্রন রইল।
রুহুল আমীন রাজু 'জীবন মানেই যুদ্ধ' ....ভালো লাগলো .... ধন্যবাদ , আমার লেখা 'সুলক্ষী' গল্পটি পরার আমন্ত্রণ রইলো .

২৪ নভেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪