সূতোকাটা ঘুড়ি উড়ে গেছে
ছেলেবেলাও পায়ে পায়ে ক্রমশই...
একটা উপমা বাধিয়ে বলা যেতো,
কুয়াশা যেমন ডুব দেয় উপর থেকে পড়ে
ঘুরপাক নীলে মেঘেরাও বায়না ধরে যেমন- তেমন-
হাড়িয়ে যেতে ‘সময়’ লাগেনি-
ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার ওরাও বেঈমান সেই সাথে
যেমন বেঈমান টেবিল ক্লক-
তুলা পেঁজা মেঘ ওরা মিথ্যে, ওরা কিছু না... ছিলো না কোনদিনই
সুতো কাটা ঘুড়ি আমি আমার হাতেই উড়ে যেতে দেখেছি
আর দেখিনি কোন শীতে।
মাটিপাতা রাস্তায় থেমে থেমে এলো শহর, এসেছে শীত
এসেছে টেলিগ্রাফ বুক চিতিয়ে, আমার আমাদের যৌবন চুম্বনে
শহরে এসেছে ভিড়, কফিসপ সুখ, সব দাঁড়ানো একা একা বাতি
একা আমিও গীটার চিনেছি বিদ্যুতের তারে...
একা একটা কাক ফিরে যায়, ফিরে যেতে শিখে গেছে
এক শৈশবে শীতে;
মনে লেগে থাকা তুষার উবে যায়
কালো কালো রাস্তায়,
ছুটে প্রান্তরে চিনেই আবার ঠকে যায় মন
যোগাযোগ কেটে যায়,
শুধু বুক চিতিয়ে টেলিগ্রাফ দাড়িয়ে থাকে, ঘুণ ধরেনি-
জং ধরেছে মনে, শুধু এক শৈশবের মনে। অসুখের কালে...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।