এক অদম্য যুবকের নাম মেহের আলী।বেশ সুঠাম দেহের অধিকারী। নম্র,ভদ্র,পরিশ্রমী,সদালাপী এক যুবক। সহজ সরল সভাবের কিন্তু মনে বেশ রস। পাশের বাড়ির সুন্দরী লীলা তার প্রেমে পড়ে যায়। মেহের তার বাবাকে মনের কথা অকপটে জানালেও বাবা তার প্রস্তাবে রাজি হয় না। বাবা মায়ের বাধ্য ও অনুগত মেহেরের কথায় কর্ণপাত না করায় সে একদিন বাবার অবাধ্যেই বিয়ে করে লীলাকে। বাবা এই বিয়ে মেনে না নেয়ায় বাবার ঘর ছাড়তে বাধ্য হলো মেহের আলী। ওদিকে লীলার মা বাবা ও এই বিয়ে মেনে নেয়নি। লীলা মেহেরের সংসারের হাল ধরবে এই ভরসায় দুজনে ঘর বাঁধে। পরিবার পরিকল্পানা অনুযায়ী তারা সংসার গড়বে। বেশ সুখের সুন্দর গোছানো পরিপাটি হবে দুজনের সংসার।বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাদের। লীলা ও মেহেরের সংসারে আসলো আরও সুখ বাড়াতে এক নবাগতা অতিথী নাম রাখলো সুখি। বাবা-মা তাকে বেশ আদর যত্ন করে বড় করতে লাগলো। নিজেরা না খেয়ে মেয়েকে বেশ স্বযত্নে লালন পালন করতে লাগলো। লীলা মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যায়, নিয়ে আসে। নিজেরা নতুন কাপড় পড়ার চিন্তা না করে মেয়ের জন্য নতুন নতুন জামা কাপড় কিনে দেয়। সুখি দিনে দিনে বড় হয়ে উঠে। বাবাকে সুখি বেশ ভালোবাসে, আদর যত্ন ও করে। লীলার একটি ছেলে সন্তান নিতে চায় মেহের আলীও সায় চায় সুখির খেলার সাথী ভাই হোক। কিন্তু বহু চেষ্টার পরও কোন ছেলে সন্তান হলো না। অবশ্য এ নিয়ে ওদের খুব একটা মন খারাপ নেই। মেয়েকে মানুষের মত মানুষ করে গড়বে ওরা।
সুখি প্রাথামিক স্কুল পার করে এবার হাই স্কুলে উঠেছে। পড়াশোনায় ও বেশ ভালো। পাড়া মহল্লার ছেলেদের চোখ যেন সুখির উপর থেকে নামেই না। সুখির বয়স বাড়ছে সে ও একটু ছেলেদের চোখের ঈশারা বুঝতে পারে। লীলা খুব শতর্কতার সাথে মেয়েকে স্কুলে পাঠায়। সুখি তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী একদিন কয়েকটি বখাটে ছেলে সুখির পথ রোধ করলে মা তার প্রতিবাদ করলো। এক যুবক লীলার মাথায় আঘাত করে, সাথে সাথে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেল। প্রায় মাস খানেক চিকিৎসার পর লীলা বিবি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে। মেয়ের পড়াশোনা ও স্ত্রী অসুখ সব মিলিয়ে মেহের আলী বেশ একটা ভালো নেই। বাবা তার বিয়ে মেনে না নেয়ায় তাকে তেয্যপুত্র করার ফলে সে বাবার কোন সয় সম্পত্তি ও পায়নি। গায় খেটে মাথা গোজার ঠাঁই একটি ঘর করতে পেরেছে।হালের দু'টি বলদ আর একটি গাভী আছে তার । মেয়ে বড় হচ্ছে বিয়ে দিতে হবে এই নিয়ে সে বেশ চিন্তায় পড়ে গেছে। বাড়ির পাশের এক চাচা তার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলো। মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তাই আর দেরি করে কি লাভ। ঘটক বিদেশগামী পাত্র নিয়ে এসেছে। সুখি বেশ খুশি। বিদেশ পাঠাবার খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা লাগবে তা মেহের আলীকে যৌতুক হিসেবে দিতে হবে। মেহের আলী এত টাকা কোথায় পাবে!! পাত্রকে সুখির বেশ পছন্দ। মা আর মেয়ে রাজি আর বাবা নারাজ। যৌতুক দিয়ে মেহরে আলী মেয়ের বিয়ে দিবে না। তা ছাড়া সে এত টাকাই বা পাবে কোথায় !! সুখির বিয়ে হবে না শুনে মেয়ে আর মা মেহের আলীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে । মেহের আলী মনোকষ্টে ভুগছে।সে বড়ই একা বেশ অসহায় হয়ে পড়লো। রাতে ঘুমাতে পারে না। কোনদিন সে একা অনুভর করেনি কিন্তু এখন করছে । সে স্থির করলো তার হালের গরু দুটি আর গাভীটি বিক্রি করে দিয়ে যে টাকা পাবে তার সাথে কিছু ঋণ নিয়ে মেয়ে বিয়ের দিবে যাতে মেয়ে আর স্ত্রী খুশি থাকে। মেয়েকে সেই পাত্রের সাথেই বিয়ে দিল। মেয়েকে পাত্রের ঘরে তুলেও দিল। বছর পার হতে না হতে শুরু হলো জামাতার নতুন বাহানা। তার আরও টাকা লাগবে। বিয়ের সময় কম টাকা দিয়েছিল তাই সেবার সে বিদেশ যেতে পারেনি। এবার সে যাবেই তাই তাকে আরও এক লাখ টাকা দিতে হবে। মেহের আলী আর এক লাখ টাকার বিনিময় তার ঘর সমেত জমিটুকু বন্দক রাখলো। মনে মনে ভাবছিল জামাতা বিদেশ গিয়ে আয় রোজগার করতে পারে তা হলে শ্বশুরকে টাকা দিয়ে সাহায্য করবে। সুখি তখন গর্ভবতী। ডাক্তারের পরামর্শ তার সেবা যত্ন দরকার। এ সময় মায়ের কাছে থাকলে বেশ ভালো থাকবে। মা বাবার মনে বেশ ফুর্তি। মেয়ের ঘরের নাতি/নাতনী হবে। সুখিকে তার মায়ের কাছে নিয়ে এলো। সপ্তাহ খানেক পরে খবর এলো সুখির বর আর একটি মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে । সুখি এই খরব শুনে অসুস্থ শরীর নিয়েই স্বামীর বাড়ি গেল। সুখিকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো সুখির বর রমিজ। রমিজ সুখিকে মেরে শরীরে বেশ যখম করে দিল। সুখি বেশ দূর্বল শরীর নিয়ে কোন মতে পাশের বাড়ির একটি ছোট ছেলেকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে ফিরে আসে। শরীরে প্রচন্ড জ্বর। লীলা কষ্টে জমানো কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে কোন মতে চিকিৎসা করিয়ে সুখিকে এ যাত্রা রক্ষা করলো কিন্তু তার সারা শরীরে ব্যাথা,পেটের বাচ্চার উপর বেশ আঘাত লাগছে। ভালো চিকিৎসার জন্য শহরে বড় কোন হাসপাতালে নেয়া দরকার কিন্তু সে টাকা পয়সা তাদের নেই । মেহের আলীর গরু-বাছুর জমি-জমা কিছুই এখন নাই। গ্রামে থেকে কোন আয় রোজগার করার উপায় নাই তাই তাকে আর গ্রামে থাকা হবে না। বিয়ের পর এই সে প্রথম ঢাকায় যাবে আয় রোজগার করার জন্য। লীলা ও এই প্রথম স্বামীকে একা ছেড়ে থাকবে। মন চায় না তাকে দূরে পাঠাতে কিন্তু কী বা করারা।তিনশত পঞ্চাশ টাকা আর একটি হাতের সেলাই করা কাঁথা দিল মেহের আলীকে। মেহের আলী ঢাকার কিছুই চেনে-জানেনা। গুলিস্তান নামতেই দেখে রাস্তার পাশে লোকজন দাড়িয়ে সাপ খেলা দেখছে। দাড়িয়ে সে ও সাপের খেলা দেখছিল। পাশের একটি লোক ধাক্কা দিলে পকেটে হাত দিয়ে দেখে তার পকেটের টাকা নেই। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা । কোথায় থাকবে, কি খাবে, কার কাছে যাবে এমন কোন উপায় নেই । আজ সত্যিকারের অসহায় মেহের আলী। হাটতে হাটতে মতিঝিল এলাকার একটি বড় দালানের নিচে কাঁথাটি গায় দিয়ে শুয়ে রইল এমন সময় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে পুলিশ ভ্যানে তুললো। মেহের আলীর সভাব সুলভ সরল কথা শুনে এক পুলিশের মায়া হল, তাকে ছেড়েও দিল। সারা রাত না খাওয়া, নির্ঘুম। সকাল বেলা ফুটপাথের দোকানে দোকানে ও লোকজনে ভরে গেল সারা মতিঝিল। একটি চায়ের দোকানে এক দিনের পেটেভাতে কাজ করার সুযোগ পেল মেহের আলী। মেহের আলী পরের দিন সকালে দেখলো একটি বড় বিল্ডিং এর নীচে লোকজন। তারা দিনমজুর। মাথায় টুকড়ি নিয়ে ইট,বালু তুলবে। দৈনিক হাজিরা ৩০০টাকা। মেহের আলীকে ওদের সাথে নিল এবং বেশ কয়েক দিন কাজ করার পর কিছু টাকা ও জমলো তার। লোক মারফত জানতে পারলো তার মেয়ের ভীষণ অসুখ।তাই সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। সে যে গাড়িতে বাড়ি যাচ্ছিল সেই গাড়ি আর ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগলে প্রায় ১০-১২ জন সাথে সাথেই মারা যায়। মেহের আলীর একটি হাত আর একটি পা ভেঙে যায়। লোকজন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। বাড়ির কাউকে খরব দেয়া গেল না। প্রায় দুই মাস দশ দিন পরে মেহের আলী পঙ্গু অবস্থায় বাড়ি ফিরলো । বাড়িতে ফিরে বাগানের একটি গাছের নিচে লীলা কাঁদছে । সে কী করুণ তার শরীরে অবস্থা। গত সপ্তাহে সুখি পেটের বাচ্চা সহ মারা গেছে। মেয়ের শোকে খাওয়া দাওয়া নেই। মেহের আলী এ খবর শুনে যেন নির্বাক হতবাক।দু:খের সাগরে ভাসছে মেহের আলীর পরিবার। ঋণের সুদের টাকা দিতে পারছেনা কোন মাসেই তাই মহাজন লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে হাজির। এক সপ্তাহের মধ্যে সুদে আসলে সব টাকা না দিতে পারলে বসতভিটা ওদের নামে লিখে দিতে হবে। মেহের আলী একে অসুস্থ তার মধ্যে মেয়ের মৃত্যু সব মিলিয়ে তার বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়া সমান। হাত পা ভাঙ্গা অবস্থায় সে চলাচল ও করতে পারছে না।গ্রামে যে ভিক্ষা করবে তার ও কোন ব্যাবস্থা নেই। এক সপ্তাহ পরে সেই মহাজন ওর বাড়িতে এবার সাথে পুলিশ । আজ তাকে টাকা পরিশোধ করতেই হবে।কোথায় পাবে সে টাকা !! সব শেষ তার মাথা গোজার ঠাই টুকু নিয়ে নিবে ওরা। আর সবই গেল মেয়ের জন্য আর সেই মেয়ে ও বেঁচে নেই। সুন্দরী লীলা এখন মেয়ের শোকে মৃত প্রায় । স্বামীর পঙ্গুত্ব আয়ের শেষ সম্বল ও হারালো। মাথা গোজার ঠাই টুকু ও। শ্বশুরের কাছে ঘর করার জন্য একটুকরা জমি চাইলে দূরদূর করে তাড়িয়ে দিল লীলা কে।
লীলা ও মেহের আলী গ্রামের মায়া ছেড়ে মহাসড়কে ধীরে ধীরে হাটছে আর ভাবছে আজ তারা কত অসহায়।দুনিয়ায় কত মানুষ, কত টাকা পয়সা কিন্তু তাদের পাশে কেউ নেই। কোন মতে খেয়ে বেঁচে থাকার আশায় তারা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। তাদের হাতে কোন টাকা নেই,ঢাকা যেতে যে ভাড়া দরকার তা তাদের কাছে নেই । ভাড়া ছাড়া কেউ তাদের নিতে চায়না। একপর্যায় একটি বাসের কন্টাকটার রাজি হলো । এই খুশিতে তাড়াহুড়া করে বাসে ওঠতে নিল; পাশ দিয়ে ছুটে চলা একটি পিকআপ ভ্যানে লীলাকে জোরে ধাক্কা দেয়। লীলা ঘটনা স্থলেই জ্ঞান হারায়। মেহের আলী নির্বাক দৃষ্টতে তাকিয়া থাকলো আর দু'নয়ন থেকে অঝোরে জল গড়িয়ে বুক ভিজে গেল। সে অসহায় পঙ্গু তাকেই লীলা দেখতো এখন লীলা মৃত প্রায় । লোকজন দু'জনকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখলো। লীলার মাথায় আঘাত লাগায় বেশ রক্তক্ষরণ হলে সে মৃত্যুর মুখে ঢলেপড়ে। মেহের আলী লাশ নিয়ে কি করবে,কোথায় যাবে? রাত ঘনিয়ে আসছে মেহের আলীর কান্না ছাড়া আর কোন পথ নেই। তার এ মায়ার সংসারে আর কেউ রইল না। মেহের আলী আজ বড়ই একা, বড়ই অসহায় বুকে শুধুই না পাওয়া ও হারাবার আর্তনাদ বেদনা । রাতে লীলার লাশ আন্জুমান মফিদুল ইসালামের গাড়ীতে করে নিয়ে গেল আর পঙ্গু মেহের আলী অসহয়ের মত তাকিয়ে রইল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ
সুখির বিয়ে থেকে শুরু করে শেষ লাইন পর্যন্ত পড়তে গিয়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। বলতে গেলে শেষ দিকে এসে যা কিছু ঘটল তার মূলে কিন্তু যৌতুক, সহজভাবে বললে যৌতুকের বলি হলো গোটা পরিবারটা।
গল্প ভালো লেগেছে ভাই। শুভকামনা।
প্রজ্ঞা মৌসুমী
" বাবা মায়ের বাধ্য ও অনুগত মেহেরের কথায় কর্ণপাত না করায় সে একদিন বাবার অবাধ্যেই বিয়ে করে" -contradict হয়ে গেলো যে। প্রথম দিকে লেখা অনেকটা এলোমেলো মনে হলো আমার। তবে পড়তে পড়তে ভাবছিলাম- আপনার ভাবনার পরিসর খুব ভালো। বাল্যবিবাহ, যৌতুক, পরকীয়া, ভূমিহীন, পকেটমার, সড়ক দুর্ঘটনা- এরকম অনেক দুঃখ কষ্টের বিষয় এসেছে। সাদিয়ার সুলতানার সাথে একমত। মনে হচ্ছিল হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত গাড়ির আসা-যাওয়া দেখছি। কিন্তু গাড়ির জানালায় দৃশ্য দেখাটা একটা তৃপ্তি দেয়। অবশ্য এতে হয়তো গল্পের পরিসর আরো বেড়ে যেত। ইদানিং পাঠক বড় গল্প দেখলেই... আমি ভোটে হয়তো অসাধারণ বলছি না (দুই এক কারণে)। তবে অনেক ভালো হয়েছে। শুভ কামনা
আপু আসলে বাধ্যগত বা অনুগতরাও যে অবাধ্য হয় যদি তাদের সঠিক ভাবে লালন না করা হয়।
মেহের আলীর বাবা ছেলের অনুগত হওয়াকে খুব একটা মূল্যায়ন করেনি। আমাদের আসলে সবার মতামতকে সমান গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
আর গল্প বড় করলে অনেক বড়ও করা যেত, অনেক গুলো বিষয় আছে। আমি খুব সংক্ষেপ করার চেষ্টা করেছি।বড় গল্প অনেকেই এড়িয়ে যায়।আসলে পড়ার এত সময় অনেকেরই নেই।
সেটা ঠিক- কিন্তু ঠিকঠাক লালন-পালন হয়নি এই প্রসঙ্গতো আসেনি গল্পে। বরং মনে হলো বাবা-মা ঠিকমতোই মানুষ করেছেন। নম্র, ভদ্র, পরিশ্রমী, সদালাপী, সুঠাম। মেহের অবাধ্য হয়েছে বাবা প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম বাবা মায়ের বাধ্য ও অনুগত সন্তান বাবা-মায়ের কথাকে কর্ণপাত করে।
শামীম খান
শুরুতে প্রেম , পরিনয় , সংসার । ধীরে ধীরে সন্তানের বেড়ে ওঠা । আরও ধীরে অসহায়ত্ব গ্রাস করল একটা মানব সন্তানকে আপাদমস্তক । দারুন , জমজমাট গল্প ভাই । ভাল লেগেছে । শুভ কামনা রইল ।
আফরান মোল্লা
অসাধারন একটি গল্প!সত্যিই আজও মেহের আলীর মত অসহায় এ পৃথিবীতে আছে।মেহের আলীর অসহায়ত্বের কাহিনী পড়ে মনটা খারাপ লাগছে।আসলে এবারের সংখ্যাটা এরকম একটা সংখ্যা যেকোন কবিতা কিংবা গল্প পড়লেই মন খারাপ হয়ে যাবে।নানা অসহায়ত্বের বর্ননা!শুভকামনা রইল।(আমার মনটা খারাপ হয়েছে মানে কিন্তু আপনি সার্থক গল্পকার!!)
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।