তোর আর আমার ছেলেবেলা কেটেছে, কাছাকাছি-পাশাপাশি,
এক সাথে উড়িয়ে যত মেঠো পথের ধূলো, ক্ষেতের আইল ধরে বিদ্যালয়ের পথ...
পড়া শেষে গাঁয়ে ফেরা বাঁশ বাগানের পথ ঘেঁষে হেসে হেসে...
তারপর যখন তুই (চেংরি)মাইয়্যা আর আমি (চেংরা)পোলা হয়ে গ্রাম্য সমাজের রীতি,
তোকে তখন ভীষণ অভিমানী,কাতর লাগতো মনে এবং মুখের ভাষায়।
আমি কাঁকড়া নদীর জলে রোদের কোলে খালি হাতে হাছতাই মাছ,
কাদায় দিতাম গড়াগড়ি, বট গাছের মাথায় উঠে ঝুড়ি বেয়ে নামি ধূপধাপ--
তুই বলতি তোর অভিমান হয়, যদি তুইও করতে পারতি? তারপরেও নিষেধতো শিরোধার্য।
আমি বেলতলির হাটে ছুটি, রোদকে পিঠে নিয়ে খেলার মাঠে ভরদুপুরে দেই দূরন্ত দৌড়...
ক্লান্ত হয়ে সন্ধায় বাড়ির উঠোনে আমি, আড়ালে তোর মুচকি হাসি,
ঐ হাসির আড়ালেও অভিমান তোর আমার প্রতি কিংবা অভিমান লিংগ ভেদ।
কয়েক বছর পর ...
নতুন নিয়ম হলো খোলা চুল তোর ঢেকে রাখতে হতো কাপড়ের আব্রুতে, কখনও বা মুখ...
পেতাম না দেখতে ঘর থেকে বেরোবার কালে হয়তো রোজ, তুই অভিমান করতি
তুই ভালবাসতি , কাছে চাইতি আসতে, আমি তখন ছুটে বেড়াই ঢাকার কোন শহরে
সেখানে বড় বড় কলেজ, বড় দালান, বড় বড় গাড়ি...
তোর কত ঈর্ষা, তুই গাঁয়ের স্কুল পেরোলি সবে, কলেজে কি যাওয়া হবে?
তারপর আমি অদৃশ্য হয়ে গেলাম, শহরের এই যান্ত্রিকতার মাঝে...
তুই তখন কাঁদতি, নখের আঁচড় কাটতি,অভিমানে ঈর্ষার পিঠে ।
একদিন হঠাৎ ফিরে এলাম গাঁয়ের সেই পথে ধরে, সময় অনেক পিছে ফেলে
তোর কাছে ! ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে,
সেদিন তোর সুখের পথে পাড়ি দেয়ার দিন, সানাই বাজছিল,
বিদায়ক্ষণে একটি বার তবুও চোখদুটো মেলেছিল,
চোখের জলে ভাসিয়েছিলি যত অভিমান যত ঈর্ষা, সেদিন বুঝেছিলাম ঠিকই, ..
চলে যাচ্ছিলি আর সেদিন আমার প্রথম তোর উপর খুব অভিমান হচ্ছিল,
সেই অভিমান বুকে নিয়ে আ আমি চলছি নিরন্তর।
যদি একদিন দেখতি কেমন আছি আমি? তাহলে বুঝতি তোর অভিমান গুলো নিতান্তই মিথ্যে ছিল,
আজও তোকে বড্ড ভালোবাসিরে
আজও ভালোবাসি
২১ জানুয়ারী - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪