গতকাল জীবনের স্বরনীয় একটি মূহুর্ত কাটালাম. সংকাশের প্রথম প্রকাশ "নৈঃশব্দের শব্দ যাত্রার" মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে. প্রধান অতিথি ছিলেন আলোকিত মানুষ চাই এর স্বপ্নদ্রস্টা ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কর্ণধার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার. তার বক্তব্য চলছিল, এমন সময় সাবের ভাই আমাকে তার ক্যামেরা ধরিয়ে দিলেন কিছু ছবি তোলার জন্য , আমি তুলছিলাম একের পর এক. আর তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম. এক সময় মনে হলো আমি কথার প্রতি এতটাই মনোযোগী ছিলাম যে ছবি গুলো হয় উঠছেনা. যেই বোধ হলো তখন ঠিক মত শুরু করলাম. সবের ভাই হয়তো টের পেয়েছেন, যে গ্রুপ ছবি উঠেনে. স্যারের প্রতিটি কথায় মুক্তার দানার মত, ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রতি শব্দের একটি করে উপন্যাস লেখা সম্ভব. একটি মূহুর্তর সাবের ভাইয়ের পা ছুইয়ে প্রনাম নেয়ার ইচ্ছে হলো, তিনি আমাকে স্যারের পাশে বসিয়ে দিলেন. কি আনন্দ লেগেছিল তা ভাষায় বুঝতে পারবনা. স্যারের পাশে যখন বসেছিলাম তখন স্যারের উপস্থাপনায় বিটিভি তে প্রচারিত একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের কথা মনে পরে গেল. তখন আমি ফাইভে কি সিক্সে . মেগাজিন অনুষ্ঠানটি ছিল রম্য . অনুষ্ঠানের শেষে এসে স্যার একটি জোক বলেছিলেন তা অজু হৃদয়ে গেথে আছে. কথাটি এরূপ " এক গরিব পথিক পথ দিয়ে হেটে যাচ্ছে, তাকে দেখে উপরতলা থেকে এক ব্যক্তি সালাম দিয়ে ব্যঙ্গ করে জানতে চাইলেন, কেমন আছ ? লোকটি কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন. বেশ ক বছর পর, সেই পথিক উপরতলায় অবস্থান করছিলেন এমন সময় সেই উপরতলার লোকটি যাচ্ছিলেন , সেদিন লোকটি তাকে দেখে বললেন ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমি ভালো আছি." আমি সেদিন তাকে টিভিতে দেখেছিলাম মুগ্ধ হয়ে জীবনে স্বপ্নেও ভাবিনি এভাবে পাশাপাশি বসতে পারব ! আজ আমি গর্বিত স্যারের পাশে কিছুক্ষণ বসতে পেরে. আমিও আলোকিত মানুষ হতে চাই. সবার দোয়া প্রার্থী.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।