রুপোলি রোদ ডিঙিয়ে ছায়াপথ ছিনিয়ে আনতে গিয়েছিলাম জোনাকিমালায় দু’ধারে সাজাতে তোমার জন্যে। নিসর্গ বানাতে চেয়েছিলাম নদীর উদর জুড়ে বাঁশের মাচা বানিয়ে নির্জন বায়ু কোলাহলে , কিন্তু লাশের পরে লাশ দেখে রক্তের লোনা স্বাদে পিপাসা নিবৃত্ত না করে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লাম আকাশ সমান চাপ নিয়ে! একি! এ কোন ভূবন আমার লালে লালে সবুজ হারানো আঁকাবাঁকা মানচিত্রের? আমি আমাকে না চিনে অবশেষে আবছা ছায়ার পিছু হাঁটতে লাগলাম;
এই কি আমার সেই সবুজডাঙা যেখানে আমার মা-বোনের আব্রু হরণের ক্ষতচিহ্ন এখনো দগদগে, লক্ষপ্রাণের তাজা হৃদপিন্ডের দহন ঝড়ো বর্ষায়ও জ্বলছে দাউ দাউ করে!
একি কারো দয়ায় পাওয়া কোন সমতলভূমি যা কেবল সাদা কাফনে মুড়িয়ে রাখতে হয়!
না এখানে আমি আর নিসর্গ বানাবো না তোমার জন্যে! শ্বেত অম্বরি গায়ে আমার অকাল বৈধব্য সাজ সইতে পারবে তো তুমি! নাকি শুভ্রবসনে আমাকেই পাঠাবে ওরা ওপারে যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষ যুগান্তরের চাকে..! আমারি স্ব-ভূম আজ বড় অচেনা আমার কাছে যেন!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রজ্ঞা মৌসুমী
শুরুতে উপমা বেশী ভালো লাগলো। কোথাও ভুবন, কোথাও স্বভূম... সারা পৃথিবী নাকি স্বদেশটাই আজ দগদগে বুঝাতে চেয়েছেন? হতাশা-অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে ভালোভাবে। তবু ভাবতে ভালো লাগে- এখানেই জ্যোৎস্না হয়, সাদা জ্যোৎস্নায় ফিরে ফিরে আসে ওরা...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।